চীনে ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদ্যাপিত
লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে চীনে ঈদ পুনর্মিলনী এবং বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদ্যাপিত হয়। হাজার মাইল দূরে থেকেও বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কোনো কিছুরই কমতি ছিলা না এই আয়োজনে। কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনে হয়েছে এ যেন এক টুকরা বাংলাদেশ।
গত ১৪ এপ্রিল গুয়াংঝু শহরের সানইউয়ালি পার্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি গুয়াংঝু (বিসিজি)–এর আয়োজনে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটি কয়েকটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। আড়ম্বর আয়োজনে ছিল, নববর্ষের র্যালি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বড়দের দেশীয় ঘরোয়া খেলা, কবিতা আবৃতি, বাংলা লোকসংগীত পরিবেশন, আলোচনা সভা এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি নানা পদের খাবারের মাধ্যমে মধ্যাহ্নভোজ।
গোলাম কাদের সিদ্দীকি এবং আবু সায়েদ সায়েমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাই সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। তারপর ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’র কোরাস উপস্থাপন করে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মিরাজ আহম্মেদ, হুমায়ন কবির দুলাল, কল্লোল কান্তি দেবনাথ, মামুন শিকদার, সাখাওয়াত হোসেন, আতিকুল্লাহ, মাহাদী অমিতসহ আরও অনেকে।
গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স এবং ইকোনমিক্সের অধ্যাপক মিরাজ আহম্মেদ বাংলাদেশি কমিউনিটির একতাবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ থেকে বহুদূরে আমরা প্রবাসে বসবাস করছি। এখানে আমাদের সন্তানদের ও আমাদের নিজেদের মধ্য বাঙালি সংস্কৃতি সব সময়ই লালন করা উচিত। বিদেশি সংস্কৃতির মধ্যে দেশীয় সংস্কৃতি যেন আমাদের সব সময় মননে অগ্রভাগে থাকে, এ বিষয়ে সজাগ এবং সচেতনতা জরুরি।
অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও লোকসংগীতে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। তা ছাড়া দুই শতাধিক বাংলাদেশি ও চীনা নাগরিক এ প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন।
**দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]