বিসিএস পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো যেভাবে আরও গোছানো হতে পারত

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সারা দেশে একযোগে সকাল ১০টায় ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনেকটা অভিজ্ঞতার জন্যই মূলত জীবনের প্রথমবার এ পরীক্ষায় আমার অংশ নেওয়া।

দেশের বাইরে ইরানে গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করায় সে দেশের কয়েকটি জাতীয় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সে অভিজ্ঞতায় আমার কাছে মনে হয়েছে বিসিএস পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোয় এই বিষয়গুলোতে নজর দিলে আরও সুন্দর হতো।

প্রথমত, দেশের বাইরের প্রতিটি জাতীয় পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পরীক্ষার হলের সামনে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চোখে পড়ত, যা আজকে আমার পরীক্ষার হলে চোখে পড়েনি।

আরও পড়ুন

দ্বিতীয়ত, অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী একসঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা, যেমন অগ্নিকাণ্ড বা অন্যান্য সমস্যায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির ব্যবস্থা রাখা যেত।

তৃতীয়ত, দেশের বাইরে পরীক্ষার হলগুলোতে পানির ব্যবস্থা চোখে পড়ত, সে হিসেবে এই গরম আবহাওয়ায় সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা রাখা যেত।

চতুর্থত, আমি যে কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি, সেখানে পরীক্ষার হলে প্রবেশের মূল গেটের সামনে আসনবিন্যাস উল্লেখ থাকলেও জোড়-বিজোড় রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে, সে জন্য যাঁরা পরীক্ষার হলে ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের এ বিষয়ে আরও সজাগ থাকলে ভালো হতো।

পঞ্চমত, যেহেতু পরীক্ষার হলে ইলেকট্রনিক কোনো ডিভাইস নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই, সে হিসেবে শিক্ষার্থীদের সময় সচেতনতায় রুমের দেয়ালঘড়িগুলো ঠিক আছে কি না, সেটা খেয়াল করলে ভালো হতো।

ষষ্ঠত, ঢাকার রাজপথে যানজট থাকায় অনেক আগেই শিক্ষার্থীদের বাসা থেকে রওনা দিতে হয় এবং নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘড়ি বা মুঠোফোন নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় যাত্রাপথে সময় দেখতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সে জন্য প্রতিটি হলের গেটে ব্যাগ বা ঘড়ি এসব রাখার ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষার্থীদের সুবিধা হয়।

লেখক: কামরুজ্জামান নাবিল, চিকিৎসক, সাবেক শিক্ষার্থী, ইস্পাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান।

আরও পড়ুন