৪ ব্যাংকে ডাকাতির পর কানাডা পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ক্রাশেল

ব্যাংক ডাকাতির পর বের হচ্ছেন ব্রেট অ্যাশটন ক্রাশেল
ছবি সংগৃহীত

কানাডার গ্রামীণ জনপদের ছোট ব্যাংকগুলোকে ডাকাতির জন্য বেছে নিয়েছিলেন কানাডার ৩০ বছরের যুবক ব্রেট অ্যাশটন ক্রাশেল। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি প্রথম কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের স্টেইনবাখ শহরের একটি ব্যাংকে ঢোকেন। তিনি ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে দাবি করেন, তাঁর কাছে বন্দুক আছে, ব্যাংকে থাকা সব ডলার দেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু ব্যাংক হিসাবরক্ষক (ক্যাশিয়ার) ও কর্মচারীর বিচক্ষণতায় ডাকাতি করতে না পেরে পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যান তিনি।

এরপর গত ১৪ নভেম্বর লো ফার্মে, ৪ ডিসেম্বর গ্লেনবোরোয়, ২৩ ডিসেম্বর ও ৩ জানুয়ারি পরপর দুবার মিয়ামি ম্যানিটোবায় একই ব্যাংকে ডাকাতি করেন ব্রেট অ্যাশটন ক্রাশেল। সব ব্যাংকে তিনি তাঁর কাছে বন্দুক আছে বলে দাবি করলেও কোথাও তিনি বন্দুক দেখাননি বা গুলি করেননি।

কানাডিয়ান মাউন্টেন্ট পুলিশ প্রথম ব্যাংকটি ডাকাতির চেষ্টার দিন থেকে তদন্তে নামে। ৯ জানুয়ারি তাঁকে ম্যানিটোবা প্রদেশের মর্ডান টাউন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১২ জানুয়ারি পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি জানায়। তাঁকে ধরতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ৭০ কর্মী কাজ করেছেন। তাঁর কাছে কত ডলার পাওয়া গেছে, তা না জানালেও পুলিশ বলেছে তারা হাজার হাজার ডলার উদ্ধার করেছে। পুলিশ ব্রেট অ্যাশটন ক্রাশেলকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ডাকাতির সময় তাঁর পরনে থাকা জামাকাপড় উদ্ধার করেছে। তাঁর কাছে কোনো বন্দুক, আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি। তিনি এ ডাকাতি করতে গিয়ে ২২৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন। তিনি যে গাড়ি ব্যবহার করেছেন সেগুলোর মালিকানা তাঁর ছিল না। তবে তাঁর ব্যবহৃত গাড়ির নম্বরপ্লেট ট্র্যাক করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

স্টেইনবাখ, লো ফার্ম, গ্লেনবোরো ও মিয়ামি ছোট ছোট শহর। এ চার শহরে লোকসংখ্যা খুবই কম।

স্টেইনবাখে লোকসংখ্যা ১৮ হাজার জন, লো ফার্মে ২ হাজার ৯৯৫, গ্লেনবোরোয় ৬২৪ ও মিয়ামিতে ৪৩৫ জন। এ শহরগুলোর নিজস্ব কোনো পুলিশ নেই। তারা ফেডারেল গভর্মেন্টের রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন্ট পুলিশের ওপর নির্ভরশীল। অপরাধপ্রবণতা না থাকায় এসব রুরাল এলাকার অনেক টাউনে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন্ট পুলিশের অফিসও থাকে না। কয়েকটি টাউনের মাঝখানে অল্প কয়েকজনের এক একটি পুলিশ স্টেশন থাকে।