আমি কিছু চৈত্র দিন কিনতে চাই
অনেক বছর আগে যে চৈত্রের দিনগুলোতে
কাঁঠালগাছের নিচে বসে হালকা একটু পাতার শব্দ শোনার
জন্য অপেক্ষা করতাম, সেই দিনগুলোকে কিনতে চাই।
কিংবা, পুকুর পাড়ে আমগাছের গুঁড়িতে
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে হালকা বাতাসে পানির মৃদু দুলুনি দেখার
কিছু চৈত্রের মধ্যাহ্ন হলেও ভালো দামে কিনে নেব, কথা দিচ্ছি।
অথবা, যে চৈত্রের দিনগুলোতে
সুনসান নীরব গ্রামের পথ ধরে একা হেঁটে বাড়ি ফিরতাম,
তেমন কিছু দিন কিনতে পারলেও খুশি মনে মেনে নেব।
বা, কোনো চৈত্রের দুপুরে হঠাৎ ডেকে ওঠা
কোনো অচেনা পাখির খুঁজে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে শেষ বিকেলে ঘরে ফেরার পর
মায়ের বকুনি খাওয়ার মুহূর্ত পেলেও চড়া দামে কিনতে রাজি আছি।
জ্যৈষ্ঠের আম–কাঁঠালের দিন কিংবা আষাঢ়ের বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দ
আশ্বিনের সাদা নীল আকাশ অথবা অগ্রহায়ণের কমলা রোদ,
এসব কিছুই চাই না।
চৈত্র মাসের কিছু দিন কিনতে চাই আমি।
অল্প কিছু কাঠফাটা রোদের দিন হলেও চলবে।
কিন্তু কোনো বিক্রেতা পাচ্ছি না।
কেউ কি চৈত্রের কিছু দিন বিক্রি করবেন?
আমি কিনতে চাই—কিনতে চাই কিছু চৈত্রের দিন।
*লেখক: নুসরাত আহমেদ আশা, সফটওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স ইঞ্জিনিয়ার, কার্ল জাইস ডিজিটাল ইনোভেশন জিএমবিএইচ, মিউনিখ, জার্মানি
**দূর পরবাস– এ ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল অ্যাড্রেস [email protected]