জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইন দ্য ইউকের নতুন কমিটির অভিষেক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-জুয়াকের আয়োজনে লন্ডনের একটি হলরুম পরিণত হয়েছিল ‘মিনি জাহাঙ্গীরনগরে’। জুয়াকের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জুয়াকের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যসচিব পারভেজ মল্লিক ও মাহবুবা জেবিন। প্রথমেই সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলীম আল রাজীসহ নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠাকালীন সহসভাপতি আবদুর রহমান মিঠু।

এরপর বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, ইজলাল সিদ্দিকি সোহেল, সৈয়দ শাহিন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম, রানা ইসলাম, আহসান উল্লাহ, রাকিব উদ্দিন শাহিন, মো. নজরুল ইসলাম, সিনা আকন্দ, নাসিমা সুলতানা চৌধুরী, ওয়াকারুল আমিন রনি, হাবিবে আলম, সিকান্দার আলী সিকো, নুর হাসান মামুন টুটুল, আশরাফুল আলম, মতিউর রহমান মতিন, আনিসুর রহমান, মুকিত শামস জয়, চৌধুরী নিয়াজ মাহমুদ, সাইদউদ্দিন আহমেদ, জুলফিকার আলি ভুট্টো, ফারহানা ইয়াসমিন চমন, মোরশেদ ঠাকুর, সৈয়দ ইফতিখার ইফতি, আনিকা হক, ফারহানা করিম একা, নিলিমা আহমেদ, মুশফিকুর রহমান ভূঁইয়া জেম, মো. সায়েম, বুলবুল আহমেদ, মুনতাসির আহমেদ, সজীব ভূঁইয়া, মাহমুদা রাজ্জাক, শফিকুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, রায়হানুর রহমান, মুফাক্কারুল রহমান সৈকত, হুমাইরা সুলতানা মৌরী, ওমর ফারুক জাবেদ, মাহমুদুল হাসান অয়ন, জান্নাতুননেসা চয়ন ও সিরাজুস সালেহিন জামিল।

রাতের খাবারের পর মাহবুবা জেবিনের পরিচালনায় শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে মহসিন। এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। সবাই দাঁড়িয়ে গেয়ে ওঠেন, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...।’ ছোট শিশুরাও জাতীয় পতাকা নেড়ে গানে সুর করে। শিশুশিল্পী আরওয়া রশিদের দেশের গান আবেগাপ্লুত করে সবাইকে। এরপর মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী তামান্না প্রমি। প্রমি তাঁর সুরের মূর্ছনায় সম্মোহিত করে রাখেন উপস্থিত সবাইকে। তাঁর গানের সঙ্গে এনি জামান, রুমানা তুলি, জাকিয়া তাসনিম, চমন জামান, একা, তাহমিনা পণ্ডিতের দলীয় নৃত্য ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। একসময় শেষ হয় জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রয়ে যায় অতৃপ্তি। ভবিষ্যতে আরও সুন্দর আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন জাহাঙ্গীরনগর জুয়াকের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তি