মেলবোর্নে ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’

‘রেনেসাঁ ড্রামা সোসাইটি, মেলবোর্ন ইনক’ কর্তৃক আয়োজিত ২০২৪ গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ হলো সম্প্রতি। রোববার অস্ট্রেলিয়ায় সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ২৭ অক্টোবর বিকেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান মূলত ছিল বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাপূর্ব ও উত্তর প্রচলিত সংগীতের ধরনের ওপর ভিত্তি করে।

আজকের লেখা এই অনুষ্ঠানের ওপর ভিত্তি করে নয়; বরং অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে এসে একজন সংগীতশিল্পীর উপস্থাপনা ও সংগীত নিয়ে। তিনি সিডনিতে থাকেন মেলবোর্নে এসেছেন অনুষ্ঠান করার জন্য। উনার নাম আবদুল্লাহ আল–মামুন। তিনি মূলত ছিলেন একজন গীতিকার, পরবর্তী সময়ে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

অনেক পাঠকই ধরতে পেরেছেন, উনি কে। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যান্ড সোলসের বিভিন্ন অ্যালবামের বিখ্যাত তিনটি গানের গীতিকার তিনি। গানগুলো হচ্ছে ‘ভুলে গেছো তুমি’, ‘মুখরিত জীবন’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’।

সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি উনার উপস্থাপনায় যন্ত্রানুষঙ্গের সাথি গাইতে পারেননি। কারাওকের মাধ্যমে তিনি তিনটি গান শোনান এবং উনার লেখা সোলসের এই বিখ্যাত তিনটি গান লেখার সময়ের স্মৃতিচারণা করেন। বিশেষ করে ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গানটি উনি যে আসলে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে উদ্দেশ্য করে ভেবে লেখেননি; বরং তা ছিল ওই সময়ের এক আবেগের বহিঃপ্রকাশ, বিষয়টি তুলে ধরেন। অবধারিতভাবেই উনার স্মৃতিচারণায় নাকীব খান (সোলসের সাবেক সদস্য বর্তমানে রেনেসাঁর কণ্ঠশিল্পী ও কি–বোর্ডবাদক) এবং কুমার বিশ্বজিতের (সোলসের সাবেক সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী) কথা উঠে আসে।

ছোট পরিসরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবদুল্লাহ আল–মামুন মেলবোর্নে যে সময়টা আমাদের উপহার দিলেন, তা বাংলাদেশিদের স্মৃতিতে অনেক দিন থেকে যাবে।