আমেরিকার উচিটা শহরে বিপুল উৎসাহে শারদীয় দুর্গোৎসব
দূর পরবাসে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
যুক্তরাষ্টের কানসাস অঙ্গরাজ্যের উচিটা শহরে গত শনিবার বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও অনেকে কানসাসের বিভিন্ন শহর থেকে পূজায় যোগ দিতে উচিটায় এসেছিলেন। ৪-৫ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী এনডোবার স্পোর্টস ক্লাব দিনভর নানা আয়োজনে মাতিয়ে রাখেন পূজার্থীরা।
শনিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্টানস্থলে হিন্দুধর্মের মূল মন্ত্র পাঠ করতে গিয়ে শুভেচ্ছা চক্রবর্তী বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গে প্রার্থনা বা পুষ্পাঞ্জলি করলে মনে শুদ্ধি ভাব জাগ্রত হয়। সৃষ্টির মূল ধ্বনি ‘ওম’-এর মধ্যে সৃষ্টির মূল মন্ত্র রয়েছে বলে তিনি পূজারিদের স্মরণ করিয়ে দেন। দুই দিনব্যাপী বর্ণিল এ আয়োজনে প্রথম দিন সকাল থেকে পুরোহিত শুভেচ্ছা চক্রবর্তী পূজারিদের নিয়ে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী পালন করেছেন।
এ সময় দেবী দুর্গার বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি, আরতি, মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ সময় অনেকে নানা আঙ্গিকে নিজের মতো করে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনুষ্টানস্থলে একে অপরের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে ওঠেন। প্রবাসজীবনে নানা ব্যস্ততার মধ্যে এ যেন এক মহা আনন্দের দিন ‘শুভ শারদ উৎসব’। উচিটা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম, মাহপেরা করিমসহ কমিউনিটির অনেকে এ উৎসবে যোগ দেন।
দুপুরে নানা পদের বাঙালি খাবার শেষে শারদীয় শুভেচ্ছার মধ্য দিয়ে আলোঝলমলে মঞ্চে পূজায় আগত একঝাঁক তরুণ-তরুণীর যৌথ নৃত্যে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে মণ্ডপচত্বর। পূজার অন্যতম আয়োজক প্রকৌশলী রুপেন দেব বলেন, এবার মিষ্টি রোদে আলোঝলমলে আবহাওয়ায় ভক্তদের উপস্থিতি ছিল বেশি। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রশান্ত বলেন, প্রবাসের পূজা মানে সবার সঙ্গে আনন্দ উদ্যাপন। একে অন্যের পাশে দাঁড়িয়ে শারদ উৎসবে নিজেদের রাঙিয়ে তোলা। রোববার (৫ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে দুর্গাদেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা।