বেহেশতের ফুলবাগিচায়

ধর্ষণপ্রতীকী ছবি

অবশেষে ছোট্ট জীবনটির হলো অবসান,

মৃত্যুর কোলে ঠাঁই নিল নিষ্পাপ শিশুপ্রাণ।

যমে–মানুষের টানাটানিতে হলো যমের জয়,

রুধিতে পারিল না কেউ সমাজের অবক্ষয়।

কে আজ দায়ী এই পরিস্থিতির জন্য?

কোনো শক্তি ঘুচাবে সমাজের এই দৈন্য?

নরপিশাচেরা চারিদিকে রাত্রির অন্ধকারে,

ঘাপটি মেরে বসে থাকে ধর্ষণের তরে।

নারীকুল আজ নিরাপদ নয় কোনোখানে,

নিজ গৃহ কিংবা আত্মীয়পরিজনে।

সদ্যোজাত নারীশিশুর নিষ্পাপ গায়ে,

পাপিষ্ঠ পুরুষ কামড় বসায় যৌন লালসায়।

অসুস্থ নরপিশাচেরা করে অবাধে বিচরণ,

স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট অথবা নিজ গৃহের প্রাঙ্গণ।

করণীয় কী হবে নারী সুরক্ষার নিশ্চয়তায়?

কে আনবে এদের কঠোর বিচারের আওতায়?

নিয়েছে যে কেড়ে তোমার বাঁচার অধিকার,

এই সমাজ যদি না পারে দিতে দণ্ড-তিরস্কার।

মাগুরার শিশু, তুমি ভুলেও তারে দিয়ো নাকো ছেড়ে,

শেষবিচারের দিনে নিয়ো হিসাব আদায় করে।

বিচার হবে সেই দিন হাশরের ময়দানে,

ফিরে পাবে শান্তি তখন তুমি প্রাণে।

তত দিন খেলা করো নিশিন্তে নির্দ্বিধায়,

হুর-পরিদের সাথে বেহেশতের ফুলবাগিচায়।

ব্লার্ব: ‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]