বিদেশে বসে মাসজুড়ে একাত্তরের চিঠি পাঠ

দেশের জন্য প্রাণের আবেগ যখন দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে, তখন বিদেশ-বিভুঁইয়ে বসেও দেশের জনযুদ্ধের কথা অকুতোভয় সৈনিকের মতোই উচ্চারিত হয়। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরজুড়ে সেই সাহসী উচ্চারণ নিয়ে অনলাইনে প্রথম আলো-গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘একাত্তরের চিঠি’ থেকে পাঠ করছেন কানাডা টরন্টো থেকে বিশিষ্ট লেখক ও আবৃত্তিশিল্পী হিমাদ্রী রায়।

হিমাদ্রী রায় সুনামগঞ্জে সন্তান। পেশাগত জীবনে তিনি কানাডার টরন্টোতে বাস করেন। ১ ডিসেম্বর থেকে প্রতি রবি ও সোমবার বাদে প্রতিদিন টরন্টো সময় সকাল ১০টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে মুক্তিযুদ্ধের চিঠি-সংকলিত ব‌ই ‘একাত্তরের চিঠি’ থেকে নিয়মিত চিঠি পাঠ করেন। এর ধারাবাহিকতায় শেষ পর্ব হয় গতকাল শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর।

এই ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে হিমাদ্রী রায় বলেন, ‘দেশের মাটির ঘ্রাণ থেকে দূরে থাকা এমনিতেই বেদনার। কিন্তু সেই দেশের মাটিতে যে রক্তের দাগ লেগে আছে, তার কথা বর্তমান প্রজন্ম যদি না জানে, তবে তার দায় আমাদের। বাংলাদেশকে জানতে হলে, একাত্তরকে জানতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। প্রথম আলো ও গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ, যারা ‘একাত্তরের চিঠি’ গ্রন্থাগারে প্রকাশ করেছে। এটি একটি দুর্লভ ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। সে ইতিহাস সবার মননে ও মজ্জায় ছড়িয়ে দিতে আমার এ ডিসেম্বর মাসজুড়ে ‘একাত্তরের চিঠি’ পাঠের মতো ক্ষুদ্র প্রয়াস।