ভারতের মহিশুরে এক টুকরো বাংলাদেশ
মহিশুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। দেশের বাইরে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে দেশের কারও সঙ্গে পরিচয় হলে আমাদের সবার আন্তরিকতার কমতি থাকে না। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও নতুন কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে আন্তরিকতার কমতি ছিল না আমাদের। এ বছর মহিশুর ইউনিভার্সিটিতে প্রায় আটজন নতুন শিক্ষার্থী আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মহিশুরে আসেন। দেশের স্বনামধন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে মহিশুর ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ নিয়ে মাস্টার্স করতে এসেছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ ও ভারত। পাশাপাশি দুটি শব্দের অবস্থান ও উচ্চারণ যেমন মধুর ও ভালোবাসার, ঠিক তেমনি ভৌগোলিকভাবে দুটি দেশের মানুষের সম্পর্ক ও অবস্থান মধুর ও হৃদয়ের। সেটা বহুদিন ধরে দেখি আসছি। প্রতিবছর অনেক মানুষ ভারতে ঘুরতে আসেন।
মহিশুরে আসা নতুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহুদিন ধরেই আমাদের দেখা করার পরিকল্পনা ছিল। অবশেষে সেটা হলো। হঠাৎ করেই পরিকল্পনা হলো যে আমরা যে যার মতো রান্না করে (অর্থাৎ ওয়ান ডিশ পার্টি) নিয়ে দুপুরে একসঙ্গে খাব। যেমন কথা, তেমন কাজ। সবাই যে যার মতো বাহারি রান্না করে নিয়ে আসেন। সবার খাবারই অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল, সহজ ভাষায়, প্রশংসার দাবি রাখে। আমার হাত ভাঙা থাকায় আমি রান্না করতে পারিনি। তবে সঙ্গে করে নিয়ে গেছি মহামূল্যবান বাংলাদেশের পতাকা। দেশের বাইরে আসার পর বাংলাদেশের পতাকার প্রতি আবেগ, অনুভূতি খুব করে অনুভব করা যায়। যা দেশে থেকে তেমন একটা অনুভব মনে হয় করা যায় না।
খাওয়াদাওয়া শেষ করে খুব সুন্দর একটা আড্ডা দিলাম সবার সঙ্গে। সবাই সবার অনুভূতি শেয়ার করল—কেমন লাগছে দেশের বাইরে এসে। অবশেষে ছবি তোলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো আমাদের এই মিলনমেলার।