জীবনের সার্থকতার মন্ত্র
শিক্ষা, ক্ষমতা, অর্থ—মানবজীবনের তিন স্তম্ভ মহীয়ান,
সুন্দর ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অমোঘ প্রমাণ।
শিক্ষা আলো, খুলে দেয় জ্ঞানের উন্মুক্ত দ্বার,
ক্ষমতা দেবে সাহস, ঝড়েও থাকে অটুট অধিকার।
অর্থের কদর, তার কোনো তুলনা নেই,
সুখের পরশে যাপন করে, যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিই।
তবু সেরা জীবন সেই, যেথা মেলে স্বস্তি,
নদীর মতো শান্তি, পাখির সুরে ভরে প্রকৃতি।
শিক্ষার রূপে মনের জানালা খুলে যায়,
ক্ষমতার মহিমায় স্বপ্ন পূরণ হয়।
অর্থে সজ্জিত থাকে সংসার,
এই তিনেতে গড়া জীবনের প্রকৃত আদর্শ সঞ্চার।
তাই বন্ধু, কোরো না হেলাফেলা,
শিক্ষা, ক্ষমতা, অর্থে সাজাও মনের বেলা।
তবেই পাবে জীবন সার্থকতা,
সুস্থ, সুন্দর, স্বপ্নে পূর্ণ হবে বেঁচে থাকার কাহিনিটা।
এই তিনে মিলবে জীবন পূর্ণতা,
তবে মনে রেখো, ভালোবাসা আর মানবতা।
তাহলেই হবে মনোমুগ্ধকর জীবন,
সত্যিই মুগ্ধ হবে সবাই, পাবে শান্তির স্বর্গরাজ্য বিনা দ্বিধায়।
কিন্তু কে সুখী পৃথিবীতে, কে দুঃখী জানো?
যে কিছু করিল না, অন্যের জন্য কোনো।
জীবন দিতে হবে না, তবে একটু সহানুভূতি,
দিতে পারো যদি, তবেই পূর্ণ হয় মানবতা, শান্তি।
সুখী সে-ই, যে অন্যের হাসিতে হাসে,
দুঃখী সেই, যার হৃদয়ে করুণার আভাসে।
একটু সহানুভূতি, একটু ভালোবাসা,
মানবজীবনে বয়ে আনে অনন্ত আশা।
অন্যের কষ্টে যার হৃদয় কাঁদে,
সে-ই তো প্রকৃত সুখী, তার জীবন মধুর স্রোতে বাঁধে।
নিজের সুখ নয়, অন্যের মুখে হাসি ফুটানো,
এটাই জীবনের সার্থকতা, তবেই হবে জীবন জয়ের গাথা।
তুমি যদি পারো দাও মনের একটু জায়গা,
অন্যের দুঃখে দিয়ো সান্ত্বনা, দিয়ো ভরসার মায়া।
তাহলেই হবে পৃথিবী সুখী, হবে শান্তিপূর্ণ,
সহানুভূতি আর ভালোবাসায়, জীবন হবে সুন্দর, অনুরণন।