ক্যালগেরিতে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব
‘আসুন প্রিয় পতাকা ও দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরি বিশ্ব মানচিত্রে’—এ স্লোগান ধারণ করেই গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ক্যালগেরিতে অমিয়ধারার আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব ১৪৩০ অনুষ্ঠিত হলো। ২০০২ সালে ভাষা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে টিভি অনুষ্ঠান দিয়ে যাত্রা শুরু অমিয়ধারার। অনলাইন, টিভি এবং কিছু স্টেজ প্রোগ্রামের বাইরে এই প্রথম সারা দিন মেলার আয়োজন করেছে অমিয়ধারা। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে মেলা চলেছে রাত ১১টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে ছিল রংবেরঙের স্টল—শাড়ি, গয়না, পাঞ্জাবি, আচার, পিঠা, মিষ্টিসহ ছিল বিভিন্ন ধরনের খাবার। প্রসঙ্গত বলতে হয়, ক্যালগেরির স্বনামধন্য রেস্তোরাঁ উৎসব ছিল তাদের আকর্ষণীয় সব খাবার নিয়ে। অনুষ্ঠানটিকে বাঙালি স্বাদে মাতিয়ে দিতে ক্যালগেরির প্রথম ও ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি গ্রোসারি বাংলাবাজার সরবরাহ করেছে পান্তা-ইলিশ ও শুঁটকিভর্তা।
সন্ধ্যায় ছিল ক্যালগেরির শিল্পীদের পরিবেশনা—‘সন্ধ্যা কাটুক তারার মেলায়’। শুরুতেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান অমিয়ধারার পরিচালক অমিয় মুরতাজ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের গান, নাচ, আবৃত্তি মিলে খুব জমজমাট ছিল। ভীষণ ভালো লেগেছে সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ও চাইম ব্যান্ডের খালিদ স্মরণে পরিবেশনাটি। অনুষ্ঠানের শিল্পীরা ছিলেন শেখর কুমার সন্যাল, নাজনীন নেওয়াজ, অনিন্দ্য পাল, রীতা কর্মকার, ফারজানা হক চায়না, মিজান রহমান, শুভাশীষ চক্রবর্তী, জাফিরা ইলাহি হুসেন, খালিদা নাসরিন বাণী, রক্তিম হাসান, তাশফিন হুসেন তপু, রেনেসাঁ ইসলাম লিনিয়া, মৌ ইসলাম, রাহুল সরকার, জাহিদ হক, আইরিন মারিয়া, সালেহা আশরাফ কান্তা ও নক্ষত্র। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মনির হোসেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম অংশ ছিল র্যাফেল। পর্বটি খুব উপভোগ্য ছিল। অমিয় মুরতাজ ও রাতুল খুব সুন্দরভাবে ছোট তিনটি বাচ্চাকে দিয়ে দর্শকের অংশগ্রহণে দারুণভাবে পরিচালনা করেছে।
অমিয়ধারার এ অনুষ্ঠানে সবার অংশগ্রহণে ছিল প্রাণবন্ত। একটি সকাল কিংবা সন্ধ্যা নয়—একটি দিন ছিল সবার আনন্দের। মঞ্চ ছিল খুবই সুন্দর। নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১-কে স্বাগত জানিয়ে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের মাধ্যমে একটা সফল অনুষ্ঠান শেষ করেছে অমিয়ধারা।
*দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল অ্যাড্রেস [email protected]