টেক্সাসে ২১ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলাদেশ ডে’ হিসেবে পালিত

টেক্সাসের সব শহরে ২১ ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপনটা এবার বিশেষভাবে হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

এবার টেক্সাসের প্রতিটি শহরে ২১ ফেব্রুয়ারি উদ্‌যাপনটা বিশেষভাবে হয়েছে। কারণ, ওই দিনই টেক্সাসে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘বাংলাদেশ ডে’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এবার টেক্সাসে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘বাংলাদেশ ডে’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে
ছবি: লেখক
ছবি: লেখক

দিনটা ছিল মঙ্গলবার। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিন। কিন্তু তবুও ডালাস, হিউস্টন, সানঅ্যান্টোনিও, অস্টিনের অনেক বাঙালি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন, এ আনন্দঘন মুহূর্তকে চাক্ষুস করার জন্য।

ডালাস, হিউস্টন, সানঅ্যান্টোনিও, অস্টিনের অনেক বাঙালির উপস্থিতি এসেছিলেন এবারের একুশের উদযাপনে
ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত এখানে যেকোনো উদ্‌যাপন, উৎসব হয় সপ্তাহে, ছুটির দিনে। বিশেষ করে রোববারে। সেই হিসেবে ২৬ তারিখে, রোববার এবার মোটামুটি সব শহরেই ছিল সাদা কালো রঙ্গের বন্যা। বছরের এ সময়টা ঠান্ডাই থাকে। কখনো খোলা পার্কে, অথবা কোনো অডিটোরিয়াম ভাড়া করে অনুষ্ঠান করা হয়। আর এসব অনুষ্ঠানে বিশেষ করে বাচ্চাদের অংশগ্রহণ থাকে এক বিরাট আকর্ষণ।

লেখক

প্রবাসে, তা যেকোনো শহরই হোক, সবাই ব্যস্ত। ঘরে বাইরে সব কাজ নিজেদের করতে হয়। তারপরও কোনো উৎসবের অন্তত: তিন সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয় পরিকল্পনা। সেটি এক আনন্দঘন সময়। সঙ্গে চলে চা-নাশতার বহর।

বাংলাদেশি শিশুদের আয়োজনও ছিল এবার
ছবি: লেখক

এবার সানঅ্যান্টোনিওর বাংলাদেশি শিশুদের ছোট্ট এক কমিউনিটি থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে ছোটদের সঙ্গে যুক্ত হয় বড়রা, চলে এক মহাযজ্ঞ। বোঝাই যায়, কেউ পুরোপুরী তৈরি নয়। আবার তাদের প্রচন্ড ইচ্ছাটাও দেখা যায়। কখনো তো মঞ্চের গানের চেয়ে পেছনে বসা দর্শকের কথার আওয়াজ বেশি আসে।

কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত। সবার মনে দেশের জন্য। নিজের ভাষা, নিজের সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসাটা কিন্তু অদম্য আর অটুট। হয়তো এভাবেই প্রবাসীরা তাদের মনে ‘ছোট্ট এক টুকরো’ বাংলাদেশকে বহন করে চলে নিরন্তর।

দূর পরবাসে লেখা ও ছবি পাঠাতে পারেন [email protected]–এ।