ফ্রান্সে কৃতী শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের সংবর্ধনা

ফ্রান্সে নিজেদের মেধা, দক্ষতা ও শ্রম দিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। গত এক দশকে আইন, প্রকৌশল, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোয় বাংলাদেশিদের সন্তানেরা নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেছেন। এসব কৃতী শিক্ষার্থী, উদীয়মান তরুণ ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা, পেশাগতভাবে যোগ্য ও মেধাবীদের একটানা ষষ্ঠবারের মতো সংবর্ধনা দিয়েছে ফ্রান্সের শীর্ষ জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ)। ‘বিসিএফ রিইউনিয়ন এবং কৃতী সম্মাননা-২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

উপস্থাপক জহিরুল রানা ও তানিয়া রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিসিএফের সভাপতি নূর। বাংলাদেশ দূতাবাস ফ্রান্সের মিশন উপপ্রধান কাজী এহসানুল হক, ডিফেন্স এটাসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান ও দূতালয়প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এবং কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করেন।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে প্যারিসের একটি অভিজাত হলে বাক, লিসন্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে মোট ২১ জন নিবন্ধিত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য হাসনাত জেহান (লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট), আরিফ রানা-কুমকুম সৈয়দা (সংস্কৃতি), মিয়া মাসুদ (উদ্যোক্তা), আরশী বড়ুয়া (উদীয়মান বেহালাবাদক), মোজাম্মেল হোসেন (বিসিএফ সেরা কর্মী) ও জহিরুল রানাকে (সেরা উপস্থাপক) ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন মৌসুমী চক্রবর্তী ও সোমা দাস। কোরিওগ্রাফার জি এম শরীফুল ইসলামের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন অমৃতা রায়, ছায়া দাস, মল্লিকা রানী বোস ও প্রিয়তা বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিল ফ্রান্সে বেড়ে ওঠা খুদে শিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্মের প্রতিযোগিতা।

জমকালো এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধাবীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তাঁরা আরও বলেন, বাংলাদেশিদের সন্তানেরা শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও খেলাধূলায় নিজেদের যোগ্যতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তাঁদের পরিচর্যার মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারলে তাঁরাই জন্মভূমির মর্যাদা আরও প্রতিষ্ঠিত করবেন।