জীবননদী

এ মহাবিশ্বের কোনো কিছুই স্থির নয়, বরং সদা পরিবর্তনশীল। আর এটাই ধ্রুব সত্য, এর ব্যতিক্রম নেই। মহাবিশ্বের গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র, গ্রহাণুপুঞ্জ সর্বদা এক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। ঠিক একইভাবে আমাদের মানবসমাজও সদা পরিবর্তনশীল। সৃষ্টির সেই আদি থেকে কতশত পরিবর্তনের পর আমরা আজকের এই অবস্থায় এসেছি। আরও কতশত পরিবর্তন ঘটা বাকি। পরিবর্তন ঘটছে প্রকৃতিতে, পরিবর্তন ঘটছে প্রযুক্তিতে আর সেই সঙ্গে পরিবর্তন ঘটছে আমার জীবনযাত্রায় এবং মন ও মননে। কোন পরিবর্তন ভালো আর কোন পরিবর্তন মন্দ, এটা বিচার করতে যাওয়া বোকামি।

ছবি: সংগৃহীত

আপাতদৃষ্টিতে যেটা ভালো মনে হচ্ছে, সেটাই হয়তোবা একসময় খারাপ বলে বিবেচিত হবে; আবার এখনকার সবচেয়ে ভালোটাও একসময় হয়তোবা চরম খারাপ বলে বিবেচিত হতে পারে। আমাদের এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের আর ক্ষমতাইবা কতখানি। তাই জীবনযাপনের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, সময়ের সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরা। অনেকটা স্রোতের নদীতে ভেসে যাওয়ার মতো। আপনি স্রোতে ভেসে না গিয়ে কিনারে ওঠার চেষ্টা করতেই পারেন, সেটা আপনার নিজস্ব বিবেচনা। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, নদী যতই খরস্রোতা হোক না কেন, তার গন্তব্য কিন্তু সেই মোহনায়।

এরপর তার সব বাহাদুরি শেষ। আমাদের জীবনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আমার জন্ম যতই বনেদি পরিবারে হোক না কেন, আমার ঝোলায় যতই ডিগ্রি থাকুক না কেন, আমার সন্তানসন্ততি যতই নামজাদা হোক না কেন, আমার যতই শান-শওকত থাক না কেন, আমাকে আপনাকে কিন্তু সেই মৃত্যুই গ্রাস করবে একদিন। পাশাপাশি প্রকৃতির নিয়মেই জন্ম নেবে নতুন মানবশিশু এবং সেও একইভাবে একই পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে। মধ্যের সময়টুকুতে শুধুই ছেলেখেলা। আমি, আপনি হয়তোবা নিজের ইচ্ছাই খেলে যাচ্ছি অথবা কোনো এক অসীম শক্তি আমাকে, আপনাকে তার খেলার পুতুল বানিয়ে খেলছে। আমি, আপনি আজ এখানে তো কাল অন্যখানে। পৃথিবীর কোনো কিছুই আমার, আপনার জন্য ফিক্সড নয়; শুধু ওই শেষ পরিণতি ছাড়া। আপনি যদি আপনার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াটার দিকে নজর দেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন এই ধ্রুব সত্য। আপনি হয়তোবা কোনো কিছু অর্জনের জন্য চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত আদৌও আপনার হবে কি না, সেই নিশ্চয়তা কিন্তু আপনার মন আপনাকে দেবে না। কারণ, মানবমন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে রহস্যময় বস্তু। আসলে বস্তু, নাকি অন্য কিছু? আবার আপনি চাইলেই কল্পনায় অনেক কিছুরই মালিক বনে যেতে পারেন। সেটাও আপনার নিজস্ব ধ্যানধারণার ওপর নির্ভর করছে। তার মানে, আপনার নিজের জীবনের নিয়ন্তা আপনি? নাকি কোনো অদৃশ্যশক্তি। প্রকৃতি বড়ই রহস্যময়।

ছবি: সংগৃহীত

আর এই রহস্যময়তাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। জীবনে যদি এই সব রহস্য, অনিশ্চয়তা না থাকত, তাহলে জীবনটা একেবারে কুয়ার পানির মতো স্থবির হয়ে যেত। সেখানে জীবনের এই বয়ে চলার কোনো অস্তিত্ব থাকত না। তার তলায় জমত শেওলা। আর সেই শেওলায় হয়তো একসময় পুরো জীবনটা গ্রাস করে নিত। উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন, তারা জীবনটাকে সহজ করার জন্য অহোরাত্রি কাজ করে চলেছে। এতে জীবন থেকে চার্ম বলেন বা হঠাৎ উত্তেজনা বলেন, সবই বিদায় নেওয়ার পথে। জীবনকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য যে নেগেটিভ ব্যাপারগুলো কতটা জরুরি, সেটা আমি বুঝেছি দেশান্তর হওয়ার পর। এ ছাড়া পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেও আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। যে রাষ্ট্রের জীবনযাত্রা যত বেশি উন্নত, সেই রাষ্ট্রের স্বেচ্ছামৃত্যুর হার তত বেশি। কারণ, একঘেয়ে জীবনযাপনে তারা একসময় ক্লান্ত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। দেখবেন, উন্নত বিশ্বের কিছু কিছু মানুষ অনেক সময় গরিব দেশে গিয়ে সেই দেশের সাধারণ মানুষের জীবন বেছে নেন। এই মানুষগুলো বুঝতে পারেন, জীবনের আসল মানে কী? কিন্তু সুরক্ষিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত অনেকেই সেই ঝুঁকি নিতে সাহস পান না।

যা-ই হোক, বাস্তবতায় ফিরে আসা যাক। ছোটবেলায় যখন আমরা পাড়ার সব ছেলেরা মিলে দল বেঁধে বাড়ির পেছনের মাঠে সকাল-বিকেল হাঁটতে যেতাম, তখন মা মাঝেমধ্যেই বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ‘তোদের কি মাঠে জমিদারি আছে?’ আমরা বলতাম, ‘আমরা তো জন্ম থেকেই জমিদার। আর পুরো পৃথিবীটা আমাদের জমিদারি, এমনকি আমাদের জমিদারি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিভিন্ন প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।’ এরপর সময়ের পরিক্রমায় জীবন কোথা থেকে কোথায় নিয়ে এসে দাঁড় করাল। এখন যখন সকাল-বিকেল বাচ্চা দুটি আর আমি ঘুরতে বের হই, তখন গিন্নিও মাঝেমধ্যে বিরক্ত হয়ে একই কথা বলে। তখনো আমরা একই উত্তর দিই। যদিও আমাদের জীবনে ইতিমধ্যেই অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়ে গেছে। কোথাকার মানুষ আমি কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি। সঙ্গী-সাথিদের মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। পুরোনো কত সাথি হারিয়ে গেছে, নতুন কত সঙ্গী যোগ হয়েছে। অবিরত চলছে এই যোগ-বিয়োগের খেলা। আবার হঠাৎ হঠাৎ পুরোনো সাথিরা এসে পথ রোধ করে দাঁড়ায়, বলে, কত দিন দেখা হয়নি। কিন্তু জীবননদী থেমে নেই। আর এই জীবননদী আবার সবার একই রকম নয়। কারও নদী পাহাড়ি পথ পারি দেয় তো কারও যদি সমতলের বিস্তৃত এলাকা ভাসিয়ে চলে, কিন্তু চলতেই থাকে। কারণ, এই বয়ে চলাই নদীর ও জীবনের ধর্ম।  

এই বয়ে চলাতে কত কিছুর মুখোমুখিই না হতে হয় নদীকে এবং আমাদের। কেউ এসে বাঁধ দিয়ে দিতে চাই, কেউ এসে আবার বুক থেকে পানি সেচে মুক্ত কুড়িয়ে নেয়, কেউ এসে আবার প্রাকৃতিক কর্ম করতেও দ্বিধা করে না; কিন্তু এর কোনো কিছুই বয়ে চলার গতি রোধ করতে পারে না। শুরুতে বলছিলাম পরিবর্তনে কথা। নদীর আর জীবনের গতিপথ আসলে এই পরিবর্তনে কথায় বলে। কোথাও উঁচু তো পথ বদলে গেল আবার কোথাও বাধা পেয়ে বিকল্প রাস্তা নিল। আসলে নদীর এবং জীবনের গতিপথ কখনোই মসৃণ নয়। আমাদের ক্ষণে ক্ষণে কাজের ও ভাবনার পরিবর্তন করতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কোনো ভাবনা আঁকড়ে থাকার কোনো উপায়ই নেই। কিছু মানুষ এবং ঘটনাকে আমরা সময়ের প্রয়োজনে জীবন থেকে বিতাড়িত করছি, আবার সময়ের প্রয়োজনেই তাদের কাছেও টানছি। আসলেই জীবনের কোনো ফিক্সড সিলেবাস নেই। যারাই জীবনটাকে সিলেবাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে চায়, তারাই জীবনটাকে জটিল করে ফেলে। এতে একদিকে যেমন তারা নিজেদের জীবন বিষিয়ে তোলে, অন্যদিকে পরিবার-পরিজন—এমনকি পুরো সমাজের জীবনযাত্রাই বিষিয়ে তুলতে পারে।

যা-ই হোক এগুলোর সবই একটা জীবনযাপনের অংশ। আপনার পাশের মানুষটার মানসিকতা কুৎসিত বলেই কিন্তু আয়নাতে আপনার চেহারাটা সুন্দর লাগে। আপনার পাশের মানুষটার সঙ্গে আপনার মতের অমিলটাই আপনাকে আরও বেশি জানার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে। অন্যের জীবনের অভাব-অনটন আপনাকে মনে করিয়ে দেয় আপনি কতটা সৌভাগ্যবান। অন্যের অশিক্ষা-কুশিক্ষা আপনাকে সহনশীল হতে সাহায্য করবে। অন্যের দুর্ব্যবহার আপনাকে আরও কোমল করে তুলবে। অন্যের একগুঁয়েমি আপনাকে আরও উদার করে তুলবে। অন্যের অপূর্ণতাগুলো আপনাকে পূর্ণতার স্বাদ দেবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই তুলনা করাটা কতটা সমীচীন বা আদৌ করা উচিত কি না? আমার মতে, মোটেও অন্যের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনের অর্জনের তুলনা করা উচিত নয়। তবে এই পৃথিবী সম্বন্ধে একটা সম্যক জ্ঞান থাকা উচিত, তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বেঁচে থাকাটা কতটা সার্থক। আর জীবনের কোন কোন দিকগুলোর পরিবর্তন করা জরুরি।

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটা কবিতা আছে, যেখানে লেখা আছে, ‘ধর্মে নাই তাই জিরাফেও নাই’। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে এই দুটিতেই থাকতে হবে। বিস্তারিত পরবর্তী কোন লেখায় বলার ইচ্ছা আছে। কথাটা বললাম কারণ, অতিসম্প্রতি আমার এক সিকি পরিচিত বন্ধু আমাকে নিয়ে বলেছে, ‘ও তো একটা ছাগল, দুই দিন পরপর পোলটি মারে।’ এটা জানার পর ভীষণ মন খারাপ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আমি এটার ব্যাখ্যা দাঁড় করলাম এইভাবে। সেটা হলো, একই মানুষের মধ্যে ভালো-মন্দ দুটি সত্তা আছে। আমি হয়তোবা একই ব্যক্তির খারাপ কাজের সমালোচনা করছি, আবার যখন সে কোনো ভালো কাজ করছে, তখন আমি আবার তার গলা জড়িয়ে ধরছি। যা-ই হোক, ভদ্র সমাজের এই একটা বিষয় আমাকে ভাবায়। এরা কখনোই কারও ভালো কাজের গুণগান করে না; কিন্তু খারাপ কাজের জন্য ধুয়ে দেয়। আবার অনেক সময় মনের অভিব্যক্তিটা মনের মধ্যে পুষে রাখে, যেটা দিন দিন বেড়ে একসময় সম্পর্কটাই শেষ করে দেয়। আমার কথা হচ্ছে, আপনি যদি তাকে বন্ধুই ভাবেন, তাহলে সরাসরি আপনার অনুভূতিটা তাকে বলুন। আমরা তা না করে ফেসবুকে একটা ভাববাচ্যের স্ট্যাটাস দিই। এতে সেই মানুষ ছাড়াও অন্য মানুষদের সঙ্গে অকারণে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়।

আবারও পরিবর্তনের কাছে ফিরে আসি। অস্ট্রেলিয়াতে কদিন ধরেই বাংলাদেশের বর্ষাকালের মতো বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো ভারী বর্ষণ আবার কখনোবা ইলশেগুঁড়ি, কখনে টানা আবার কখনো থেমে থেমে; কিন্তু জীবনযাত্রা থেমে নেই। এর মধ্যেই মানুষ ছাতা মাথায় দিয়ে তাদের প্রাত্যহিক কর্ম সেরে চলেছে। অবশ্য জনপরিবহনগুলোতে সময়ের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যেমন আজ সকালের ট্রেন এসেছে পাঁচ মিনিট দেরিতে। স্টেশনের কার পার্ক থেকে প্ল্যাটফর্মে যেতে আমি ইলশেগুঁড়ির কবলে পড়লাম। প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেখি, ট্রেন দেরিতে আসবে। ট্রেনে উঠে আমি কোনো নির্দিষ্ট সিটে বসি না। দোতলা মিলিয়ে যখন যেটা ফাঁকা পাই, বসে পড়ি। আজ ইচ্ছা করেই দোতলার ডান দিকের একটা সিটে বসলাম, যাতে পুবের আকাশটা দেখা যায়। সকালের পুবের আকাশে রঙের খেলা চলতে থাকে। সুয্যি মামা তখন আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠে। আর তার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় আলোর এই খেলা।

আজও পুবের মেঘের ওপর সুয্যি মামার আলোর আভা এসে পড়েছিল। মনে হচ্ছিল, মাটির চুলায় রান্না করার পর ছাইয়ের ওপর যেমন আগুনের আভা লেগে থাকে, ঠিক তেমনই দেখাচ্ছিল আকাশটা। অবশ্য একটু পরই আবার পুরোপুরি ছাইরঙা হয়ে গেল। আমি লেখায় মগ্ন থাকায় মাসকাট স্টেশনে নামতে ভুলে গেলাম। গ্রিন স্কয়ারে নেমে টানলে ঢোকার মুখের দোকান থেকে একটা এক ডলারের কফি নিয়ে নিলাম। বাসস্টপে এসে দেখি, পুনম বৌদিও বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমাকে দেখে হাত নাড়লেন। আমি বললাম, আজ তো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে আর আমি আবার মাসকাটে নামতেও ভুলে গেছি। তিনি বললেন, তিনিও কয়েক সেকেন্ডের জন্য আগের বাসটা মিস করছেন। আমি বললাম, ব্যাপার না, আজ তো শুক্রবার, হোক না একটু দেরি সবকিছুতেই। বলতে বলতে তাঁর বাস চলে এল। তার একটু পর আমার বাস। বাসে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে এলাম অফিস পর্যন্ত। আর লেখার সুযোগ পেলাম না। অর্ধেক লেখা লিখতে হলো অফিস ফাঁকি দিয়ে।

এটাই জীবন। পরিবর্তন আর বয়ে চলা। কাল থেকে সপ্তাহান্তে শুরু হচ্ছে। এই পুরো সপ্তাহই নাকি বৃষ্টি হবে। হোক বৃষ্টি, জীবন তো আর থেমে থাকবে না। জীবন চলবে তার নিজস্ব গতিতে আর আমরাও চলব তার পথ ধরেই। আজ শুক্রবার। এখানে সবাই বলে হ্যাপি ফ্রাইডে। কারণ, আগামীকাল থেকে সপ্তাহান্তে। সপ্তাহটা যেমনই যাক, শুক্রবার এলেই সবাই চেহারার মধ্যে একটা জেল্লা দেখা যায়। সবার মুখেই হাসি লেগে থাকে। সপ্তাহের অন্যান্য দিন ট্রেনে বাসে সবাই মুখ গোমড়া করে বসে থাকলেও এদিন বিকেলবেলা সবাই গুজুর গুজুর ফুসুর ফাসুর করে গল্প জুড়ে দেয়। তখন মনে হয়, এরা গত পাঁচ দিনের রোবটজীবন থেকে মানবে রূপান্তরিত হচ্ছে। একজন মানুষ পাশের অপরিচিত মানুষের সঙ্গে কথা না বললে কিসের জন্য এই মানবজনম। সপ্তাহান্তটা সবার ভালো কাটুক, এই প্রত্যাশা রইল। শুভ শুক্কুরবার!

*দূর পরবাসে লেখা পাঠাতে পারবেন [email protected] এ।