যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম প্রজাপতির ফার্ম, অসাধারণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা

ছুটির দিনে গিয়েছিলাম ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক একটি শহরে (স্ট্র্যাটফোর্ড-আপন-অ্যাভন)। বিশ্বের প্রখ্যাত ইংরেজ কবি, অভিনেতা এবং নাট্যকার উইলিয়াম শেকস্‌পিয়ারের জন্মস্থান। এ শহরেই যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বাটারফ্লাই (প্রজাপতির) ফার্ম অবস্থিত।

কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখতে পাব প্রজাপতির ফার্ম। এটা ভাবতেই খুব আনন্দ হচ্ছিল। প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই মনে হচ্ছিল, প্রজাপতির ফার্ম দেখব এটা একই সঙ্গে বিস্ময়কর এবং আনন্দের।

মেইন গেট পার হতেই চোখে পড়ে একটা স্যুভেনির শপ এবং টিকিট কেনার অফিস। এরপরেই বহুল প্রতিক্ষিত প্রজাপতির রাজ্যে প্রবেশ করলাম। প্রথমেই যেটা দেখলাম, প্রজাপতিরা অনেক রকমের ফল খাচ্ছে। আমি জানতামই না প্রজাপতিরা ফল খায়। আরও আছে পাখি, গাছে কবুতর, ডালে প্রজাপতি। কি যে ভালো লাগা এবং আনন্দের অনুভুতি, বলে প্রকাশ করা মুশকিল। আছে এদের বেঁচে থাকার জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও।

আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে প্রজাপতি খুঁজছি। আর প্রজাপতি দেখামাত্রই আনন্দে দিশাহারা অবস্থা আমার। এ অনুভব আসলে বলে বোঝানো যাবে না।

প্রজাপতিগুলো স্বাস্থ্যকর এবং আরামদায়কভাবে বেঁচে থাকার জন্য ব্যবস্থা আছে, আছে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও। বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে যাতে প্রজাপতিগুলো মনের সুখে ঘোরাঘুরি করতে পারে। আছে শ্যাওলাযুক্ত পাথর, লতানো গাছের পাতা। পাশাপাশি ঝোপঝাড়ের আদলে বানানো হয়েছে কিছু অংশ। কোনো কোনো জায়গা জীর্ণ দালানের মতো। আবার কোনো অংশ বাড়ির আঙিনার মতো। অনেক রকমের আবহে তৈরি এই প্রজাপতি ফার্ম।

ছোট বড় সবার জন্যই ভীষণ ভালোলাগার এক অভিজ্ঞতার জায়গা এই প্রজাপতির ফার্ম। প্রজাপতি আর গাছের পাতার রং মিলেমিশে একাকার। এখানে গুল্ম গাছও আছে। সিলিংয়ে ঝুলছে ফ্যান, যেটা এই গ্রিন হাউজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। অপর প্রান্তে আছে পুকুর, ঝরনা আরও অনেক কিছু। পুকুর, মাছ, প্রজাপতি—সব মিলিয়ে এক অপূর্ব দৃশ্য। সব মিলিয়ে অসাধারণ এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।

**দূর পরবাস–এ ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল অ্যাড্রেস [email protected]