অগোছালো ডায়েরির পাতা
কী যেন একটা দলা পাকিয়ে আছে বুকের মধ্যে।
ঠিক যেকোনো মুহূর্তে অগ্ন্যুৎপাতের মতো বিস্ফোরিত হবে।
গলিত লাভার মতো বের হয়ে যাবে রক্তাক্ত আর্তনাদ, চিৎকার, হতাশা আর অসহায়ত্ব।
কেউ জানবে না, কেন কিংবা কীভাবে?
কারোর জানার কথাও না, কেউ কখনো জানতেও চাইবে না।
জ্যৈষ্ঠের খাঁ খাঁ করা রোদের মতো যেই তৃষ্ণা বুকে জমে আছে;
সেইখানে একপশলা বৃষ্টির মতো করে কেউ জুড়িয়ে দেবে না তৃষ্ণার্ত বুকটা।
হাওয়াই মিঠাই হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে সব সুখ।
আর অমাবস্যার মতো গোগ্রাসে গিলে ফেলছে চাপা কিছু কষ্ট।
সেইটা একান্তই নিজের বলেই আমি মেনে নিয়েছি।
তবু ইচ্ছা করে আমার একটা একান্ত আপনজন থাকুক।
যাকে মানুষ্য ডাস্টবিনের মতো করে উগরে দেওয়া যাবে
জমে থাকা অনর্গল সব না–বলা কথা।
আমি মেনে নিয়েছি, আমার সব ফুরিয়ে গেছে।
আমি বিশ্বাস করি, সৃষ্টিকর্তা সবকিছুর জন্য
রিজিক বরাদ্দ করে দিয়েছেন, হাসি–কান্না–বেদনা সব স-ব!
আমার বেলা ফুরিয়েছে, সেই একান্ত আপনজনের কোটা ফুরিয়েছে।
দমকা বাতাসের মতো যখন–তখন কারও সঙ্গে মন খুলে বলার মতো মানুষেরা মিলিয়ে গেছে আকাশে।
এখন শুধু শূন্যতা, শুধুই শূন্যতা।
একদিন খুব গভীর রাতে হয়তোবা সব উগলে বেরিয়ে যাবে ভীষণ নির্জনতায়।
এই বুকের শূন্যতা, দলা পাকানো সব জমাট অনাথ কষ্ট একদিন বের হয়ে যাবে অভিযোগের বান হয়ে সন্তর্পণে।
সৃষ্টিকর্তা হয়তোবা মুচকি হেসে তা–ই চাইছেন।
আমি শুধুই তাঁর কাছেই চিৎকার করে সব বলি।
স্বার্থপরের মতো না–শোনার ভান করে চুপ করে বসে আছেন।
আমি কবে ফিরব সব অভিযোগ নিয়ে, সেই আশায়।