বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা নিতে চীনের গুয়াংশিতে
চীনের ঝুয়াং এবং ইয়াও জাতিগোষ্ঠীর রঙিন ও অনন্য লোকসংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্পষ্টভাবে পরিচিত করার জন্য ‘আন্তর্জাতিক মিডিয়া ট্যুর’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা এ সফরে অংশ নেন।
১৭ থেকে ২০ মে ‘আন্তর্জাতিক মিডিয়া ট্যুর’ টি গুয়াংশি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের লাইবিন শহরে আয়োজিত হয়। শহরটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের জন্য পরিচিত।
এ সফরের উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গুয়াংশিতে বসবাসরত ঝুয়াং এবং ইয়াও জাতিগোষ্ঠীর দুর্দান্ত সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, স্কলার ও গণমাধ্যমকর্মীরা লাইবিন শহরের বিভিন্ন কাউন্টি ও গ্রাম পরিদর্শন করেন।
সফরে অংশগ্রহণকারী গুইলিন ইউনিভার্সিটি অব ইলেকট্রনিক টেকনোলজিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের আমন্ত্রণে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের লাইবিন শহরে বেড়াতে এসেছি। এখানকার সংখ্যালঘু মানুষের সরলতা, প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ ও উদারতা—সত্যিই তাদের বিশ্বের একটি অনন্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়।
আমি সত্যিই আনন্দিত এবং বিস্মিত এ ধরনের অনন্য ইভেন্টের সাক্ষী হতে পেরে। ঝুয়াং এবং ইয়াও জাতিগোষ্ঠীর দুর্দান্ত সংস্কৃতি প্রসারে, দ্রারিদ্য বিমোচন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।’
কাজাখস্তানের শিক্ষার্থী খাইরুলিনা ইউলিয়া বলেন, ‘আমরা একটি মেডিকেল ক্লিনিক পরিদর্শন করেছি, যেখানে আমরা ইয়াও-স্টাইলের ঐতিহ্যবাহী ওষুধের স্নানের অভিজ্ঞতা পেয়েছি। জাতীয় জলাধার পার্কে বনের বানরদের দেখা এবং খাওয়ানো একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা ছিল।
আমরা লাইবিন শহরের শিনচেং কাউন্টি পরিদর্শন করে আমাদের ট্রিপ শেষ করেছি, যেখানে আমরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেছি। ভ্রমণটি সত্যিই উপভোগ্য ছিল। স্থানীয় ঐতিহ্য আমাকে সত্যিই আকৃষ্ট করেছে এবং আমি এখানে আবার আসতে চাই।’
চার দিনের সফরে পরিদর্শনকারী দলটি লাইবিন শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ঝুয়াং এবং ইয়াও জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ, শিল্প উন্নয়ন ও পর্যটনশিল্পের বিকাশ, চা–সংস্কৃতি ও গ্রামীণ লোকসংস্কৃতি, ইয়াও জাতিগোষ্ঠীর ওষুধ তৈরির অভিজ্ঞতা, সাদা ঘোড়ার নাচ, হস্তশিল্প, ঝুয়াং এবং ইয়াও জাতিগোষ্ঠীর গানের ছন্দের অভিজ্ঞতাসহ নানা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ, ফ্রান্স, মাদাগাস্কার, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, কম্বোডিয়াসহ অন্যান্য দেশ ও অঞ্চল থেকে ২১ জন বিদেশি সাংবাদিক, শিক্ষার্থী এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি দল এ সফরে যোগ দেয়।