পবিত্র কাবার পথে–১

পবিত্র আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করছেন মুসল্লিরাছবি: লেখকের পাঠানো

পবিত্র ওমরা হজ পালনে এক আশ্চর্য শান্তির অনুভূতি পাওয়া যায় এবং ফিরে আসার সময় মনে হয় শিগগিরই আবার ফিরে আসতে হবে আল্লাহর ঘরে। কিন্তু আল্লাহ মনের এই ইচ্ছা কবুল না করলে ফিরে আসা হয় না। জীবন হাজারো ব্যস্ততায় কেটে যায়। ১১ বছর পর এই রমজানে আমাদের আবার সুযোগ হয়েছিল রমজানের প্রথম সপ্তাহে ওমরা হজ পালনের। সহধর্মিণী খালেদা খুব করে চাইছিল রোজায় যাওয়ার জন্য। দুজনের ছুটি ম্যানেজ করে তাই ছয় দিনের জন্য ওমরাহ করতে গেলাম। ১১ বছর আগে যখন প্রথম ওমরাহ করতে যাই, তখন আমাদের বড় মেয়ে ইসরার বয়স তিন আর ছোট মেয়ে ইনায়দার জন্ম হয়নি। এখন বড়জনের বয়স ১৪ আর ছোটজনের বয়স ৯। এবার দুজনেরই খুব উৎসাহ।

সৌদি এয়ারলাইনসে ইউকে থেকে জেদ্দায় পৌঁছাতে রাত ১১টা। ট্যাক্সির খোঁজে টার্মিনালের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নেমে এলাম। নতুন কোনো জায়গায় যাওয়ার আগে ট্রিপ অ্যাডভাইজারে ওই দেশ নিয়ে কিছু ধারণা নেওয়া আমার অভ্যাস এবং তা অন্য ইউজারদের বাস্তব অভিজ্ঞতার টিপস থেকে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। ট্যাক্সির ব্যাপারে বলা ছিল যে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো অফিশিয়াল সবুজ ট্যাক্সি নিতে। কারণ, অন্য ট্যাক্সি ভাড়া বেশি চায়, আবার নিরাপদও না। আমাদের ভাগ্য ভালো যে আমাদের সিরিয়ালের সবুজ ট্যাক্সির ড্রাইভার বাংলাদেশের সোহেল ভাই। গল্প গল্প করতে করতে হাইওয়েতে উঠে গেলাম।

জমজম টাওয়ারের ওপর থেকে পবিত্র কাবা ঘর। তাওয়াফ করছেন মুসল্লিরা
ছবি: লেখকের পাঠানো

একটু আগে জেদ্দা এয়ারপোর্টে প্লেন ল্যান্ড করার আগে রাতের আকাশ থেকে এই হাইওয়ে দিয়ে ছুটে চলা গাড়ির বহর দেখেছিলাম। এখন আমাদের গাড়িও হাইওয়ে ধরে রাতের জেদ্দা থেকে পবিত্র মক্কা নগরের দিকে ছুটছে। সোহেল ভাই গাজীপুরের লোক, দুই বছর আগে সৌদিতে এসেছেন, মাঝখানে আর দেশে যাওয়া হয়নি। জানালেন, মাত্র তো দুই বছর, সৌদিতে আসার ছয় লাখ টাকা এখনো তুলতে পারেননি। মরুভূমির দেশগুলো প্রবাসীদের জন্য মরুর আবহাওয়ার মতোই রুক্ষ।

জেদ্দা থেকে মক্কার দূরত্ব ৯৩ কিলোমিটার, বিশাল হাইওয়ে একদম ফাঁকা। এক ঘণ্টায় আমরা চলে এলাম মক্কার কাছাকাছি, ২০-২৫ কিলোমিটার দূর থেকেই মক্কা নগরের সবুজ ঘড়ি দেখা যাচ্ছে। তার পরই শুরু হলো ট্রাফিক জ্যাম। রাত তখন ১টা, কিন্তু রাস্তায় শম্বুকগতিতে একেকটি গাড়ি এগোচ্ছে। শেষের এই ২০ কিলোমিটার যেতে আমাদের লাগল এক ঘণ্টা। রাত দুইটার কিছু পরে সোহেল ভাই ক্লক টাওয়ারে আমাদের হোটেল জমজমের সামনে নামিয়ে দিলেন। মিটার দেখে যত ভাড়া চাইলেন তারচেয়ে একটু বেশি দিয়ে তাঁকে বিদায় জানালাম।

ক্লক টাওয়ারে চার–পাঁচটি হোটেল আছে, যার রিসেপশন বিভিন্ন ফ্লোরে। আমাদের চেক ইন ছিল বেলা তিনটা থেকে। এখন রাত প্রায় দুইটার ওপরে। গত মাসে পোর্টসমাউথ থেকে সনি ও সুমন ভাইয়েরা একই হোটেলে বুকিং দিয়েছিলেন। তো রাতে চেক ইন করতে গেলে হোটেল থেকে জানায় যে ওনারা দেরি করে আসায় রুম অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর কিছু তাঁরা শুনতে নারাজ। পরে ওনাদের পাশের এক হোটেলে অনেক টাকা দিয়ে আবার বুক করতে হয়েছে। ওনাদের এই তিক্ত অভিজ্ঞতা শুনে আমি এক সপ্তাহ আগে সরাসরি হোটেলে ফোন করে বলেছিলাম যে আমরা রাত দুইটার পরে চেক ইন করব, ওরা যেন নোট লিখে রাখে। দেখলাম, এতে কাজ হয়েছে। আমাদের চারজনকে দেখেই রিসেপশনের মেয়েটি জিজ্ঞাসা করছে ‘আহমেদ ফ্যামিলি’ কি না। যাক, টেনশনমুক্ত হওয়া গেল। আমাদের জানাল যে রমজানে নাশতার বদলে বুফেতে সাহ্‌রির ব্যবস্হা। আজ সাহ্‌রির শেষ সময় সাড়ে চারটা।

রুমে ফ্রেশ হয়ে সাহ্‌রি করতে গেলাম রেস্টুরেন্টে। বেশ বড় বুফে রেস্টুরেন্ট, বিভিন্ন দেশের খাবার আছে, ওয়েটারদের বেশির ভাগই বাংলাদেশের। বাংলায় কথা বলায় খুব আন্তরিকতার সঙ্গে ওনারা আপ্যায়ন করলেন। প্লেনে অনেক আগে খেয়েছিলাম, তাই বেশ আরাম করে এখানে খাওয়া গেল। এক জায়গায় দেখলাম, ডিমের বিভিন্ন আইটেম করে দিচ্ছে। সেফকে বললাম, একদম বাংলাদেশি স্টাইলে ডিম ভেজে দিতে, ভাত দিয়ে খাব। অল্প বয়সী ভাইটি খুব মজা পেয়ে আমাকে পেঁয়াজ, মরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে ডিম ভেজে দিল।

সাহ্‌রি শেষে ফোন দিলাল হাফিজ তাজুলকে। আমাদের প্রথম ওমরাহ করার সময় ওনার সঙ্গে পরিচয়। এখনো যোগাযোগ আছে। উনি বললেন ফজরের নামাজের আজান দিলে নিচে নামতে, ওনার ভাই জহিরুল ইসলাম হুজুরকে পাঠাচ্ছেন, যিনি আমাদের সঙ্গে ওমরাহ করবেন। হোটেলের নিচের লবিতে ওনাকে নিয়ে মসজিদে হারামের দিকে রওনা হলাম। সে এক আশ্চর্য অনুভূতি। সারা রাত জাগার পরও কোনো ক্লান্তি নেই—ভোরে আলো ফোটার আগে কিং ফয়সাল গেটে যেতেই দেখি, পাখির কলকাকলিতে মুখর এক পরিবেশ। জায়গা পেয়ে জায়নামাজ বিছিয়ে আমরা বসে পড়লাম, হুজুর বললেন, ভেতরের গেটে গেলে এখন দোতলায় পাঠিয়ে দিতে পারে। এখানে নামাজ পড়ে ওমরাহর জন্য একটু পরে আমরা কাবা শরিফের দিকে রওনা দিলাম। মাথা নিচু করে আস্তে আস্তে কাবার কাছে গিয়ে কাবার দিকে তাকালাম। আল্লাহর দরবারে আবারও শুকরিয়া জানালাম যে হাজার মাইল দূর থেকে আমাদের এই পবিত্র ঘর দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। নিয়ত করে আস্তে আস্তে তওয়াফ শুরু করলাম। খুব যে ভিড়, তা কিন্তু নয়, সুন্দর করে দুই মেয়েসহ আমরা ওমরাহ সম্পন্ন করলাম।

মক্কায় ঢোকার মুখে ক্লক টাওয়ার দেখা যায়
ছবি: লেখকের পাঠানো

ওমরাহ শেষে সবাই ছিলাম খুব ক্লান্ত। তাই এক ঘুমে দুপুর। জোহরের নামাজ শেষে ক্লক টাওয়ারের শপিং মলে ক্লক টাওয়ার মিউজিয়ামের খোঁজ করলাম, যার ভিউয়িং ডেক থেকে পবিত্র কাবা শরিফকে পাখির চোখে দেখা যায়; কিন্তু অনলাইনে দেখাল মিউজিয়াম এখন বন্ধ। মনে করেছিলাম রমজানে হয়তো বন্ধ থাকে। হোটেলের আশপাশে অনেককে জিজ্ঞাসা করলেও কেউ কিছু বলতে পারল না। শেষে একজনকে পেলাম যিনি বললেন, লিফটে ৯ তলায় মিউজিয়ামের অফিস, সেখানে যেতে। আসরের নামাজের পর গেলাম।

মিউজিয়াম বন্ধ, সিকিউরিটির ইংরেজি জ্ঞান শুধু নো নো–তে সীমাবদ্ধ। হঠাৎ সিকিউরিটির ‘নো নো’ শোরগোলের ভেতর থেকে সাদা আরব পোশাক পরা একজন এলে বললাম, মিউজিয়াম ভিজিট করতে চাই। জানালেন, তারাবিহর পর রাত ১০টায় আসতে। রাত তিনটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

তারাবিহর পর আমাদের সৌভাগ্য হলো পৃথিবীর চতুর্থতম উঁচু এই টাওয়ারে ওঠার, যেখান থেকে পাখির চোখে কাবা শরিফ দেখা যায়। টিকিট কাটার পর মিউজিয়ামের ৯তলা থেকে স্পেশাল লিফটে কয়েক মিনিটে আমরা পৌঁছালাম ১২০ তলায়। চার ফ্লোরে মিউজিয়ামটি বিভিন্ন গ্রহ–নক্ষত্র দিয়ে সাজানো। সবশেষে টু৵র শেষ হয় ভিউয়িং ডেকে, যেখানে ১০ মিনিট থাকার ও ছবি তোলার সুযোগ দেওয়া হয়।

এত উঁচুতে মরুর বাতাসেও তখন শীতলতা। কিছুক্ষণ নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে সেই মোহনীয় দৃশ্য আর হৃদয়স্পর্শী প্রশান্তি উপভোগ করলাম। যেন সময় আর স্থানের সীমানা পেরিয়ে মিশে গেলাম কোনো অদৃশ্য অনুভূতির জগতে। তারপর ধীরে ধীরে হাত বাড়িয়ে মুঠোফোনে বন্দী করলাম সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্ত ।

ক্লক টাওয়ার মিউজিয়াম সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—

* টিকিট জনপ্রতি ১৫০ সৌদি রিয়াল।

* পাঁচ বছরের নিচের শিশু যেতে পারবে না।

মক্কার হারাম শরিফের সামনের শপিং মল থেকে লিফটে পি–৯, নবম তলায় মিউজিয়ামের রিসেপশনে যেতে হবে। দিন ও রাতে দুবার খোলা থাকে। তবে ওয়েবসাইটের তথ্য সঠিক থাকে না। অফিসে গিয়ে সঠিক জানতে হবে।

মক্কায় আজ আমরা ঠিক করেছি কিছু ঐতিহাসিক স্হান ঘুরে দেখব। তাই সকাল নয়টায় হোটেলের নিচের কার পার্কিং এরিয়ায় গেলাম। বেশ কয়েকজন ট্যাক্সি ড্রাইভার জিয়ারায় নিয়ে যাবেন বলে ডাকাডাকি করছেন। দরদাম করে ৩০০ রিয়ালে একজনকে ঠিক করলাম। সৌদি সাদা আলখাল্লা পরা ড্রাইভারের নাম মোহাম্মদ সালেহ, ইয়েমেন থেকে এসে সৌদিতে অনেক দিন ধরে গাড়ি চালান। কিছু ইংরেজি বলতে পারেন, তবে প্রতিটি ঐতিহাসিক জায়গায় যাওয়ার আগেই গুগল থেকে ইংরেজিতে একটি ডকুমেন্টারি চালিয়ে দেন আমাদের সুবিধার জন্য। মসজিদ আল হারামের পেছনের অংশ যেখানে লাইব্রেরি, তার পেছনে অনেক স্হানীয় লোকের বসতি। সালেহ জানান, এসব এখন এয়ার বিনবি হয়ে গেছে। মূল মালিক এখানে না থেকে ভাড়া দিয়েছেন। তবে খুব শিগগির এগুলো মসজিদের সীমানায় চলে আসবে।

আমরা প্রথমে গেলাম মক্কা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের মিনায়। এখানে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য সারি সারি তাঁবু রাখা। পবিত্র হজের মৌসুমে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। মিনায় হজরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)–কে আল্লাহর নির্দেশে কোরবানি করতে চেয়েছিলেন, সেখান থেকে হাজিদের ত্যাগের দীক্ষা দিতে মিনায় রাতযাপন ও ঈদের সকালে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম। মুজদালিফা হয়ে আমরা গেলাম আরাফাতের ময়দানে। সালেহ খুব উৎসাহ নিয়ে ওর ভিডিও চালু করেছেন, যাতে বলছে যে আরাফাতের ময়দানে যে ওয়াকওয়ে আছে, তা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ওয়াকওয়ে।

পরিবারসহ লেখক
ছবি: লেখকের পাঠানো

আরাফাতের ময়দানে মহানবী (স.)–এর বিদায় হজের ভাষণের জায়গা ঘুরে দেখলাম। জোহরের সময় তখন হয়ে গেছে, তাই ওজু করে আরাফার ময়দানের মসজিদে নামাজ আদায় করলাম। কথা হলো কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে, তাঁরা এখানেই কাজ করেন। এত রোদে কাজ করছেন, তবে মুখে হাসি। বাংলায় আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আরও খুশি। কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে গল্প হলো। সবার সন্তানেরা দেশে বিভিন্ন ক্লাসে পড়ছে। তারা দূরদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। প্রবাসজীবনের একই দুঃখগাথা। ওনাদের কাছ থেকে বিদায়ের সময় তিনজনকে ইফতার করার জন্য কিছু রিয়াল দিয়ে এলাম। বললাম, একসঙ্গে ইফতার করতাম; কিন্তু ইফতারের অনেক দেরি। আপনারা আমাদের পক্ষ থেকে করে নেবেন। বিদেশ–বিভূঁইয়ে আমাদের এই সামান্য আন্তরিকতায় তাঁরা খুবই আনন্দিত হলেন।

সালেহ ওদিকে এক টেন্টে আমাদের নিয়ে গেলেন। যেখানে থ্রিডি ডকুমেন্টারিতে মহানবীর মক্কা ও মদিনার ইতিহাস বর্ণনা করা হয়। তখনকার কাবা থেকে কীভাবে মূর্তি সরিয়ে মহানবী এক আল্লাহর বাণী প্রচার করেছিলেন। কীভাবে হেরা গুহায় এসে হযরত জিবরাইল (আ.) পবিত্র কোরআনের ওহি নবীকে দিতেন। ইসরা ও ইনায়দা এমনকি আমাদের দুজনেরও খুব ভালো লেগেছে ডকুমেন্টারিটি। আসার সময় আবার উপহার হিসেবে পবিত্র কোরআন শরিফ ও ফ্রিজ ম্যাগনেট দিলেন সবাইকে। এই শো ও উপহার সবকিছুই ফ্রি।

এরপর আমাদের ড্রাইভার নিয়ে গেলেন হেরা গুহায়। সুন্দর গাছপালা দিয়ে সজ্জিত এক কমপ্লেক্স। পাহাড় বেয়ে হেরা গুহায় যাওয়ার রাস্তা। ফজরের পর ওপরে ওঠার সবচেয়ে ভালো সময়। এখন বেলা তিনটা, প্রখর রোদ আর সঙ্গে মেয়েদের নিয়ে ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। আমরা কিছু ওপরে উঠে দূরের মক্কা নগর দেখে নিচে নেমে এলাম। পরবর্তী সময়ে আল্লাহ আবার মক্কায় আসার সুযোগ করে দিলে হেরা গুহায় উঠব ইনশা আল্লাহ। হোটেলে ফিরতে ফিরতে আসরের সময় হয়ে গেল। নামাজ পড়ে দুই পাশের দোকানে টুকটাক শপিং করলাম।

লন্ডন থেকে এমরোজ ভাই ও পেনসিলের সালাহ ভাই ওমরাহ করতে এসেছেন। ইফতারের পর ফুডকোর্টে দেখা করতে গেলাম। এত ভিড় যে বসার একটি চেয়ারও খালি নেই। ওনাদের সঙ্গে গল্পে গল্পে এশার আজান হয়ে গেল। বিদায় নিয়ে আমরা এশার নামাজের জন্য মসজিদ আল হারামের পথ ধরলাম। মক্কায় আজ আমাদের শেষ রাত, তারাবিহর পর বিদায় তাওয়াফ করার জন্য রওনা হলাম। ছেলেদের শুধু ইহরাম পরা থাকলে কাবায় নিচের লেভেলে তওয়াফের সুযোগ দেওয়া হয়। আমরা সবাই তাই দোতলায় তওয়াফের জন্য গেলাম। চলবে...

‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]