ইসলামাবাদে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপিত
ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন করেছে। এ উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, বাণীপাঠ, আলোচনা, বিশেষ মোনাজাত ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
দিবসের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী বক্তব্যের শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিজীবন শেষে ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন–সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর বলিষ্ঠ পদক্ষেপে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ১৫ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। একই বছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতার সফল দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতায় বাংলাদেশ বিশ্বের ১২৩টি দেশ এবং ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে। তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ মাত্র সাড়ে তিন বছরেই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
এরপর জাতির পিতার আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সবশেষে ‘বিশ্বশান্তির দূত: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি