মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

মিলানে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে শহরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দ্য ওয়েস্টিন প্যালেস হোটেলে বর্ণাঢ্য কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত সোমবার উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মিলানসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি, ইতালির রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মিলান কনস্যুলেটের কনসাল তাজুল ইসলাম, শ্রম কনসাল সাব্বির আহমেদসহ দূতাবাসের অন্য কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মিলানের কনস্যুলার কোরের ডিনসহ কনস্যুলার কোরের গুরুত্বপূর্ণ দেশের কূটনীতিকেরা কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রফিকুল আলমকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে মিলানের ভাইস-সিন্দাকোসহ শহরের প্রবীণ ও উদীয়মান রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।

কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রফিকুল আলম তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের স্মৃতিচারণা করেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন এবং বাংলাদেশ-ইতালি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বহুমাত্রিক দিক তুলে ধরেন।

‘দূর পরবাস’–এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কনসিলইও কোমুনে দি মিলানের হেড অব ক্যাবিনেট ফিলিপ্পো বারবেরিস তাঁর বক্তব্যে মিলানে বসবাসকারী বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সক্রিয় উপস্থিতি এবং ইতালির অর্থনীতিতে তাঁদের অবদানের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং প্রবাসীদের কল্যাণে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটন, প্রত্নতত্ত্ব, চারুশিল্প ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে একটি বিশেষ ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য পরিবেশিত হয় দুটি নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনা, যেখানে নদীমাতৃক বাংলাদেশ ও গ্রামবাংলার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অতিথিদের জন্য ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রকমারি খাবারের আয়োজন। একই সঙ্গে কেক কাটার মাধ্যমে দিবসটির তাৎপর্যপূর্ণ উদ্‌যাপন সম্পন্ন হয়।