ইতালিতে বাংলাদেশ কমিউনিটি ভিচেন্সা সিটির আয়োজনে বাংলা উৎসব

‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

ইতালির ভিচেন্সায় বাংলাদেশ কমিউনিটি ভিচেন্সা সিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য বাংলা উৎসব-২০২৫। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মিলনমেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এ উৎসব প্রবাসীদের কাছে আনন্দ ও গর্বের এক স্মরণীয় মুহূর্ত। গত শনিবার দিনব্যাপী এ উৎসব ছিল নানা আয়োজনে ভরপুর। অনুষ্ঠানমালায় ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নৃত্য, গান, আবৃত্তি, প্রবাসী সমাজের অবদানকে স্বীকৃতি জানানোর বিশেষ সম্মাননা পর্ব।

বাংলাদেশ কমিউনিটি ভিচেন্সা সিটির সভাপতি এমদাদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমেদের পরিচালনায় সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ভিচেন্সা সিটি করপোরেশনের মেয়র গিয়াকোমো প্যামাই, উপ-মেয়র ইসাবেলা সালা, কাউন্সিলর মাত্তিয়া পিলান, বাংলাদেশি ভাইস কাউন্সিলর আফিল উদ্দিনসহ আশপাশের বিভিন্ন শহর থেকে আগত বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা।

অতিথিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন আয়োজকেরা। মেয়র গিয়াকোমো প্যামাইয়ের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি এমদাদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমেদ, উপ-মেয়র ইসাবেলা সালার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সাংগঠনিক সম্পাদক রনি শেখ। মাত্তিয়া পিলানকে ক্রেস্ট তুলে দেন মাসুদ আলী ও জাহাঙ্গীর হুসেন বাবলু, আফিল উদ্দিনকে ক্রেস্ট তুলে দেন শিবলী সাদিক ও হেলাল আহমেদ এবং মাত্তেও কক্কোকে ক্রেস্ট তুলে দেন জামাল উদ্দিন ও আবদুল হালিম।

ভিচেন্সা সিটির মেয়র গিয়াকোমো প্যামাইয়ের হাত থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন সংগঠনের সভাপতি এমদাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টা আফিল উদ্দিন। উপ-মেয়র ইসাবেলা সালার কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন রনি শেখ। এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশি সমাজের আরও কয়েকজন গুণী ব্যক্তিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

পরে বাংলাদেশি শিল্পীরা একের পর এক জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। তাঁদের পরিবেশনায় পুরো অনুষ্ঠানস্থল প্রবাসী সংস্কৃতির উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে ওঠে। আয়োজক কমিটির নেতারা জানান, প্রবাসে থেকেও মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য তাঁরা নিয়মিত এমন আয়োজন করে থাকবেন।

উৎসবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি স্থানীয় ইতালিয়ান ও অন্যান্য দেশের প্রবাসীরাও বাংলার সংস্কৃতির রঙিন বৈচিত্র্যে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। আয়োজকরা জানান, আগামী বছর আরও বৃহৎ পরিসরে বাংলা উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।