জার্মানিতে পিঠামেলা

অগ্রহায়ণ এলে বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব শুরু হয়, হেমন্তের প্রকৃতিতে আনন্দ বয়ে যায়। মা, খালা, ফুফুরা কিংবা দাদি–নানিরা হরেক রকম পিঠা বানায়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রবাসে এই নবান্ন উৎসব হয় বর্ণিল আয়োজনে পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে। থাকে নাচ, গান, আবৃত্তি, কৌতুকসহ হরেক রকম আয়োজন। যা হয়, তা বাঙালির মিলনমেলা। তেমনই এক পিঠা উৎসব হলো জার্মানিতে। ফ্রাঙ্কফুর্ট, তথা জার্মানিতে বসবাসরত নারায়ণগঞ্জের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘নারায়ণগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন’ ৬ জানুয়ারি গালুস হলে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে।

স্মিতা মোতালেবের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় তাবিহার পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোতালেব, সদস্য মিজানুর রহমান শাহিন, সভাপতি নুরুদ্দিন মিঠু মিনজুসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির জন্যই তাঁদের এ আয়োজন। তাঁরা বাংলাদেশে সামাজিক উন্নয়নে অর্থসহায়তা ছাড়া জার্মানিতে কেউ মারা গেলে তাঁর লাশ দাফনসহ দেশে পাঠানোর সহায়তা করেন।

কনকনে শীতের মধ্যেও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার প্রবাসী নারী-পুরুষ শিশুরা বাহারী পোশাকে পরে এসেছিল পিঠা উৎসবে। ছানাউল্লাহ ছানা ভাইয়ের বিরিয়ানি ও বাঙালি নারীর রন্ধনশৈলির হরেক রকমের পিঠা ছিল মূল আকর্ষণ। সোহরাব হোসেনের দম ফাটানো কৌতুক, খুশিসহ শিশুদের চোখজুড়ানো নাচ এবং নিম্মি কাদের, রোকন ফয়সাল, মোহাম্মদ এনামুল হক ও মতিয়া সরকারের মনমাতানো গান মধ্যরাত অবধি উপভোগ করেন জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে আসা প্রবাসীরা। কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে করেছিল আরও প্রাণবন্ত।