কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদী ও অসাম্প্রদায়িক ভাবনা
কাজী নজরুল ইসলাম অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লেখার মাধ্যমে সমাজ তথা রাষ্ট্রের পরিবর্তনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এখানেই তিনি ছিলেন সমসাময়িক অন্যান্য কবির থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। তিনি একটি বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে পরিচিত হয়ে ওঠা সবচেয়ে সম্মানের। তার এ আদর্শ আজও প্রতিটি মানুষের জীবনপথের প্রেরণা।
এ বছরের শুরুতে কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটির দর্শন বিভাগের আমন্ত্রণে আমার আসানসোল ও চুরুলিয়া ভ্রমণ সম্ভব হয়েছিল। এ সময় কাজী নজরুল জাদুঘর ও অন্যান্য দলিল-দস্তাবেজ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কথা বলেছি কবির ভ্রাতুষ্পুত্র কাজী রেজাউল করিমের সঙ্গে। কাজী রেজাউল করিমের সঙ্গে আমার আলাপচারিতায় মনে হয়েছে, কমরেড মুজাফ্ফর আহমদ কাজী নজরুলের চিন্তাভাবনায় ও লেখালেখিতে বড্ড ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিকথা বইটি পড়ে অনেক কিছু জানা গেছে। এ ছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের ওপর বেশ কিছু গবেষণা প্রবন্ধ ঘেঁটে লেখাটা তৈরি করা হয়েছে।
ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাই যে মূলত দারিদ্র্যের কারণেই কাজী নজরুল ব্রিটিশ পরিচালিত ৪৯ নম্বর বেঙ্গলি রেজিমেন্টের সৈনিক হিসেবে করাচি সেনানিবাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ করেছিলেন। করাচি সেনানিবাসে তিনি কাজের অবসরে বসে বসে কাব্যচর্চা শুরু করেন। সারা দুনিয়ায় যখন সর্বহারার জয়গান উচ্চারিত হতে থাকে, ঠিক তখনই কবি নজরুলকেও তা নাড়া দিয়ে যায়। দোল খায় তার মনেও, আর তখনই নজরুল লিখে ফেললেন:
‘সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল।’
মূলত এ কবিতা দিয়েই নজরুল তাঁর সাম্যবাদী আদর্শের জানান দেন বলেই ধরে নেওয়া যায়। আমরা তাঁর প্রথম প্রকাশিত এ কবিতার দিকে তাকালে দেখতে পাই তাঁর ‘মুক্তি’ কবিতাটিই তাঁর সাম্যবাদী চেতনার স্ফুরণ ঘটিয়েছে। নজরুল তাঁর মুক্তি কবিতাটি ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি’র দপ্তরে পাঠান। সেই সুবাদেই বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সংগঠক মুজফ্ফর আহমদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ও পরিচয় হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মুজফ্ফর আহমদের পরামর্শেই নজরুল সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন। নজরুল কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের সাহচর্যে এসেই আরও বেশি সাম্যবাদী আদর্শের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তখন থেকেই সাম্যবাদী চিন্তার প্রকাশ পুরোদমে ঘটে নজরুলের লেখায়। নজরুল কর্তৃক প্রকাশিত ও পরিচালিত ‘ধূমকেতু’, ‘লাঙল’, ‘নবযুগ’, ‘গণবাণী’ প্রভৃতি পত্রিকা হয়ে ওঠে সাম্যবাদী চিন্তার মুখপত্র। ১৯২২ সালের ১২ আগস্ট নজরুলের একক চেষ্টায় প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ‘ধূমকেতু’। ‘ধূমকেতু’ রাজনৈতিক কাগজ হিসেবে প্রকাশিত হতে থাকে। নজরুলই এ কাগজটির নামকরণ করেন।
১৯২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর মুজফ্ফর আহমদ লেবার স্বরাজ পার্টির মুখপত্র হিসেবে সাপ্তাহিক ‘লাঙল’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। কাজী নজরুল ইসলামকে ‘লাঙল’-এর প্রধান পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ‘লাঙল’-এর প্রথম সংখ্যাতেই নজরুল ‘সাম্যের গান’ নামের কবিতাটি লিখলেন:
গাহি সাম্যের গান-
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান
যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিষ্টান।
—গাহি সাম্যের গান!
কে তুমি পার্সি জৈন? ইহুদি? সাঁওতাল, ভিল, গারো?
কনফুসিয়াস? চার্বাক চেলা? বলে যাও, বল আরও!
—বন্ধু, যা খুশি হও,
পেটে পিঠে কাঁধে মগজে যা খুশি পুঁথি ও কেতাব বও,
কোরান-পুরাণ-বেদ-বেদান্ত-বাইবেল-ত্রিপিটক-
জেন্দাবেস্তা-গ্রন্থসাহেব পড়ে যাও, যত শখ
কিন্তু, কেন এ পণ্ডশ্রম, মগজে হানিছ শূল?
মার্ক্সিস্ট মতাদর্শ কাজী নজরুলকে দারুণভাবে নাড়া দেয়। নজরুলের কবিতা যেমন সাম্যবাদী, ঈশ্বর, মানুষ, নারী, পাপ, কুলি মজুর এসব তারই নিদর্শন। এসব কবিতার মাধ্যমে তিনি মার্ক্সিজমের মতাদর্শকে সমুন্নত রেখে শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। ‘গণবাণী’তেই নজরুল ১৯২৭ সালে মে দিবসে শ্রমজীবীদের আন্তর্জাতিক সংগীত বা ‘ইন্টারন্যাশনাল’ গানের বঙ্গানুবাদ করেন। গানটি ফরাসি শ্রমিক কবি ইউজিন পাতিয়ের রচিত। গানটি এখনো সারা বিশ্বের কমিউনিস্টরা তাদের দলীয় সংগীত হিসেবে গেয়ে থাকেন। নজরুল অনুবাদটির নাম দিয়েছিলেন ‘অন্তর ন্যাশনাল সংগীত’। সাম্যবাদী এ কবি পরবর্তীকালে একের পর এক লেখেন, ‘শ্রমিকের গান’, ‘লাল পতাকার গান’, ‘ধীবরের গান’ ইত্যাদি শ্রমজীবী অংশের মানুষের শ্রেণিচেতনার গান। মার্ক্সীয় চেতনার গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে নজরুলের ‘সাম্যবাদী’ ও ‘সর্বহারা’ কবিতায়। ‘আমার কৈফিয়ৎ’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে মেহনতি মানুষের হৃদয়ের বেদনার কথা।
সাম্যবাদীরাই অসাম্প্রদায়িক তাই কবি নজরুলও ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক মূর্ত প্রতীক। তিনি মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ খুঁজে পাননি। তাঁর কাছে কোনো জাতপাত ছিল না। সব মানুষকে শুধু মানুষ পরিচয়ে তিনি দেখতে চেয়েছেন।
নজরুলের কবি চেতনায় যে সাম্যবাদী মূল্যবোধ প্রখরভাবে ক্রিয়াশীল ছিল, তা ঈদবিষয়ক কবিতাগুলোয় এর প্রমাণ পাওয়া যায়। ঈদ কী সবার দুয়ারে সমানভাবে আসে। ধনী-গরিব ঈদে প্রকটভাবে ধরা পড়ে। প্রতিদিন যাদের জীবনে না খাওয়া তাদের আবার ঈদের খুশি কীভাবে আসে। নজরুলই তাঁর সাম্যবাদী চেতনায় তুলে ধরেছেন এসব মানুষের জীবনের চালচিত্র। নিছক লেখার ছলে নয়। হানা দিয়েছেন আমাদের ঘুণে ধরা সমাজের ভোঁতা মগজে। নজরুল তাঁর বিভিন্ন কবিতায় ইসলামি সাম্যবাদী চেতনাকে সর্বজনীন রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ‘নতুন চাঁদ’ কবিতায়ও এ চেতনায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে—
সাম্যেও রাহে আল্লাহর মুয়াজ্জিনেরা ডাকিবে ফের...
রবে না ধর্ম জাতির ভেদ
রবে না আত্ম-কলহ ক্লেদ।
নজরুলের অনেক কবিতায় সাম্যবাদের উচ্চকিত উচ্চারণ ধ্বনিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কবিতাগুলো হলো সাম্যবাদী, সাম্য, প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, কান্ডারি হুঁশিয়ার, সর্বহারা, কুলি-মজুর, সাম্যের গান, মানুষ, আনন্দময়ীর আগমনে, কামাল পাশা, আনোয়ার পাশা, ভাঙার গান, বন্দি-বন্দনা, রণভেরি, আত্মশক্তি, মরণ বরণ, বন্দনাগান, আগমনী, ধূমকেতু, ধীবরদের গান, ঈশ্বর, কৃষাণের গান, দীপান্তরের বন্দিনী, শ্রমিকের গান, মুক্তি সেবকের গান, ছাত্রদলের গান, সাবধানী ঘণ্টা, উদ্বোধন ইত্যাদি।
নজরুলই প্রথম কবিতায় ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঘোষণা করলেন। প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন সব অন্যায় শোষণ আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে। তাই তিনি তাঁর ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় উচ্চকিত উচ্চারণ করলেন—
তোরা সব জয়ধ্বনি কর!
তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!
ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল-বোশেখির ঝড়।
নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূল অংশজুড়ে আছে ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’—এ মর্মবাণী। তিনি বিশ্বাস করতেন হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, বৌদ্ধ হোক, খ্রিষ্টান হোক—নিপীড়িত মানবতার একটাই পরিচয়, তারা শোষিত-বঞ্চিত মানুষ। আর তাঁর কলম সব সময় শোষিত, লাঞ্ছিত, নিপীড়িত মানুষের জন্য সোচ্চার ছিল। গর্জে উঠেছে নানা মাত্রিকতায়, যা সমসাময়িক অন্য কবিদের চেয়ে ভিন্নমাত্রায় বিচার করা যায়। নজরুলের সাম্যবাদী ভূমিকার জন্যই সে সময় তিনি সমধিক পরিচিতি লাভ করেন। কারণ, তিনি মানুষের শোষণকে, নির্যাতনকে সরাসরি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। কবিতায় মানবিকতার দিকপাল কাজী নজরুল তাই উদাত্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করলেন—
দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি বলে এক বাবু সাব তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে!
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল!
মানবতাবাদী নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী চিন্তায় উদ্বুদ্ধ। তিনি অনুভব করেন মানবধর্মকে, মানুষকে, মানবীয় চেতনাকে, তাই সাম্যবাদই তাঁর কাছে প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে, কবিতায় প্রস্ফুটিত হয়েছে বারংবার। দেশ-জাতি-মাতৃভূমিকে নজরুল মানবপ্রেমের সঙ্গে দেশপ্রেমকে মিশিয়েছেন, মাতৃভূমিকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাই জাতিকে নিয়ে তার উচ্চকিত উচ্চারণ-
‘অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরণ,
কান্ডারি! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তিপণ!
“হিন্দু না ওরা মুসলিম?” ঐ জিজ্ঞাসে কোন্ জন?
কান্ডারি! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র।
তবে নজরুলের সাম্যবাদী কবিতার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত তাঁর বিদ্রোহী কবিতা, যা অনস্বীকার্য। এ ছাড়া সাম্যবাদী নজরুলের নিচের কবিতাটি সাম্যবাদের আরেকটি চমৎকার দৃষ্টান্ত:
‘গাহি সাম্যের গান
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিষ্টান।’
আবার দেখা যায়—
‘গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম-জাতি
সব দেশে-সবকালে, ঘরে ঘরে মানুষের জ্ঞাতি।’
‘হিন্দু-মুসলিম যুদ্ধ’ কবিতায় হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গার চিত্র উঠে এসেছে অবলীলায়—
‘মাভৈ! মাভৈ! এত দিনে বুঝি জাগিল ভারতে প্রাণ,
সজীব হইয়া উঠিয়াছে আজ শ্মশান-গোরস্তান!
ছিল যারা চির-মরণ-আহত,
উঠিয়াছে জাগি’ ব্যথা জাগ্রত,
‘খালেদ’ আবার ধরিয়াছে অসি, ‘অর্জুন’ ছোড়ে বাণ।
জেগেছে ভারত, ধরিয়াছে লাঠি হিন্দু-মুসলমান।
মরে হিন্দু, মরে মুসলিম এ উহার ঘায়ে আজ,
বেঁচে আছে যারা মরিতেছে তারা, এ মরণে নাহি লাজ।’
নজরুল তাঁর শেষ ভাষণে উল্লেখ করেছেন: ‘কেউ বলেন আমার বাণী যবন কেউ বলেন কাফের। আমি বলি ও দুটোর কোনোটাই না। আমি শুধু হিন্দু-মুসলিমকে এক জায়গায় ধরে নিয়ে হ্যান্ডশেক করানোর চেষ্টা করেছি, গালাগালিকে গলাগলিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছি।’
এ থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, কালজয়ী বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় প্রেম, মানবতা, দ্রোহ সবকিছুকে ছাড়িয়ে তিনি যে একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক সাম্যবাদী ছিলেন, তা সহজেই অনুমেয়। যদিও একটি গোষ্ঠী নজরুলকে দ্বিখণ্ডিত করতে চেয়েছে। একদল বলেছেন, নজরুল মুসলমানের কবি, আর একদল বলেছেন নজরুল হিন্দুদের কবি। প্রকৃতপক্ষে তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূর্ত প্রতীক। তিনি ছিলেন সাম্যের কবি। সাম্যবাদী কবি। বাঙালির প্রাণের কবি।
কবির মন ছিল অত্যন্ত কোমল; মানুষের সামান্যতম দুঃখ-কষ্টকে তাঁর হৃদয়ে বেদনার রেখাপাত করে গেছে। যা আমরা কবির লেখা পড়ে সহজেই অনুধাবন করতে পারি। চরম দারিদ্র্য তাঁকে কশাঘাতে নিষ্পেষিত করেছে বলেই কি তিনি নিজেকে এই ঘুণে ধরা সমাজ থেকে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন? হয়তো তাই। তা না হলে তিনি তাঁর কবিতায় কী সহজেই এভাবে সমাজের কুলি-মজুরদের নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতনের যে রেখাচিত্র তুলে ধরেছেন, তা কী তিনি পারতেন? হয়তো পারতেন। তারপরও বলব তিনি জীবনকে, সমাজকে আপন আয়নায় দেখেছেন আর ছবির মতো করে তুলে এনেছেন তাঁর একের পর এক কবিতায়। কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যবাদী ও অসাম্প্রদায়িক ভাবনা আমাদের সবাইকেই উজ্জীবিত করুক, আমাদের সমাজ হোক সমতার, আদর্শের যেখানে সব শ্রেণির মানুষ সমান সুযোগ পাবে।
কৃতজ্ঞতা: কবির ভ্রাতুষ্পুত্র কাজী রেজাউল করিম; কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিকথা, কমরেড মুজফ্ফর আহমদ ও কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
* লেখক: তপন সরকার, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
**দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]