পর্তুগালে বন্ধ হলো ভ্রমণ ও সেনজেন ভিসার অভিবাসন সুবিধা
আইবেরীয় উপকূলীয় ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমের আটলান্টিকপাড়ের ছোট্ট একটি দেশ পর্তুগাল। দেশটিতে নব্বই দশকের পর থেকেই বাংলাদেশিদের আসা–যাওয়া। সহজ শর্তে বৈধতা ও সহজ অভিবাসননীতির ফলে দেশটি ধীরে ধীরে অভিবাসীদের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে জনপ্রিয় অভিবাসন হয়ে ওঠে। ফলে দেশটিতে প্রতিদিনই নতুন অভিবাসীদের আগমন ও থেকে যাওয়ার প্রবণতা প্রবল আকারে ধারণ করেছে।
অবশেষে বন্ধ হলো ইউরোপের শেষ আশ্রয়স্থল অভিবাসীবান্ধব দেশ পর্তুগালের দরজা। ৩ জুন পর্তুগালের নতুন প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রো মন্ত্রিসভার বৈঠকে অভিবাসন নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে, যা পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্টের সই করে এবং গেজেট আকারে পাস পায়। বৈঠকে দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী অন্তনিও লেইতা তা ছাড়া আমারোর ব্যাখ্যায় মোট ৪১টি অভিবাসন নতুন নীতিমালার প্রকাশ পায়।
গেজেটে নতুন নিয়মে অভিবাসী যাঁরা দেশটিতে এসে নিয়মিত হতে পারবেন কিংবা পারবেন না, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ কিংবা ভ্রমণভিসা নিয়ে এসে নতুন করে বৈধতা পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি পারিবারিক ভিসা, কাজের ভিসা ও ছাত্র ভিসায় এসে দেশটিতে নিয়মিত হওয়া যাবে। নতুন এ নীতিমালায় আরও কিছু উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনার মধ্যে পর্তুগিজ কনসুলেট সেবার মান বৃদ্ধি, অভিবাসন সংস্থা আইমার পুনর্গঠন, অভিবাসীদের জন্য পুলিশের একটি আলাদা ইউনিট তৈরি, বর্ডার নিয়ন্ত্রণ, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নতুন কেন্দ্র তৈরিসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অভিবাসনবান্ধব দেশ পর্তুগাল নতুন করে অভিবাসীদের ঢল থামানোর জন্যই এসব উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় তাঁরা আরও জানান, দেশটিতে প্রায় ৪ লাখ অভিবাসীদের নথি নতুন অভিবাসন সংস্থা আইমার কাছে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। কর্মিসংকট থাকার কারণে নথিগুলো নিষ্পন্ন করতে সংস্থাটি হিমশিম খাচ্ছে। পাশাপাশি তাঁরা আরও মনে করেন, নতুন এ অভিবাসননীতি বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানে অভিবাসীদের ইউরোপে ব্যাপক হারে প্রভাব বিস্তার করবে।