ডলারসংকটে আতঙ্কিত কানাডার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশে ডলার–সংকটে আতঙ্কিত কানাডায় পড়তে আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। অধীকাংশ শিক্ষার্থীকে নিজ দেশ থেকে ডলার এনে পড়তে হয়। এখানকার টিউশন ফি অনেক বেশি এবং থাকা-খাওয়ার খরচ বেশি হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা এখন হিমশিম খাচ্ছেন।
অন্যদিকে কানাডার ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি তাঁদের জীবনকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা বিপাকে। কানাডায় পড়তে এসে পড়াশোনা না করলে ভিসা বাতিল হয়ে যায় আর কানাডায় অবৈধ হয়ে থাকা বেশ কঠিন।
তবে এ সবকিছুর মধ্য স্বস্তির খবরও আছে। আজ থেকে তাঁরা তাঁদের ইচ্ছেমতো কানাডায় কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রী জানিয়েছেন, ‘কয়েক মাস আগেও আমার বাবা বাংলাদেশি ৮৬ টাকার বিনিময়ে ১ আমেরিকান ডলার পাঠাতে পারতেন।
এখন ১ আমেরিকান ডলার পাঠাতে ১১০ বাংলাদেশি টাকা খরচ হয়। কয়েক দিন পর আমার ছয় হাজার আমেরিকান ডলার টিউশন ফি দিতে হবে। যার ফলে আমার বাবার অতিরিক্ত বাংলাদেশি টাকা খরচ করতে হবে। তারপর থাকা–খাওয়ার খরচ তো রয়েছেই।’
অন্য দিকে ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাঠানোর সমস্যার কারণে হুন্ডির প্রবণতা বেড়ে যাবে। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আরও বেশি টাকা জোগাড় করতে হবে যা অনেক অভিভাবকেই পারবে না।
উল্লেখ্য, কানাডার প্রায় সব ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি সেমিস্টার শুরু হওয়ার আগে দিতে হয় আর না দিতে পারলে সে ক্লাস করতে পারে না। আর সেমিস্টার ড্রপ করলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো বেশ কঠিন।
অন্য দিকে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন কানাডায় পড়তে আসা গ্রাজুয়েশন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা আগে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারতেন। আজ ১৫ নভেম্বর থেকে তাঁরা তাঁদের ইচ্ছে মতো কাজ করতে পারবেন।
তবে পড়াশোনার চাপ বেশি থাকার কারণে কাজ বেশি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে এখনো কানাডার আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী কাজ করার অনুমতি পান না। তাদের সম্পূর্ণ খরচ নিজ দেশ থেকে আনতে হয়।