নিউজিল্যান্ডে পালমি পিঠা উৎসবে দুই বাংলার মিলনমেলা
নিউজিল্যান্ডের পামারস্টোন নর্থ (সংক্ষেপে পালমি) শহরে পিঠা উৎসব করেছেন দুই বাংলার প্রবাসী বাঙালিরা। আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) মানাওয়াতু বাঙালি সোসাইটির আয়োজনে এ পিঠা উৎসবে ছিল বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পদের পিঠার উপস্থাপন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী প্রবাসীরা দেশীয় পার্বণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই মূলত আয়োজন করে এ পিঠা উৎসব।
পালমিতে এ আয়োজনের পেছনে ছিলেন একদল কর্মজীবী ও গৃহিণী-মায়েরা। প্রবাসেও দেশীয় স্বাদের হরেক রকম পিঠার ডালি সাজিয়ে এ অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিলেন তাঁরাই।
খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই প্রধান খাদ্যের পরিপূরক হিসেবে বিভিন্ন রকম মুখরোচক খাবার তৈরি করে আসছেন। এর মধ্যে পিঠা অন্যতম। আর তাই বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে এই পিঠা। সেই সংস্কৃতিকে লালন করেই আয়োজিত হলো ‘পালমি পিঠা উৎসব’।
পালমি শহরে অবশ্য বাঙালি কমিউনিটি খুব বেশি বড় নয়; কিন্তু ছোট এই কমিউনিটিই আয়োজন করে এ পিঠা উৎসবের। বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে নিউজিল্যান্ডের ছোট শহরের এ আয়োজনে বাদ যায়নি তেলের পিঠা, পুলি, ভাপা, দুধ পুলি, চিতই, পাটিসাপটাসহ মিষ্টি ও ঝালজাতীয় অন্যান্য খাবার।
স্বাদ তো বটেই, বাহারি সব সাজে বিভিন্ন রকমের পিঠা মন কেড়েছিল সবার। পিঠাপুলির রং-রস, ঘ্রাণ ও নকশায় পেট ও মন—দুটোই ভরেছিল দুই বাংলার প্রবাসীদের।
এ বছর মানাওয়াতু বাঙালি সোসাইটির নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি মেসি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আখতারুজ্জামান ও তাঁর নেতৃত্বে কমিটির সব সদস্য এবং সোসাইটির সাবেক সভাপতি মেসি ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক শ্রীকান্ত চ্যাটার্জির সার্বিক সহযোগিতায় পালমি পিঠা উৎসবটি পেয়েছিল ভিন্নমাত্রা।
প্রবাসের ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে এবং অনেক রকম সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পিঠাপুলির এই উৎসব পালমি শহরের দুই বাংলার প্রবাসীদের কিছুক্ষণের জন্য যেন বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
*লেখক: নিউজিল্যান্ডের মেসি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক