সুরাঙ্গনের আয়োজনে কাদেরী কিবরিয়া ও রূপা ঘোষের সংগীতসন্ধ্যা
দূর পরবাস-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
সুরাঙ্গন মিউজিক স্কুলের উদ্যোগে গত ২৬ অক্টোবর স্থানীয় মিশন সিয়েরা বিনোদন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী কাদেরী কিবরিয়া ও রূপা ঘোষের সংগীতসন্ধ্যা। রবীন্দ্র, নজরুল ও পুরোনো দিনের বাংলা গানের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় দর্শকেরা কাটিয়েছেন এক স্মরণীয় সন্ধ্যা।
রবীন্দ্রসংগীতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় কণ্ঠশিল্পী কাদেরী কিবরিয়া তাঁর প্রাণবন্ত পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। পাবনা জেলার সন্তান এই শিল্পীর সংগীতজীবন শুরু হয় দেবব্রত বিশ্বাস ও চিন্ময় চ্যাটার্জির মতো কিংবদন্তি গুরুর নির্দেশনায়। ১৯৭৫ সালে শান্তিনিকেতনে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতচর্চা আরও গভীর হয়। এর আগে ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে টেলিভিশনে তাঁর পরিবেশনা দর্শকদের নজর কেড়ে নেয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সুরাঙ্গন মিউজিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমতী রূপা ঘোষ অতিথি ও দর্শকদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি শিল্পী কিবরিয়াকে উত্তরীয় পরিধান করিয়ে অভিনন্দন জানান।
শিল্পী কিবরিয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশ পর্যায়ের গান ‘ও আমার দেশের মাটি’ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর রূপা ঘোষ রবীন্দ্রনাথের ‘আমি তোমারি মাটির কন্যা’ পরিবেশন করেন। এরপর কিবরিয়া ও রূপা ঘোষ একক ও দ্বৈত কণ্ঠে একাধিক রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন, যা শ্রোতাদের গভীরভাবে মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে কাদেরী কিবরিয়া কয়েকটি জনপ্রিয় পুরোনো বাংলা গান, যেমন ‘পৃথিবী আমারে চায়’, ‘এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায়’ পরিবেশন করেন, যা শ্রোতাদের নস্টালজিক আনন্দে ভরিয়ে তোলে।
সমাপনীতে স্থানীয় শিল্পীরা দলীয়ভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি কালজয়ী গান ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’ এবং ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ পরিবেশন করেন। এই গ্রুপে অংশ নেন খালেদ জুলফিকার খান, অমিত সরকার, সুকন্যা দে, বিথি আহাদ, পারভিন কুলসুম, ঝর্ণা সরকার, রুনা নাসরিন, শর্মিষ্ঠা সাহা, খায়রুন নাহার, দিলরুবা মুন্না প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্রও প্রদান করা হয়।
পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জুলফিকার খান ও কুলসুম পারভীন। মন্দিরায় ছিলেন অলক রায়। বিপুলসংখ্যক শ্রোতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সংগীতসন্ধ্যা ছিল বাংলা সংগীত ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য মিলনমেলা।