বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ-ফিলিপাইনস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ-ফিলিপাইনস সম্পর্কের ৫০ বছর: অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাসমূহ’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও ফিলিপাইনস বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ আয়োজন করে। ফিলিপাইনস বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান সেন্টারের জিটি-টয়োটা অডিটরিয়ামে এ সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিমান ক্যাম্পাস উপাচার্য ফিদেল নেমেঞ্জো, একাডেমিক সহ-উপাচার্য মা তেরেসা পায়ঙ্গায়ং, এশিয়ান সেন্টারের ডিন হেনেলিতো সেভেলিয়া, ফিলিপাইন পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মারিয়া আনা লিলিয়া, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ও কূটনীতিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের অনুষদ, ছাত্রছাত্রী ও মিডিয়াকর্মীরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া সশরীর ও জুমে সেমিনারে শতাধিক অতিথি অংশগ্রহণ করেন।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপাচার্য ফিদেল নেমেঞ্জো। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যানিলায় সংক্ষিপ্ত সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শক্ত ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল।
রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বাংলাদেশ-ফিলিপাইনসের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, ওষুধ, শিক্ষা, আইসিটি, ট্যুরিজম, জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমুখী সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয় তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে তাঁর অভিমত তুলে ধরেন।
মারিয়া আনা লিলিয়া বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ-ফিলিপাইনসের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। তিনি এ বছর বাংলাদেশ-ফিলিপাইনস মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে নতুন উচ্চতায় উন্নীতকরণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়ান সেন্টারের ডিন হেনেলিতো সেভেলিয়া। হেনেলিতো বাংলাদেশ-ফিলিপাইনস সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বিশেষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে ভাষা আন্দোলনের ভূমিকার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করেন। তিনি দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ওপর জোর দেন। আঞ্চলিক ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ-ফিলিপাইনস যৌথ ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। জলবায়ু, অভিবাসনসহ আঞ্চলিক শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনসকে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে পরামর্শ প্রদান করেন। একই সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিনিয়োগ ও ব্যবসা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বিজ্ঞপ্তি