ভিয়েনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত

ছবি: সংগৃহীত

ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে গতকাল শনিবার মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে। সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও কাউন্সেলর মো. তারাজুল ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন। পরে তিনি দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রথমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও কাউন্সেলর তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, সম্ভ্রমহারা মা-বোন ও ৯ মাস ব্যপী যুদ্ধে ত্যাগস্বীকারকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনবদ্য অবদান তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের তাত্পর্য সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা শহীদ বুদ্ধিজীবি, ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।