তুরস্কে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। দূতাবাসের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের কর্মসূচি শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।

এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে, যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা।

দূর পরবাসে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

আলোচনা অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ অংশ ছিল কবিতা পাঠ। এ সময় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘সুপ্রভাত’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর শোক ও বেদনাবিধুর স্মৃতির দিন। তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছিল জাতির অস্তিত্ব ও অগ্রযাত্রাকে চিরতরে রুদ্ধ করার এক সুপরিকল্পিত অপচেষ্টা।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মো. শফিক উদ্দিন।

বিজ্ঞপ্তি