একাকী

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

১.

মিমি এখন একটু ফুরসত পেল। পাশাপাশি তিনটা সিটে ওরা তিনজন। দীপ্ত জানালার পাশে বসেছে। এই প্রথম দূরে কোথাও যাচ্ছে ওরা। এরোপ্লেইনের বাইরে অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পাঁচ বছরের দীপ্ত একটু উষ্কখুষ্ক করে এখন গেইম খেলছে। ফুল মাঝের সিটে। একটা বই পড়ছে। মেয়েটা বড় হয়ে যাচ্ছে। ওর সমবয়সীদের তুলনায় ফুল অনেক বেশি চুপচাপ।

দীপ্তর জন্মের এক বছরের মধ্যে হাসান চলে গেল না ফেরার দেশে। দীর্ঘ ১০ বছর পর মিমি বাংলাদেশে ফিরছে। মাস দেড়েক থাকবে ওরা।

একটা লম্বা ছুটি।

গেল একটা মাস খুব ব্যস্ত ছিল মিমি। চাকরি, ঘরের দায়িত্ব আর কেনাকাটা। অনেক বছর পর বাংলাদেশে যাচ্ছে। পরিবারের সবার জন্য কিছু না কিছু নিতে হয়। ঘরবাড়ি গুছিয়ে আসতে হয়েছে। সেই ভোরবেলা উঠে শেষ মুহূর্তের গোছগাছ করতে করতে মনে হচ্ছিল সময় যেন দৌড়ে পালাচ্ছে। বিমানবন্দরে এসেও আরেক প্রস্থ দৌড়ঝাঁপ।

মিমির চোখ বন্ধ হয়ে আসছে ঘুমে। রাজ্যের ক্লান্তি নিয়ে মিমি ঘুমিয়ে পড়ল।

বাইরে তুষার পড়ছে। সোফার ওপর গায়ে একটা শাল জড়িয়ে মিমি ঘুমিয়ে ছিল। একটা উষ্ণ হাতের স্পর্শে মিমি চোখ মেলে তাকালো। হাসান হাসছে।

মিমির ঘুম ভেঙে গেল। উষ্ণতাটুকু ওর কপালে ছড়িয়ে আছে। স্বপ্ন দেখছিল মিমি। ফ্লাইটে ডিনার সার্ভ করছে। এয়ারহোস্টেস ওদের সিট থেকে একটু দূরে। ফুল আর দীপ্ত কিছু নিয়ে খুনসুটি করছিল। দুই ভাই–বোন খুব বন্ধু। মিমি ওদের দিকে চেয়ে হাসানের কথা ভাবছিল।

ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ওদের পরিচয়। দুজনে একই ব্যাচের। হাসান আর সবার মতোই সাধারণ। পাস করে হাসান কিছুদিন একটা বিদেশি ব্যাংকে চাকরি করেছিল। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়ে গেল। ওদের দুজনেই তখন ২৫–এর মতো বয়স।

ফুলের যখন দুই বছর বয়স তখন কানাডাতে পাড়ি জমায় সবাই। দীপ্তর জন্ম কানাডাতে। ওই বছরই হাসানের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ল। ছয় মাসও বাঁচেনি এরপর।

ভোর খুব ভালোবাসতো হাসান। ভোরবেলা উঠে গরম এক কাপ চা খুব আনন্দ নিয়ে খেত আর বাইরের সকাল দেখত। কানাডা এসে বলত বাংলাদেশের ভোরগুলো নাকি স্বর্গীয়। ২৩ এপ্রিল ভোরবেলা হাসান চলে গেল। ভোররাতে হাসপাতাল থেকে ফোন করে মিমিকে আসতে বলল। ৯ মাসের দীপ্ত আর ৫ বছরের ফুলকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল মিমি। হাসানের হাত ধরেছিল শেষ সময়। হাসান তখন কোমাতে। নিজের হাতে হাসানের হাত নিয়ে মিমি ডাকল। হাসান একটু আলত চাপ দিয়েছিল ওর হাতে। তারপরই মনিটরে হৃৎস্পন্দনের রেখাটা থেমে গেল। সরল রেখা।

মিমির জীবনের রেখা ওলোটপালোট হয়ে গেল।

নতুন বাড়ি কিনেছিল। হাসান চাকরি করত। মিমি নতুন মা। চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল। হাসানের মৃত্যুর পর অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে লাগল মিমি। হাসানের চাচাতো ভাই মুরাদ আর ওর বউ শিরিন খুব হেল্প করেছিল।

হাসানের অফিস থেকে কিছু টাকা পেয়েছিল। তাই দিয়ে কয়েক মাসের মর্টগেজ চলেছিল। চার মাস পর একটা চাকরি পেয়ে গেল মিমি। ছোট ফুল আর দীপ্তকে রেখে কাজে যাওয়া সম্ভব ছিল না। সুরভী বৌদি তখন ওদের বাঁচিয়ে দিলেন। আজ ফুল আর দীপ্ত সুরভী বৌদির নেওটা। মিমি ওদের কাছে কৃতজ্ঞ।

এয়ারহোস্টেস সবাইকে ডিনার সার্ভ করছে। মিমি বাচ্চাদের দিকে তাকালো। দীপ্ত ওর বাবার মতো- হাসানের প্রতিবিম্ব যেন। ফুল মায়ের গড়ন পেয়েছে। হাসানের চলে যাওয়ার পর ফুল খুব দ্রুত বড় হয়ে গেল। মিমি যখন কাজে যাওয়া শুরু করল ফুল খুব দ্রুতই দীপ্তর দেখাশোনা করা শিখে নিয়েছিল।

ওর বাবাকে মনের গহিনে লুকিয়ে রাখে ফুল। কোনো দাওয়াতে গেলে যখন অন্য কোনো বাবা যখন তার মেয়েকে আদর করে, ফুল চোখ সরিয়ে নেয়। গত বছর ওর জন্মদিনে এসে বলেছিল ‘মা আমাকে বাবার ঘড়িটা দিয়ে দাও। ওটাই আমার গিফট। রাতে বাচ্চারা আগে ঘুমিয়ে যায়। মিমি টুকটাক কাজ শেষ করে ঘুমাতে যায়। কদিন আগে ফুলের রুমে গিয়ে দেখে মেয়েটা বাবার ঘড়ি হাতে নিয়ে ঘুমিয়ে গেছে। চোখের নিচে বালিশ ভিজে আছে। মিমি ফুলের গালে চুমু দিতে গেল, মিমির চোখের পানি গিয়ে পড়ল ফুলের গালে।

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

মা আর মেয়ের অশ্রুতে হাসান বেঁচে থাকে।

দীপ্ত কিছুদিন আগে ফাদারসডেতে একটা কার্ডে লিখেছিলো ‘বাবা তুমি চলে গেছো আমি জানি, কবে আসবে? আমি তো তোমার কাছে যেতে পারি না।’

ওর স্কুল টিচার জানেন ওদের বাবা বেঁচে নেই। ওই কার্ডটা পড়ে মিমিকে ফোন দিয়েছিল। মিমি এ রকম অনেক ছোট বড় কষ্ট বুকের গভীরে চেপে রাখে।

বাংলাদেশে যাচ্ছে অনেক বছর পর। জানে সবাই ওকে বলবে আরেকটা বিয়ে করতে। হাসান যে বড্ড ভারী ওর জন্য। সরিয়ে রাখবে কোথায়? ফুল কি মেনে নেবে? ওর নিজের সুখের স্মৃতিগুলো হাসানময়। যতবার ঝগড়া হতো হাসান সব সময় ওকে সরি বলতো। আর হাসান ঝগড়া করত না। যত দিন বেঁচে ছিল মিমিকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রেখেছিল।

ক্যানসার যখন ধরা পড়ল, তখন নিজের জন্য ভাবেনি। সব সময় বলতো তোমাদের জন্য তো আমি কিছুই করতে পারিনি। মিমির ভালোবাসা হাসানের প্রেমের কাছে কিছুই ছিল না। মিমি জানে সেটা। কেউ কি বুঝবে ওর মনের হদিশ!

২.

গত একটা মাসে মিমির ওপর দিয়ে যেন ঝড় বয়ে গেছে। ঘরের কাজ, অফিসের কাজ, কেনাকাটা। এই প্রথম দেশে যাচ্ছে তাঁরা। সবার জন্য কিছু না কিছু মিমি কিনেছে। গোছগাছ করতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে। সুরভী বৌদি না থাকলে কী যে হতো? এই মানুষটা ওকে অনেক ভালোবাসেন।

টিটোদা বিমানবন্দরে নামিয়ে দিয়ে গেলেন। বোর্ডিং পাস নিয়ে যখন অপেক্ষা করছিলো, তখন মিমি একটু স্বস্তি পেয়েছিল। ওখানে বসে ওদের ফোন করেছিল মিমি।

কেবিন ত্রুরা ডিনার সার্ভ করছে।

ডিনার ট্রে পেয়ে দীপ্ত খুব খুশি। ওকে একটা কালারিং বুক দিয়েছে। ডিনারে চিকেন আছে। দীপ্তর পছন্দের খাবার। মিমি ওকে খাইয়ে দিল।

‘খাওয়াটা কেমন?’ মিমি জানতে চাইল।

‘ভালো। ডেজার্ট খেতে বেশ ভালো।’ ফুল বলল।

‘আমারটা নিয়ে নাও।’ মিমি ফুলকে বলল।

‘আমি খাব ওটা।’ দীপ্ত বলল।

মিমি খেয়ে নিল। একটু গুছিয়ে বসল। দীপ্ত ওর কোলে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেছে। ফুল একটা মুভি দেখছে।

পুরো কেবিন অন্ধকার, সবাই ঘুমিয়ে গেছে। ফুলও ঘুমিয়ে গেছে। দুবাই পৌঁছাতে এখনো ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা।

মিমির ঘুম আসছে না।

চারদিকে যখন নীরবতা নেমে আসে মিমির খুব একা লাগে। ওর জীবনের শূন্যতাটুকু পূরণ করার জন্য মিমি চেষ্টা করেনি। বাচ্চাগুলোর মুখ চেয়ে মেনে নিয়েছে। সুরভী বৌদি আর শিরিন ভাবি অনেকবার ওকে বলেছেন। মিমি আগায়নি। পারেনি।

এই শূন্যতা—এই একাকিত্ব অনেক কঠিন। কাজে ডুবে থাকলেও মিমি বুঝতে পারে। মাঝেমধ্যে মনে হয় ও বোধহয় এই শূন্যতা উপভোগ করে। নিজের সঙ্গে নিজেকে নিয়ে থাকা।

এক শনিবার বিকেল, স্নো পড়ছিল। দীপ্ত আর ফুল দুপুরে খেয়ে নিজেদের ঘরে—খেলছিল। মিমি লিভিং রুমে সোফায় বসে স্নো দেখছিল। সুরভী বৌদিদের বাড়ি ওর উল্টোদিকে। দাদা আর বৌদি স্নোতে হাঁটতে বের হলেন। ওদের হাসিমাখা মুখ আর খুনসুটি দেখতে খুব ভালো লেগেছিল।

মিমি কি এ রকম উষ্ণতা আর নির্ভরতার প্রয়োজন নেই? নিজেকেই প্রশ্ন করেছিল। নিজের মনে এক পা এগিয়ে আবারও পিছিয়ে যায়। সম্পর্কের অনিশ্চয়তা ওকে ভীত করে তোলে। দীপ্ত আর ফুল আছে— ওদের জীবনে যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায়। বাচ্চাগুলো ভালো আছে—মিমির কষ্ট লুকানোই থাকে।

অলংকরণ: আরাফাত করিম

কানাডা আসার পর হাসান, মিমি আর ফুল নায়াগ্রা জল প্রপাত দেখতে গিয়েছিল। মুরাদ ভাই আর শিরিন ভাবি ছিলেন। হাসানের কোলে ফুল আর ফুলের হাতে ধরা বেলুনটা উড়ে যাচ্ছে। মুরাদ ভাইয়ের ছবি তোলার শখ। তার ক্যামেরাতে ছবিটা খুব সুন্দর এসেছিল। হাসান আর মুরাদের পেছনে বিশাল জলরাশি। গোলাপি বেলুনটা নীল আকাশে উড়ে যাচ্ছে। মুরাদ ভাই ফুলের কাছে বাবার মতো। এই মানুষটা ওর মেয়েটাকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসেন। বাপমরা মেয়ে। হাসানের মৃত্যুর পর পরিবার বলতে এই দুজন। সুরভী বৌদি আর টিটোদা প্রতিবেশী হলেও পরিবারের একজন হয়ে পাশে ছিলেন। মিমি এদের কাছে কৃতজ্ঞ।

হাসানের ফুসফুসে টিউমারটা লুকিয়ে ছিল। জ্বর এল প্রথমে। একদিন কাশির সঙ্গে একটু রক্ত। হাসান কেমন যেন শুকিয়ে গিয়েছিল। ও বলত ভালোই হলো—একটু ওজন কমেছে। তারা দুজনে বুজতেই পারেনি কালসাপ ঢুকেছে ওদের ঘরে। ডাক্তারের রিপোর্ট যেদিন এল, সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। খুব দ্রুত ক্যানসার ছড়িয়ে গেছে—পুরো শরীরে। বাড়ি থেকে হাসপাতালে গিয়ে আর ফেরা হয়নি হাসানের। সব শেষ। মিমির চোখের কোণে পানি জমেছে।

দীপ্ত গভীর ঘুমে। ফুল তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে। মিমি চোখ মুছল। ফুল মনিটরে দেখছে। দুবাই আরও ঘণ্টা দুয়েক। কেবিন লাইট জ্বলে উঠল। ব্রেকফাস্ট সার্ভ করছে সবাইকে। দীপ্তকে জাগালো না মিমি। ফুল একটু ফ্রেশ হয়ে এসে বসল।

‘মা তুমি ঘুমাওনি?’ ফুল জানতে চাইল।

‘ঘুম এল না। তোমার ঘুম ভালো হইসে।’

ফুল মাথা নাড়ল। ব্রেকফাস্টে কি দিয়েছে দেখছে।

‘কি? ভালো?’ মিমি জানতে চাইল।

‘ইটস ওঁকে।’ ফুল খেতে শুরু করল।

সবাই খেতে ব্যস্ত। মিমিও খেয়ে নিল। দীপ্তকে ঘুম থেকে তুলে খাইয়ে দিল।

দুবাই পৌঁছে ঢাকার ফ্লাইটের গেট খুঁজে ফ্লাইটে উঠার তোড়জোড়। দুবাই থেকে ঢাকা পাঁচ ঘণ্টা।

মিমির বুকটা একটু চিনচিন করে উঠল।

একা বাংলাদেশে ফিরতে হচ্ছে। হাসান নেই। একসঙ্গে দুজনেই গিয়েছিল। আজকে হাসান থাকলে কী করত?

আজ রাতে বাপের বাড়িতে থাকবে ওরা। কাল একসময় দিদা-দাদুকে দেখতে যাবে বাচ্চাগুলো। দীপ্তকে এই প্রথম দেখবে সবাই।

মিমির গলার কাছে কিছু একটা যেন জমে আছে। বেদনা-কষ্ট - একাকিত্ব।

হাসানের মৃত্যুর পর একদিকে একজন মা আরেক দিকে একজন নারী হিসাবে সব ঝড় তার ওপর দিয়ে গেছে। বাংলাদেশ যত কাছে আসছে ওর মনের সব কষ্টগুলো যেন চোখের কাছে চলে আসছে। এতো দিনের জমে থাকা আবেগ।

কেন এমন হচ্ছে? নিজেকে সামলে রাখতে একটু কষ্টই হচ্ছে মিমির।

৩.

ফ্লাইট এটেনডেন্ট ঘোষণা দিল। একটু পর ফ্লাইট ল্যান্ড করবে ঢাকায়। মিমি তাকালো ফুল আর দীপ্তর দিকে। লম্বা জার্নিতে বাচ্চাগুলো ক্লান্ত।

মিমির কেমন যেন লাগছে। একটা বিচিত্র অনুভূতি। কত দিন পর মা আর বাবাকে দেখবে। নিজের ঘর—নিজের বাড়ি।

নিজের বৈধব্য একটা কষ্ট। বাবা কীভাবে রিএক্ট করবে? শেষবার মিমি আর হাসানকে একসঙ্গে বিদায় দিয়েছিলেন। নিজের একমাত্র মেয়ের বৈধব্য মানুষটাকে কষ্ট দেয়। মিমি বোঝে। এই ১০ বছর দূরে ছিল। সামনে আসার পর উনি কেমন করবেন—জানে না মিমি।

নিজেকেও সামলাতে পারবে কি না, জানে না।

ফ্লাইট ল্যান্ড করল।

লাগেজ নিয়ে বাড়ি পৌঁছাতে আরও ঘণ্টা খানেক লাগল। ওর বড়ভাই ওদের নিতে এসেছেন। ঢাকা শহর বদলে গেছে। অনেক।

খিলগাঁওয়ের এই বাড়িটা ওর বাবার বানানো। উনারা এখানেই থাকেন। ওর বড়ভাই থাকেন বনানী। উনার ফ্ল্যাটে। এই বাড়িতে বাবা আর মা।

ঘরের দরজা খুলে মা দাঁড়িয়ে আছেন। পেছনে বাবা। বিস্কুট রঙের ফতুয়া আর নীল চেক লুঙ্গি। দাড়ি রেখেছেন। অনেক শুকিয়ে গেছেন বাবা। মায়ের পরনে আটপৌরে শাড়ি। শরীরটা ভেঙে গেছে। দুজনের চোখে আনন্দ আর দুঃখের একটা ছায়া।

দরোজার বাইরে মিমি, ফুল আর দীপ্ত।

দরোজার দুই পাশে ওদের মাখখানে আবেগের ঢেউ। মিমির চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেল। মা এসে ফুল আর দীপ্তকে জড়িয়ে ধরলেন। গালে আদর করছে। বাচ্চাগুলো একটু হকচকিয়ে গেছে।

ভাইয়া বলল, ‘আম্মা ওদের ভেতরে নিয়ে চল।’

বাবা এগিয়ে এলেন। মিমি বাবাকে জড়িয়ে ধরল। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন মানুষটা।

অনেক দিনের জমানো কষ্টের মেঘ। থামাতে পারেনি মিমি।

আজ না হয় ঝরুক।

*লেখক: হায়দরী আকবর আহমেদ, কাইল, টেক্সাস

দূর পরবাস-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]