লন্ডনে প্রবাসীদের মধ্যে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছেছবি: প্রথম আলো

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার লন্ডন বাংলাদেশ হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, লন্ডন বারা অব ক্যামডেনের মেয়র সমতা খাতুন, লন্ডন বারা অব বার্কিং ও ডেগেনহ্যামের মেয়র মঈন কাদরী।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘প্রবাসীরা এখন যুক্তরাজ্য থেকেই ভোটার নিবন্ধন ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করছেন। প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম আজ (রোববার) থেকে এখানে শুরু হলো।’

নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মো. আলমগীর বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায়, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আন্তরিক। এ বিষয়ে হাইকমিশনের মাধ্যমে লিখিত প্রস্তাব পাওয়া গেলে, তা বিবেচনা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হবে।’

প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রবাসে থেকে দেশের নির্বাচনে ভোট প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় আইনের প্রয়োজন। সরকার যদি সংসদে এ–সংক্রান্ত আইন তৈরি করে, সেটা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তখন পোস্টাল নাকি অনলাইন—যেভাবে সুবিধা হয়, সেভাবে প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা যাবে।

স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ভোটার নিবন্ধন ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য থেকে ৪ হাজার ২৬৪টি আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৬০০ আবেদনকারী বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের ৫২৮ জনের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের জন্য লন্ডন মিশনে পৌঁছেছে। শিগগিরই তাঁদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের বার্তা পাঠানো হবে।

যেসব আবেদনকারী এখনো বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি, তাঁদেরকে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে হাইকমিশনে এসে আঙুলের ছাপ, আইরিস ও ছবি দেওয়ায় জন্য হাইকমিশনার পরামর্শ দেন।