জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রথমবারের মতো বাংলা বইমেলা আয়োজিত
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে আন্তর্জাতিক বইমেলার ৭৫তম আসরে বইপ্রেমী প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো বাংলা বইমেলা।
ফ্রাঙ্কফুর্ট ৭৫তম বইমেলার পূর্তি উৎসবকে সামনে রেখে ফ্রাঙ্কফুর্টে বইপ্রেমী বাংলাদেশিরা ফ্রাঙ্কফুর্ট নর্থ ভেস্ট কেন্দ্রের সালবাউ টিটস ফোরামে এই বাংলা বইমেলার আয়োজন করেন।
বাংলা বইমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। আয়োজকদের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন হাবিব বাবুল, খন্দকার এম গনি টিটু হাকিম ও বাবু সরদার।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক লেখক আব্দুল্লাহ আল ফারুখ, লেখক নাজমুন নেসা পিয়ারি, কনস্যুলার হাসনাত মিয়া, লেখক ও সাংবাদিক সরাফ আহমেদ, অঙ্কুর প্রকাশনীর প্রকাশক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, শুদ্ধস্বর ডটকমের আইরিন পারভিন, বুলবুল তালুকদার, বাতিঘরের প্রকাশক দীপঙ্কর দাস, সম্পর্ক পাবলিশার্সের প্রকাশক সুনন্দন রায়, কবি মিল্টন রহমান, খান আসাদ, মায়দুল ইসলাম তালুকদার, আবদুল জব্বার, কবি দিলশাদ জাহান খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদুত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজকের শুরুটা হচ্ছে আগামী দিনের বৃহত্তর মেলার একটি যাত্রা। এ মেলা প্রতিবছরই বড় হবে, এমনটাই আশা রাখি।’
স্বাগত বক্তব্যে হাবিব বাবুল বলেন, ‘আজকের বইমেলাটি হচ্ছে প্রতীকী মেলা, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ আকারে অনুষ্ঠিত হবে এই বইমেলা।’
বইমেলার সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বাণী পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্যপ্রকাশ, আগামী প্রকাশনী, পাঞ্জেরী প্রকাশনী, বাতিঘর প্রকাশনী, অঙ্কুর প্রকাশনী, স্বপ্ন ৭১ প্রকাশন, পারিজাত প্রকাশনী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স, পত্র ভারতী ও কলকাতা বইমেলার সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন জালাল আবেদিন, আতিকুর রহমান, মায়দুল ইসলাম, শিউলি ফিরোজ, লিপি আহমেদ, নিম্নি কাদের, লিপি আহমেদ, মহুয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লিপি আহমেদ ও আতিকুর রহমান।