সিডনিতে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা

ছবি: আকাশ দে

রঙ, সুর আর সংস্কৃতির এক বর্ণিল উৎসবে রোববার সেজে উঠেছিল সিডনির ফেয়ারফিল্ড শোগ্রাউন্ড। বাংলা নববর্ষকে ঘিরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণের উৎসব—বৈশাখী মেলা ২০২৫। এটি ছিল এই ঐতিহ্যবাহী মেলার ৩০তম আয়োজন, যা দিনভর প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য মিলনমেলায় রূপ নেয়।

মেলাটি আয়োজন করে সিডনির অন্যতম বাংলাদেশি সংগঠন বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া, আর সহযোগিতায় ছিল নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার। দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলা এ আয়োজনে ছিল দেশীয় খাবার ও হস্তশিল্পের বাহারি স্টল, শিশুদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত শেষে আকাশভরা আতশবাজির ঝলক।

মেলার বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন শান্তিনিকেতনের খ্যাতনামা লোকশিল্পী পৌষালী ব্যানার্জি। তাঁর কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয় বাংলার মাটির ঘ্রাণ, লোকজ সুরে মুখর হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ। তাঁর গানে মুগ্ধ হয়ে ওঠে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম থেকে শুরু করে অভিভাবক শ্রোতারা।

‘ফিরে দেখা বাংলা’ আর ‘প্রবাসেও প্রাণে বৈশাখ’—এই দুটি অনুভূতির বন্ধনে গড়ে ওঠা এই মেলায় সিডনি যেন একদিনের জন্য হয়ে ওঠে লাল-সাদা শাড়ি-পাঞ্জাবির বর্ণময় এক বাংলার প্রতিচ্ছবি। একদিনের এই উৎসব ছিল শুধুই বিনোদনের নয়, বরং প্রবাসে থেকেও শিকড়ের টান অনুভব করার এক গভীর উপলক্ষ।

ছবি: আকাশ দে

সংগঠনের সভাপতি শেখ শামীম গর্বিত কণ্ঠে বলেন, "বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে এই প্রথমবার নয়, আমাদের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার ৩০তম আয়োজন। শুধু আয়োজক হিসেবে নয়, একজন বাঙালি হিসেবেও আজ আমি গভীর গর্ব অনুভব করছি।' তিনি সকল সম্প্রদায়ের প্রতি উষ্ণ আহ্বান জানিয়ে যোগ করেন, "এই মেলা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রদর্শনী। আগামীতেও যেন সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই উৎসব আরও বর্ণিল হয়ে উঠে - সেই কামনা করি।

ছবি : আকাশ দে
ছবি: আকাশ দে
ছবি : আকাশ দে