প্রবাসীর বোবা কান্না-৫
এ সিরিজটা লেখা শুরু করেছিলাম যখন আমার কলেজের শিক্ষক সমরেন্দ্রনাথ পোদ্দার স্যার মারা গিয়েছিলেন। এর পর থেকেই সেই মিছিলে অনেকেই শামিল হয়েছেন। সরাসরি চিনি এমন মানুষের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। একে একে মারা গেলেন রাব্বি মামা, খালু, শরীফ স্যার, কর্তা, ফুফু। আর গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে মারা গেলেন কাকিমা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর মিছিলটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কর্তা মারা যাওয়ার পর আলাদাভাবে লিখেছিলাম কিন্তু বাকিদের নিয়ে আর লেখা হয়নি। আসলে বিয়োগান্তক লেখা লিখতে ভালো লাগে না। তবে লিখতে পারলে হয়তোবা মনটা হালকা হয়ে যেত। গতকাল কাকিমার মৃত্যুসংবাদ শোনার পর থেকেই মনের ওপর একটা বিশাল পাথর জমে আছে। তাই ভাবলাম লিখে সেই পাথরটাকে মন থেকে নামানোর চেষ্টা করি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি যে মানুষগুলোর কথা বলছি, এরা কেউই আমার রক্ত সম্পর্কের কোন আত্মীয় নন বরং তাঁরা আমার আত্মার আত্মীয় ছিলেন। উনারা সবাই গ্রাম সম্পর্কে আমার স্বজন ছিলেন। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে উনাদের মধ্যে হিন্দু মুসলমান দুই ধরনের মানুষই আছেন।
রাব্বি মামার মৃত্যুটা ছিল বজ্রপাতের মতো অকস্মাৎ। একেবারেই অকাল মৃত্যু। সবে শৈশব থেকে কৈশোরে পা দেওয়া রাব্বি মামার মনে যখন একটু একটু করে জীবনের রঙ লাগতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই রাব্বি মামা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন। রাব্বি মামা চমৎকার মানুষ ছিলেন। একথা শুধু আমি না, পাড়ার সবাই বলেন। রাব্বি মামাদের বাড়ি আমাদের বাড়ির ঠিক পূর্ব পাশেই। যদিও মামা বলতাম কিন্তু আসলে পাড়া সম্পর্কে সে ছিল আমাদের ভাগ্নে। উনার নানি সুখজানকে আমাদের পাড়া এমনকি গ্রামের সবাই চিনে অত্যন্ত মুখরা রমণী হিসেবে। আসলে জীবনের ঘাত–প্রতিঘাত উনাকে এভাবে তৈরি করেছিল। আমরা উনাকে ফুফু ডাকি। নাম সুখজান হলেও ফুফুর জীবনে সুখের ছিটেফোঁটা ছিল না। উনার বড় মেয়ে হালিমা খাতুন কিন্তু আমরা ডাকতাম হালে বু। উনার কপালেও সুখ লেখা ছিল না। উনার স্বামী একজন খেয়ালি মানুষ যাদের কথা আমরা গল্প কবিতায় পড়ি। উনার প্রথম কন্যা হীরা খালামণি। তার অনেক পরে জন্ম নেন রাব্বি মামা।
সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য থেমে থাকে না। রাব্বি মামাও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় হতে থাকলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, উনি এমন একটা মানসিকতা নিয়ে বড় হতে থাকলেন যেটা ঐ পরিবার থেকে পুরোপুরিই আলাদা। সদা হাসিখুশি রাব্বি মামা যতই বড় হতে থাকলেন, ততই সবার প্রিয়পাত্র হতে থাকলেন। হাসিখুশি এবং সদালাপী স্বভাবের জন্য সকলেই উনাকে ভালোবাসতো। আমি তত দিনে কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে ঢাকায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। ছুটি পেলেই কুষ্টিয়া চলে যাই। আর কুষ্টিয়ায় গেলেই আমাদের বাড়ির পেছনে আশপাশের বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে বাদাম আর নারকেলের ‘বাগু’র ব্যাট দিয়ে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠি। কুষ্টিয়া অঞ্চলে জাম্বুরাকে আমরা বাদাম বলি আর নারিকেল গাছের শাখাকে বাগু বলি। এই খেলায় আমার সবচেয়ে বড় সহযোগী আলামিন ভাই ও রাব্বি মামা। উনারা দুজন নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে জাম্বুরা গাছের তলা থেকে বাদাম কুড়িয়ে আনতেন। আর কোনো ছোট আকারের নারকেলগাছ থেকে বাগু কেটে নিয়ে আসতেন। তখন আমি সেটাকে ক্রিকেট ব্যাটের আকার দিতাম।
পাড়া প্রতিবেশীদের যেকোন দরকারে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসতেন। আমরা তিন ভাই জীবিকার প্রয়োজনে কখনোই বাড়িতে থাকতে পারতাম না। তাই মা যেকোন দরকারে রাব্বি মামার শরণাপন্ন হতেন। আর উনিও অতি সত্ত্বর সেই কাজগুলো করে দিতেন। বাড়িতে ফোন দিলেই অন্ততপক্ষে একবার হলেও রাব্বি মামার প্রসঙ্গ আসত। রাব্বি মামাকে দেখতাম খেলায় কোনো ছলচাতুরী করতেন না যেটাকে আমাদের এলাকায় ‘কাইন্টামি’ বলে। এভাবেই উনি আমারও প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। এরপর সময় গড়িয়ে যেতে লাগল। উনি কলাগাছের সবুজ পাতার মতো তরতর করে বেড়ে উঠতে লাগলেন। আমরা সবাই ভেবেছিলাম এইবার হয়তোবা সুখজান ফুফুর পরিবারে আসল সুখ আসবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। উনি হঠাৎই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন। প্রচন্ড দুঃখ পেয়েছিলাম একান্ত স্বজন হারানোর বেদনায়। আসলে গ্রামের সবাই তো সবাই আত্মীয়। সকালে ঝগড়া হয় আবার বিকেলেই তারা মিলে যায়। সবাই মিলে যেন একটা একান্নবর্তী পরিবার।
খালু হচ্ছেন আমার বন্ধু সালামের বাবা। খালুর সঙ্গে কতশত স্মৃতি মনের জানালায় ভিড় করছে। আমাদের পাড়ার একমাত্র টেলিভিশন ছিল উনাদের বাসায়। ন্যাশনাল ব্রান্ডের ১৪ ইঞ্চি সাদা কালো টিভি। টিভিটা সাদাকালো হলেও আমাদের কৈশোরটা রাঙিয়ে দিয়েছিল। সপ্তাহের সাতদিনই আমরা উনাদের বাসায় যেয়ে বসে থাকতাম। এভাবে থাকতে আমাদের পুরো অনুষ্ঠান সূচি মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়াও জগতি রেলগেট থেকে ভিসিআর ভাড়া করে আনলেও উনাদের টিভিতেই চালানো হতো। তখন টিভিটা ঘর থেকে বের করে বারান্দায় বসিয়ে দেওয়া হতো। দিনের বেলায় বা রাত ১০টার আগের অনুষ্ঠানগুলো দেখা নিয়ে খালা তেমন অভিযোগ না করলেও ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর উনি আর টিভি খোলা রাখতে চাইতেন না। তার অবশ্য কারণও ছিল। উনারা সেই কক্ষেই ঘুমাতেন। টিভি ছেড়ে রাখলে তার শব্দে ঘুম আসা কঠিন। কিন্তু খালু ছিলেন আমাদের দলে। উনি কক্ষের লাইট অফ করে দিয়ে টিভির ভলিউম কমিয়ে দিতেন। ১০টার ইংরেজি সংবাদের আধাঘণ্টা কোনোভাবে পার করতে পারলেই ইংরেজি সিরিজগুলো শুরু হতো। আমার এখনো মনে আছে রাত জেগে হারকিউলিস সিরিজ দেখার কথা। এর পর থেকে কীভাবে কীভাবে জানি আমার নাম হয়ে গেল হারকিউলিস। আজও যখন গ্রামে ফিরে গেলে বন্ধুরা হারকিউলিস নাম ডাকে, তখনই খালুর কথা মনে পড়ে যায়।
শরীফ স্যারকে নিয়ে যাই লিখি না কেন যথেষ্ট হবে না। উনি নিজ উদ্যোগে আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। যে আমার হবার কথা ছিল দিনমজুর সেই আমি এখন প্রকৌশলী। কীভাবে উনি আমার জীবন বদলে দিয়েছিলেন সেটা নিয়ে ‘আলোর দিশারি’ শিরোনামে একটা লেখা লিখেছিলাম। সেই শরীফ স্যার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। স্যার করোনায় আক্রান্ত হবার পরও মোটামুটি ভালোই ছিলেন। কিন্তু দ্রুতই উনার পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। তাঁকে তখন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন ঠিক সময়ে উনাকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারলে হয়তোবা আজও তিনি আমাদের মধ্যে জীবিত থাকতেন। যে তিনি আমার মতো আরও অনেকের জন্যই ছিলেন আলোর দিশা, সেই উনিই শেষ সময়ে অক্সিজেনের অভাবে কবরের অন্ধকার জগতের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেলেন। আমি মাঝেমধ্যে ভাবি, যদি দেশে থাকতাম, তাহলে নিজের প্রভাব খাটিয়ে হয়তোবা উনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন জোগাড় করে দিতে পারতাম। তাহলে স্যার হয়তো আজও আমাকে কল দিয়ে বলতেন, ‘বাপুরে কিরাম আছো? অনেক দিন তুমার সাথে কতা হয় না।’
আমরা যখন পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে বাড়াদীতে এসে বসবাস শুরু করলাম, তখন সবাই আমাদের সমানভাবে গ্রহণ করেননি। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ একেবারে শুরু থেকে আমাদের আপন করে নিয়েছিলেন। আমার ফুফু আর ফুফা ছিলেন তার অন্যতম। ফুফুর সঙ্গে আমাদের আগে থেকে কোনো পরিচয় ছিল না। ফুফুদের বাসায় যাতায়াত করতে করতে একটা সম্পর্ক দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ফুফার ছিল বিশাল বিশাল কলার বাগান। উনি বাগান থেকে কাঁচা কলা কাদি ধরে কেটে এনে বাড়িতেই পাকাতেন। এরপর বিভিন্ন দোকানে জোগান দিতেন। ওই সময়টা যদি আমরা কখনও উনার বাড়িতে যেতাম, ফুফু অবধারিতভাবেই আমাদের হাতে এক ছড়ি কলা ধরিয়ে দিতেন। মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে। কীভাবে আসা–যাওয়া করব, সেটা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম। এটা জেনে ফুফু উনার মেজ ছেলে লতিফ ভাইকে ডাক দিয়ে বললেন, তুই ইয়াকুবকে পরীক্ষার হলে নিয়ে যাবি আর পরীক্ষা শেষ হলে নিয়ে আসবি। আমার রক্ত সম্পর্কের আপন ফুফু থাকলেও নিশ্চয়ই এটাই করতেন। বাইরে থেকে যতবারই কুষ্টিয়া যেতাম, তাঁর সঙ্গে দেখা করতাম। দেখা হলেই কীভাবে যত্নআত্তি করবেন, সেটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন।
কাকিমা ছিলেন আমার বন্ধু বিদ্যুতের মা কিন্তু সেই সঙ্গে আমার আরেকজন মা ছিলেন। বাড়িতে গেলেই সকালে দাঁতনের ডালের মেছওয়াক দিয়ে দাঁত মাজতে মাজতে সারা পাড়াময় ঘুরে বেড়ানো আমার অভ্যাস। কাকিমার বাড়িতে গিয়ে চুলার পাশে দাঁড়িয়ে কি রান্না করছেন, সেখানে অন্ততঃপক্ষে একবার উঁকি দেওয়া হবেই। পছন্দের কিছু রান্না হলেই কলপাড়ে গিয়ে মুখ ধুয়ে খেতে বসে পড়া ছিল নিয়মিত রুটিনের অংশ। কিছু না খেলেও অন্তত চা খাওয়া হবেই। কারণ, সকালে আমাদের বাড়িতে চা বানানোর চল নেই। অস্ট্রেলিয়া আসার পরও নিয়মিত বিরতিতে কাকিমার সঙ্গে কথা হতো। প্রথম যেদিন ফোন দিয়ে কথা বললাম, উনি জিজ্ঞেস করলেন কয়টা বাজে। আমি বললাম রাত আটটা। শুনে উনি খুবই অবাক হলেন। কারণ, তখন বাংলাদেশে মাত্র বিকাল চারটা বাজে। আসলে আমাদের আটপৌরে মায়েরা তো এমনই অকৃত্রিম সরল মনের অধিকারী। এরপর দেশে গিয়ে কাকিমার হাতের লুচি লাবড়া না খেলে মনে হতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা বাদ পড়ে গেছে। সম্প্রতি কাকিমার জরায়ুতে ক্যানসার ধরা পড়েছিল। সেটার চিকিৎসার পর কিছুদিন ভালোও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর টিকতে পারলেন না।
কাকিমার মৃত্যুর খবর পেলাম আমার আরেক বন্ধু সালামের কাছ থেকে। সালামকে বললাম, আমার এখন কেন জানি মনে হয় এতটা পড়াশোনা না করলেই পারতাম রে। সামান্য একটা ডিগ্রি নিয়ে যদি গ্রামের স্কুলে মাস্টারি করতাম, তাহলে অন্ততপক্ষে মা–বাবার কাছাকাছি থাকতে পারতাম। উনাদের দেখাশোনা করতে পারতাম। কিন্তু এখন এই দূর পরবাসে বসে দেশের মানুষদের স্বজন হারানোর কথা শুনে হাহাকার করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। কথা প্রসঙ্গে বললাম, খালাকে দেখি রাখিস। খালাকে দেখে মনে হলো উনি যেন শুকিয়ে গেছেন এবং খাটো হয়ে গেছেন। শুনে সালাম বলল, মায়ের কোমরে ব্যথা, তাই কুঁজো হয়ে হাঁটেন। আমি বললাম, খালু চলে গেলেন এখন গেলেন কাকিমা। এরপর কোন দিন শুনব, আবার মা–আব্বাও সেই পথেই পাড়ি দিচ্ছেন। আর আমি সাত সমুদ্র তের নদীর পারে বসে বোবা কান্না করছি আর নীরবে চোখের পানি ফেলছি।
প্রবাসের জীবনে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা থাকলেও স্বজনদের ওম নেই। এই বয়সে এসে বুঝি শারীরিক ক্ষুধার মতো মানসিক ক্ষুধাও আমাদের মৌলিক চাহিদা। স্বজনদের সংস্পর্শে আমাদের মানসিক দিকগুলোর পূর্ণ বিকাশ ঘটে। একা একা থাকলে হয়তোবা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়, কিন্তু মানসিকভাবে আমরা পঙ্গু হয়ে যাই। এটা আমি প্রবাসের দ্বিতীয় প্রজন্মকে দেখে বুঝেছি। আমরা যতই তাদের কেয়ারিং বা শেয়ারিং শেখাই না কেন, তারা দিনশেষে এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হয়ে বেড়ে ওঠে। তাদের খুবই প্রচলিত কথা হচ্ছে, আই এম বোরড। এটা আমাকে খুবই ভাবায় কিন্তু সহসা এর থেকে মুক্তিরও পথ দেখছি না। এখানে জীবনের সব মৌলিক প্রয়োজনই রাষ্ট্র পূরণ করে দিচ্ছে, তাই তাদের জীবনে কোনো আলাদা আনন্দ নেই। সপ্তাহের যে জীবন, মাসের এবং বছরের হিসাবেও সেই একই একঘেঁয়ে জীবন।
দেশে আমরা বেড়ে উঠেছিলাম পাড়ার সব মানুষের অকৃত্রিম মমতায়। এইসব মানুষদের সঙ্গে রক্তের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তাঁরা সবাই আমার আত্মার আত্মীয়। আমি তাদের সবাইকে নিয়েই ভালো থাকাটা শিখেছিলাম। এইসব মানুষদের টানাপোড়েনও আমার জীবনের অংশ। আবার এইসব মানুষের খুশিতে খুশি হতে শিখেছিলাম। সেখানে নিজের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া, ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রাধান্য ছিল খুবই কম। তাই আমাদের জীবন কখনো একঘেঁয়ে হয়ে উঠেনি। আমি আমার সন্তানদের বলে রেখেছি, তোমাদের বয়স আঠারো হবার সঙ্গে সঙ্গে আমি দেশে চলে যাব এবং আমার নিজের মা–বাবার সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাব। জানি না সেটা সম্ভব হবে কিনা। যত দিন না যেতে পারছি তত দিন দেশের মানুষগুলোর জন্য বোবা কান্না করে যেতে হবে।
*দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]