বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের প্রাপ্য সেবাসমূহ সহজ করা জরুরি। এ ব্যাপারে দূতাবাসে দ্রুত সেবা, পাসপোর্ট ডেলিভারিসহ অন্যান্য কাজে প্রবাসীদের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব দেখাতে হবে। সম্প্রতি সেন্টার ফর এনআরবির উদ্যোগে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী রাশেদ বাদল, প্রেসক্লাব নেতা আহমদুল কবির, এনআরবি সেন্টারের বোর্ড সদস্য এ বি এম মোস্তাক হোসেন, প্রবাসী পারুল হোসেন, জয়নাল চৌধুরী, আমির হোসেন, ফারজানা আক্তার, আতিকুর রহমান, শাহাদাত খান রাসেল, মো. রিয়াদ, মো. জাকারিয়া, সাংবাদিক বাপ্পি কুমার দাস, মো. আল আমিন, আমজাদ হোসেন ও মালয়েশিয়াপ্রবাসী বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার নেতারা।
প্রবাসী বক্তারা বলেন, প্রবাসী আয় বাড়াতে হলে সরকারি সেবাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুবিধা নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে সভা–সেমিনার করতে হবে, মালয়েশিয়ার গ্রাম এলাকায় রেমিট্যান্স সেবা ও দূতাবাসগুলোর সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। রেমিট্যান্স হাউসগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাদের লোকবল বৃদ্ধি করতে হবে, বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় যেসব প্রবাসী রয়েছেন, তাঁদের রেমিট্যান্স প্রবাহের মধ্যে আনতে গেলে অনলাইন রেমিট্যান্স সিস্টেম চালু করতে হবে। শুধু সরকার নয়, সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে হুন্ডিকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
প্রবাসী আয়ের বা রেমিট্যান্স পাঠানোর সুবিধাগুলো নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রবাসীদের সম্মানিত করলে প্রবাসী আয় দিন দিন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রবাসীরা।