অস্ট্রেলিয়ার গল্প: ১—‘টেরা অস্ট্রালিস’ মানে দক্ষিণের দেশ
‘টেরা অস্ট্রালিস’ মানে দক্ষিণের দেশ।
অস্ট্রেলিয়া!
এই একবিংশ শতাব্দীতেও অস্ট্রেলিয়া বাকি দুনিয়ার কাছে রহস্যময়। সারা দুনিয়া থেকে বহু দূরে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপরাষ্ট্র। এক মহাদেশও বটে।
ছোটবেলায় অস্ট্রেলিয়া চিনেছিলুম ক্রিকেট দিয়ে। সেই অ্যালান বর্ডারের যুগে।
অনেকের কাছে অস্ট্রেলিয়া মানে ক্যাঙারু আর কোয়ালার দেশ। অনেকে ভাবেন, অস্ট্রেলিয়ায় মানুষ শুধু ক্রিকেটই খেলে। আবার অনেকেই জানে যে অস্ট্রেলিয়ায় নদীনালা, রাস্তাঘাটে শুধু হাঙর আর কুমির ঘোরাঘুরি করে। সামনে মানুষ পেলেই খপ করে গিলে খায়। এমনকি এ দেশের এক প্রধানমন্ত্রীকেও হাঙরে খেয়েছিল। এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা দুনিয়ায় আর দুটো ঘটেনি। ঘটনা বিলকুল সত্য বটে! ১৯৬৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড হারিয়ে গিয়েছিলেন সমুদ্রে সাঁতরাতে গিয়ে। কেউ আর খুঁজে পায়নি হ্যারল্ডকে। ধারণা করা হয় যে হাঙরেই খেয়েছিল তাঁকে!
১৬ শতকে ইউরোপীয়রা ভারতবর্ষ মানে স্বপ্নের স্বর্গরাজ্যে পা রাখতে পারলে বর্তে যেত। ৫০০ বছর পর এখন অস্ট্রেলিয়া হলো সে রকম দুনিয়ার দক্ষিণে এক স্বপ্নের দেশ।
যেন স্বর্গরাজ্য!
জন্ম আমার বঙ্গদেশে হলেও পরবাসে থাকলুম সে অনেক অনেক বছর। এখন সে ভূমে গেলে সবকিছুই অচেনা লাগে।
শুধু জন্মস্থান ফুল্লশ্রী গ্রামের মাটি চিনতে পারি। চিনতে পারি যে ভিটেয় জন্ম হয়েছিল। চিনতে পারি বাপ–দাদার কবর। বাড়ির পাশের বাকাল খাল। আরও চিনতে পারি, বাড়ির উত্তরপাশের বটগাছটা। এরা সবই স্মৃতি জাগানিয়া। এখানে আছে কতশত স্মৃতি!
সেই টিনের ঘর এখন আর নেই, ওখানে দালান উঠেছে। একতলা থেকে দুইতলা হয়েছে।
মনে আছে, প্রথম যেদিন গ্রামে বিজলিবাতি এসেছিল, মাত্তর কয়েকখানা তিরিশ ওয়াটের বাল্বে দুনিয়া বদলে গিয়েছিল। চারদিকে আলোর বাহার। মনে হতো দিনের মতো আলো–ঝলমলে। সারা গ্রামে একখানা টেলিভিশনও ছিল না। শুধু থানার দারোগার একখানা ছিল। ভালো করে মনে আছে, যেদিন প্রথম টেলিভিশন নামের সেই বিস্ময়কর যন্ত্র দেখেছিলুম।
দুষ্ট লোকেরা ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে মেরে ফেলেছিল। ওনার শেষকৃত্য দেখতে গিয়েছিলুম সেই থানার দারোগার কোয়ার্টারে। সেই ছিল প্রথম জাদুর বাকসো দেখা।
সেকালে পুলিশের দারোগারাও মনে হয় অনেক বেশি সজ্জন ছিলেন। এলাকার বিশিষ্ট লোকজনের সঙ্গে ছিল তাঁদের ওঠাবসা। রাজনীতিক বা চ্যালাচামুণ্ডাদের অত উৎপাত ছিল না। তাই বাবা–চাচার বন্ধু ছিলেন এই দারোগা সাহেব। তাঁর মেয়ে আবার আমার সঙ্গে একই ক্লাসে পড়ত। তাদের বাসায় সাদাকালো টেলিভিশন দেখতে যেতুম বিশেষ উপলক্ষ বা পালা–পার্বণে। মনে আছে, সেই টিভিতেই রাত আটটার খবরে দেখেছিলুম, ইন্দিরা গান্ধীর চিতায় আগুন। আগুন যখন জ্বলল, চারদিকে কত মাতম! যেন কারবালার শোক। বঙ্গদেশিরা ওনাকে অনেক ভালোবাসত মনে হয়।
আরও ছিল হ্যাজাক বাতি। শুধু উৎসব–অনুষ্ঠানেই জ্বালানো হতো হ্যাজাক বাতি। চারদিকে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলত সেই হ্যাজাক। মনে হতো যেন দিনের আলো। নাহলে জ্বলত টিমটিমে হারিকেন, নয়তো কেরোসিনের বাতি। বিয়েশাদিতে ভাড়া নেওয়া হতো এই হ্যাজাক বাতি আর মাইক। রাতের বেলা হ্যাজাকের আলো আর মাইকে উচ্চস্বরে গান শুনে চেনা যেত বিয়েবাড়ি। মাইকে সারা দিন–সারা রাত ধরে গান চলত অবিরাম, ‘বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে...’ নয়তো ‘ওরে ও সিঙ্গাপুরী মেম, তুমি করবা নাকি প্রেম...’ ধরনের সব গান। শব্দদূষণের কোনো বালাই ছিল না।
সারা বাড়িতে বাবা, চাচা, ফুফু, ফুফা আর সবার আন্ডাবাচ্চা মিলে গোটা নব্বইখানা পেট। নব্বইখানা পেটে তিনবেলা খাবার জোটানো চাট্টিখানি কথা নয়। মা, চাচি, ফুফুরা মিলে তাই গুন গুন করে সন্ধ্যা মুখার্জি কি লতা মুঙ্গেশকরের গান গাইতে গাইতে পেঁয়াজ কাটতেন, আদা–মরিচ বাটতেন আর রান্নাবান্না করতেন। সে এক এলাহি কারবার বটে! সবাই মিলেঝিলে ঘরদোরের কাজকম্ম করতেন। বাবা–চাচারা সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে বৈঠকঘরে বসে চা–নাশতা খেতে খেতে রেডিওতে শুনতেন দেশ–বিদেশের খবর।
সর্বদাই বিরাজ করত উৎসবমুখর পরিবেশ।
সেসবের কোনো কিছুই এখন আর নেই। কিন্তু জন্মস্থান যে ঘরখানা, তার চিহ্ন এখনো আছে।
এই জন্মভূমির মাটি বাদে এখন আর সবকিছুই অচেনা। সবকিছুই অতিমাত্রায় বদলে গেছে। চারদিকে টিনের চালার ঘরের বদলে দালানকোঠা। পুকুরের জল এখনো আছে, তবে ঝাঁপ দিয়ে কেউ আর স্নান করতে নামে না ওতে। ঘরে ঘরে হয়েছে বাথরুম আর শাওয়ার। জমানা বদলে গেছে। গোল্লাছুট, হাডুডু আর কানামাছির বদলে এখনকার আন্ডাবাচ্চারা আইপ্যাড আর মুঠোফোনে ভার্চ্যুয়াল গেম খেলে। টিকটক দেখে।
ছোটবেলায় আম, জাম আর কাঁঠাল, নারকেলগাছেই থাকতুম বেশির ভাগ সময়। দুটো আম, একগাদা লিচু পেড়ে খেয়ে নিলেই স্ন্যাকস হয়ে যেত। আর এখনকার আন্ডাবাচ্চারা খায় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর চিপস!
সুতরাং এখনকার এই বঙ্গদেশ আমার জন্মভূমি নয়। আমার জন্মভূমি যে ছিল, সে এখন এক কল্পলোকের রূপকথার রাজ্য!
বরং অধমের বর্তমান বসতি অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্ট মানে স্বর্ণদ্বীপে খুঁজে পাই ছোটবেলার ছায়াসুনিবিড়, শান্তির নীড় জন্মভূমির ছায়া; কিঞ্চিৎ হলেও।
মাঝখানে প্রায় ১৫ বছর দুবাইয়ের মরুভূমিতে থেকে থেকে চোখ হয়ে গিয়েছিল শ্যামকানা। সবুজ দেখতে পেতুম না। চারদিকে ধূসর বালু আর বালু, আর আছে আকাশচুম্বী দালানকোঠা। আকাশটাও নীল নয়, ধূসর। তাই দুবাই থেকে যখন গোল্ড কোস্টে যেতুম, চারদিকে বনজঙ্গল, গাছপালা, সুনীল আকাশ দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতুম। এ যেন হাইডেফিনেশন ফটো। শ্যামকানা চোখে সবুজ আর নীল বড্ড লাগত!
সবাই শুধু সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্যের গল্প করে। বেমালুম ভুলে যায় গোল্ড কোস্টকে! এ যে সুইজারল্যান্ডের চেয়ে কম কিছু নয়। বরং সুনীল সাগর আর পর্বতমালা মিলে সুইজারল্যান্ড থেকে বাড়া। আটলান্টিক সমুদ্রের সৈকতের পাড়ে ছোট্ট শহর। শহরের বুক চিরে ছোট–বড় খাল–বিল, হ্রদ আর নদী–নালা, তার পাশে ছোট ছোট বাড়িঘর। আরও আছে শয়ে শয়ে ছোটবড় দ্বীপ। এর মধ্যে অনেক দ্বীপে আবার কোনো জনবসতিই নেই।
মাত্র পঞ্চাশ বছর আগেও গোল্ড কোস্ট বলে কিছু ছিল না। ব্রিসবেনের ধনী লোকজনেরা শখ করে দু–চারটে বাড়ি করে রেখেছিল সমুদ্রের পাড়ে। নাম দিয়েছিল সাউথ কোস্ট। মাঝেমধ্যে ছুটির দিনে প্রমোদ ভ্রমণে মানুষজন আসত এদিকে। এ–ই ছিল গোল্ড কোস্ট। পঞ্চাশ বছরে সেই সাউথ কোস্ট বেড়ে বেড়ে এখন জনসংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। তারপরও ছিমছাম, ছবির মতো সুন্দর। শহরের ঝইঝঞ্ঝাট তেমন একটা নেই।
আসলে খোদ অস্ট্রেলিয়াই এক নবীন দেশ। বয়স খুব বেশি নয়। এই ১৭ শতকেও বাকি বিশ্বের কাছে অস্ট্রেলিয়া ছিল এক কাল্পনিক মহাদেশ। তখনকার মানচিত্রেও এই দেশের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। ঔপনিবেশিক যুগেও বাটাভিয়া আর মালাক্কা থেকে এত দূরে এসে বসতি গড়ার কথা তৎকালীন ঔপনিবেশিক প্রভু ডাচ, পর্তুগিজ, ফরাসি বা ব্রিটিশদের মাথায় আসেনি। তাই ‘টেরা অস্ট্রালিস’ মানে দক্ষিণ ভূমি এক কাল্পনিক ভূমিই রয়ে গিয়েছিল।
হাজার বছরের বঙ্গসভ্যতা আর সংস্কৃতির তুলনায় সে নস্যি!
এর মধ্যে শুধু ডাচ নাবিকেরা একবার দয়া করে পদধূলি দিয়েছিলেন টেরা অস্ট্রালিসে। চারদিক দেখেশুনে, বুঝে এই গহিন জঙ্গল আর গণ্ডগ্রামকে বসতি গড়ার যোগ্য মনে করেননি তাঁরা। তাই টেরা অস্ট্রালিসের নতুন নাম ‘নিউ হল্যান্ড’ দিয়েই পগার পার। ডাচরা তখন এদিকে বসতি গড়লে অস্ট্রেলিয়ার নাম হয়তো অস্ট্রেলিয়া হতো না। আমরাও হয়তো ইংরেজির বদলে বিদ্ঘুটে ডাচ বলতুম। ভাগ্যিস, এদিকে আর পা মাড়ায়নি ডাচরা। এর মধ্যে পর্তুগিজরাও এসেছিল একবার। কিন্তু ভারতবর্ষ, মালাক্কা আর বাটাভিয়ার আকর্ষণে এই গণ্ডগ্রামের দিকে আর নজর দেননি পর্তুগিজ দস্যুরাও।
এরপর প্রায় ২০০ বছর এই অবহেলিত রাজ্যে আর কেউ আসেনি। এই ১৭৭০ সালে ব্রিটিশরা একবার এসেছিল শুধু। তারাও এই বনবাসে বসতি গড়তে চায়নি। এসেছে যখন, একখানা নাম তো দেওয়া দরকার। তাই ইংল্যান্ডের শহর ওয়েলসের নামানুসারে ‘নিউ সাউথ ওয়েলস’ নাম দিয়ে সারা অস্ট্রেলিয়াকে ধন্য করে ‘ফি সাবিলিল্লাহ’ বলে রওনা দিলেন ব্রিটেনের পথে।
কিন্তু ১৭৮৭ সালে হঠাৎ দাম বাড়ল অস্ট্রেলিয়ার। আমেরিকা স্বাধীন হয়ে গেল। বিশাল এই আমেরিকান উপনিবেশ হারাল ব্রিটিশ রাজ। তাই ধনের গোলায় টান পড়ল ব্রিটিশরাজের। খোঁজ পড়ল নতুন উপনিবেশের। অগতির গতি তাই এই টেরা অস্ট্রালিস ওরফে নিউ হল্যান্ড ওরফে অধুনা অস্ট্রেলিয়া।
কিন্তু এই সুদূর গণ্ডগ্রামে কে আসবে মরতে? ব্রিটিশরাজ তাই বুদ্ধি করে একগাদা জেল খাটা কয়েদি জড়ো করে তুলে দিল জাহাজে। সঙ্গে পাঠাল ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী থেকে বাপে খেদানো মায়ে তাড়ানো কয়েক ব্যাটেলিয়ান সেপাই। কয়েদিদেরও পোয়া বারো। জেলের বদলে এত বড় মহাদেশ!
মন্দ কী?
১৭৮৭ সালেই তাই সাকুল্যে এগারোখানা জাহাজ বেরুল দক্ষিণমুখে। অস্ট্রেলিয়ার পানে।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাস কিন্তু এখানে শুরু নয়।
বরং সেই এগারোখানা জাহাজ ছিল আদি অস্ট্রেলিয়ার মৃত্যুদূত। অস্ট্রেলিয়ার আদি ইতিহাস আরও ষাট হাজার বছর পুরোনো। বর্তমান ইন্দোনেশিয়া কি আন্দামান থেকে ছোট নৌকা করে মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আদিবাসীরা এসেছিল এখানে। বাকি দুনিয়া থেকে এত দূরে বলে এই আদি অস্ট্রেলীয়রা আসার পর এখানেই ছড়িয়ে–ছিটিয়ে গিয়েছিল। আর ফিরে যাওয়ার চিন্তাও করেনি।
সেই থেকে শুরু। হাজার হাজার বছর ধরে গোত্রে গোত্রে বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা মহাদেশে। এ–ই করে করে প্রায় ৫০০ আদিবাসী গোত্র মিলে হলো আজকের অস্ট্রেলিয়া। ৫০০ গোত্রের ৫০০ ভাষা। ৫০০ ধরনের আদিবাসী সংস্কৃতি।
তবে ব্রিটিশরা তার থোড়াই কেয়ার করেছিল।
ব্রিটিশদের কাছে আদিবাসী মানেই আদিবাসী! পশুর সমান, ঊনমানব।
সেই ১৯৬২ পর্যন্ত এদের অস্ট্রেলীয় নাগরিক হিসেবে স্বীকার করত না অস্ট্রেলিয়ার সরকার বাহাদুর। ভোটাধিকারও ছিল না। সেই ১৭৮৭ সালে প্রায় ১০ লাখ আদিবাসী ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। মহামারি, রোগ, শোক আর ব্রিটিশদের মারকাটে মাত্র লক্ষাধিক টিকে ছিল উনিশ শতকের শুরুতে। আর এখন আছে সাকুল্যে আট লাখ।
আদিবাসীদের সেই বঞ্চনার ইতিহাস পরবর্তী পর্বে লিখব।
তবে এখন আমরা অস্ট্রেলীয়াবাসী সেই অতীত পাপের বোঝা টেনে চলেছি। এখন পালা–পার্বণে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাবগম্ভীর স্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করি অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের, অস্ট্রেলিয়ার আদি মালিকদের প্রতি। সরকারও চেষ্টা করে আদিবাসীদের নানাবিধ সুযোগ–সুবিধা দিতে।
মনে হতে পারে, এ তো গরু মেরে জুতা দানের মতো ব্যাপার।
কিন্তু তা–ই বা কম কী?
আদিবাসীদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আর সম্মান দেখানো খারাপ কিছু নয়। এই তো সেই আশির দশকেও এই অস্ট্রেলিয়ায় বর্ণবাদ ছিল ভালোমতোই। হোয়াইট অস্ট্রেলিয়া (White Australia) মানে শ্বেতাঙ্গ অস্ট্রেলিয়া নীতি থেকে আমরা মাল্টিকালচার হয়েছি, তা–ও পঞ্চাশ বছর হয়নি।
এখন জমানা বদলেছে। ভারতের ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ব্রিটিশদের। কমলা হ্যারিস আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। দুনিয়ার বড় বড় টেক কোম্পানি তো চালাচ্ছে ভারতীয়রাই। তাই সাদা–কালো, উঁচু–নিচু, এশিয়ান–ককেশিয়ান...এসব বিভেদ মিলিয়ে যাচ্ছে; ধীরে ধীরে।
সময় তো লাগবেই, হাজার বছরের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এই বিভেদ, সময় লাগাটাই স্বাভাবিক। চলবে...
*আগামীকাল পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার গল্প: ২—অস্ট্রেলিয়ার বর্ণবাদ আর বঙ্গদেশীয় বর্ণবাদ