অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপুল সাফল্য

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি চিত্তাকর্ষক জিডিপি বা মোট পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার উপহার দিয়েছে এ সরকার। কোভিড-১৯ মহামারির পূর্ববর্তী চার বছর, (২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে)  দেশ ধারাবাহিকভাবে উচ্চ জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে। বার্ষিক গড় ছিল ৭.৪ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা পৌঁছায় ৮.২ শতাংশে। বৈশ্বিক মহামারি শুরু হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৪ শতাংশে নেমে আসে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পরিস্থিতি ছিল আরও খারাপ।  

যাহোক, কোভিড-১৯–এর আন্তর্জাতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের আর্থিক নীতি ও উদ্দীপনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে ফিরে আসে। আর মহামারি–পরবর্তী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৭.২৫ শতাংশ। শিল্প ও পরিষেবা খাতে সরকারে ব্যাপক সহায়তার কারণেই এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে।

মার্কিন ডলার
ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল সূচকগুলোতে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হবে আওয়ামী লীগের সাফল্য। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংকের মান অনুযায়ী নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানি প্রশাসন ও সেনাবাহিনী দেশটিকে দেউলিয়া ফেলার পরও মাত্র ৫২ বছরে এ সাফল্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। গত ১৪ বছরে দেশের গড় জিডিপি ছিল ৬.৭ শতাংশ। এশিয়ার অন্যান্য দেশের কাছে এটা ছিল অলিক কল্পনার বিষয়। ইউরোপীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক স্পেক্টেটর ইনডেক্সের মতে বাংলাদেশ ১৮৮ শতাংশ জিডিপি অর্জন করতে পেরেছে। কোভিডের আগের ১০ বছরে প্রবৃদ্ধির হারে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ।  

কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও বাংলাদেশ ৩.৪৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। এ সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশই ছিল নেতিবাচক প্রবদ্ধির শিকার। অল্প সময়ের মধ্যেই, কোভিড-১৯ মহামারি–পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতি উচ্চ প্রবৃদ্ধির সঠিক গতিপথে ফিরে আসে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬.৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ৭.১০ শতাংশে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এটি ছিল ৬.০৩ শতাংশ।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের জিডিপি ছিল মাত্র ৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে তা ১০০ বিলিয়নে উন্নিত হয়। জিডিপির আকার অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ছিল ৬০তম বৃহত্তম অর্থনীতি। এটি এখন বিশ্বের ৩৫ তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৪ তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।  ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক, ‘সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনই মন্তব্য করা হয়েছে। তৈরি পণ্যের রপ্তানী বৃদ্ধির স্বার্থে রপ্তানী অনুপাতে ঋণ বজায় রাখার সরকারী নীতি এই সাফল্যের মূল কারণ।

২০০৭ সালে দেশে মোট কর্মসংস্থান ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ। গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকার ২ কোটি ৩৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালের শেষে মোট কর্মসংস্থান ৭ কোটি ১১ লাখে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মহামারির সময়কার ছাঁটাই ধরেও বেকারত্বের হার ২০১০ সালের ৪.৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে।  কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার ২০১৬ সালের ৩৬ শতাংশ ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২.৭ শতাংশ। যেকোনও দেশের সাফল্যের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমশক্তি গুরুত্বপূর্ণ। দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের গৃহীত নীতিই বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান স্থপতি।  

পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

মাথাপিছু আয় ২০০৭-০৮-এর ৬৮৬ মার্কিন ডলার থেকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। গোটা দুনিয়ার গড় আয় বৃদ্ধির ১৪ শতাংশ অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশের তুলনায় ২০২২ সালে ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশ। অতি-দারিদ্র্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। অতি দারিদ্রতা কমেছে তিন-চতুর্থাংশ।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট। ২০০৯-১০ সালে উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ‘প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ’- কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের শতভাগ জনসংখ্যাকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে জ্বালানিনিরাপত্তা একান্ত প্রয়োজন। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং সৌর ও বায়ুর মতো বিকল্প শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাফল্য রয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ নির্মাণে বাংলাদেশ রাশিয়ান ফেডারেশনের স্টেট নিউক্লিয়ার এনার্জি করপোরেশন রোসাটমের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্পূর্ণরূপে চালু হলে, বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনকারী দেশগুলোর অভিজাত ক্লাবে যোগ দেবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট ক্ষমতা ২৪০০ মেগাওয়াট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসডিজি

সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি

অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী এবং অনুরূপ দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় সাফল্য বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অগ্রগতি পুরস্কার পেয়েছেন। আনুমানিক ১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ।

গণতান্ত্রিক দেশটি দ্রুত অর্থনৈতিক রূপান্তরের হাত ধরেই ‘এশিয়ান টাইগার’ হয়ে উঠেছে। স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রে সরকারের নীতির রূপান্তর শুধুমাত্র আঞ্চলিক স্তরেই নয়, গোটা দুনিয়াতেই প্রচুর প্রশংসা ও স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। বহু-জাতিগত গণতান্ত্রিক পরিবেশই এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এই পরিবেশটাকেই ধরে রাখতে হবে। জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ এবং বিমসটেকসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক এবং বহুজাতিক ফোরামে সক্রিয় অংশগ্রহণ বর্তমান সরকারের বড় সাফল্য।

জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার নিয়ে আমাদের ভূমিকার প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছে বহু দেশ। দেশের সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন গোটা দুনিয়ার কাছে সাফল্যের বড় উদাহরণ হয়ে ধরা দিয়েছে।

২০০৮ সালে বাংলাদেশে ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ছিল ৪১। ২০২১ সালে সেটা কমে দাঁড়ায় হাজারে ২২। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ২০০৫ সালে প্রতি হাজারে ৬৮ থেকে কমে ২০২১ সালে প্রতি হাজারে ২৮ হয়েছে।  চিকিৎসাগতভাবে প্রশিক্ষিত জন্ম পরিচারকের সংখ্যা ২০০৪ সালে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ৫৭ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এখন নিরাপদ পানি পাচ্ছেন দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ। নিকাশি ব্যবস্থা পৌঁছে গিয়েছে ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশের কাছে।  

দেশের সার্বিক উন্নয়ন আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশের হাত ধরে স্থিতিশীল বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ুও বেড়ে চলেছে। ২০০৮ সালের ৬৬ দশমিক ৮ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছর। ২০০৮ সালের সাক্ষরতার হার ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে হয়েছে ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রাথমিক শিক্ষায় তালিকাভুক্তির হার প্রায় ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।  কারিগরি শিক্ষার হার ২০১০ সালে মাত্র ১ শতাংশ থেকে বর্তমানে ১৭ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

ভিশন ২০২১

২০০৯ সালে সরকার গঠনের প্রাক্কালে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল  ‘ভিশন ২০২১’।  এর মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং সমতাভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে এবং স্থাপিত হয়েছে উন্নত সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য টেকসই ভিত্তি। সবার জন্য সুবিধার সুষম বণ্টনের ওপর জোর দিয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধির ভারসাম্য আনাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য।
সবার জন্য পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়াসে সফল বাংলাদেশ।

জলবায়ু-সহনশীল অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার ওপরও যত্নশীল সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোর উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে  যোগাযোগব্যবস্থায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল খুবই জরুরি। তাই যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটিয়ে, ঢাকা মহানগর থেকে চাপ কমিয়ে সাব-স্মার্ট টাউন তৈরি করার প্রয়াস হাতে নিয়েছে সরকার। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির নতুন নতুন সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামোতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং স্বল্পদক্ষ উত্পাদনকে একটি আধা-দক্ষ পরিবেশে উন্নতি করারও চেষ্টা চালাচ্ছে বর্তমান সরকার।

তাই ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ দেখতে পাব। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি প্রধান স্তম্ভ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট অর্থনীতির ভিত্তিতেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। ৩ শতাংশেরও কম মানুষ থাকবে দারিদ্র্যসীমার নিচে এবং চরম দারিদ্র্যে কেউ থাকবে না। মূল্যস্ফীতি সীমাবদ্ধ থাকবে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে; বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে; রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ২০ শতাংশের ওপরে হবে; বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ।

আইএমএফ অনুসারে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ২ হাজার ৬৮৮ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, পাকিস্তানের ছিল ১ হাজার ৪৭০, শ্রীলঙ্কার ৩ হাজার ৪৭৪, নেপাল ২ হাজার ৩৮৯, মিয়ানমার ১ হাজার ৯৬ এবং ভারতের ২ হাজার ৩৮৯ মার্কিন ডলার।

যাহোক, মাথায় রাখতে হবে বাংলাদেশ এখনো অর্থনৈতিক চাপ থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়। আন্তর্জাতিক বাজার দরের উর্ধ্বগতি, উচ্চ আমদানি মূল্যস্ফীতি এবং গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা আমাদের অর্থনীতিকেও চিন্তিত রাখছে। মধ্য এশিয়ার আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং মধ্যপ্রাচ্যে বহু পুরনো সংঘাতের ফল বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ বিদেশি রেমিটেন্সের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। তাই, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে মন্দাভাব দেশের জিডিপিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

এই সময়ে তাই আরও বেশি করে প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো দক্ষ ও সাহসী নেতৃত্বের।

তিনিই পারেন তলাবিহীন ঝুড়িকে অর্থনীতিবিদদের ভাষায় দুর্দান্ত পারফরমারে রূপান্তরিত করতে।

সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে, বর্তমান সরকারের আমলে প্রচুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই উন্নয়নমুখী ও স্থিতিশীল সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ আজ শুধু এশিয়াতেই নয়, গোটা দুনিয়ার কাছেই অর্থনৈতিক টাইগার।

  • প্রিয়জিৎ দেবসরকার : লেখক ও গবেষক