ম্যানিলায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্‌যাপিত

ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে সেদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি সদস্যসহ দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেনছবি: সংগৃহীত

ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ’ প্রদান স্মরণে দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয়ের প্রধান সায়মা রাজ্জাকীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে পবিত্র গ্রন্থগুলো থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন ফিলিপাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি সদস্যসহ দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অতঃপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়। এরপর দূতাবাসের উদ্যোগে ফিলিপিনো ভাষায় ডাবিং করা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। ঐতিহাসিক এই ভাষণের প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু, তাৎপর্য ও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিশ্লেষণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ একটি অনন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিন জাতির পিতার ভাষণটি ছিল মূলত বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের শপথ এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা। কালোত্তীর্ণ এই ভাষণ সেদিন মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল, পথ দেখিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করার।’ তিনি উপস্থিত সবাইকে এই কালজয়ী ভাষণ থেকে দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা নেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।