নিউইয়র্কে লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি কাজী হাসান

সহকর্মীদের সঙ্গে কারেকশন অফিসার কাজী হাসান
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন গোপালগঞ্জের সন্তান নিউইয়র্ক কারেকশন অফিসার কাজী হাসান। গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কুইন্সের ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ম্যারিনা ব্যাংকোয়েট হলে অ্যাসোসিয়েশন অব আফ্রিকান ন্যাশনস ইন কারেকশনের (এএএনসি-ইনক) বার্ষিক নৈশভোজ ও আ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠানে তিনি এ অ্যাওয়ার্ড পান। কোভিড-১৯-এর সময় বাংলাদেশি কমিউনিটির সেবায় নের্তৃত্বে ভূমিকা রাখায় তাঁকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

এএএনসির পক্ষ থেকে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ডেপুটি ওয়ারেন মারাজ। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি এডেনিয়া এডেসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক কারেকশন বিভাগের কমিশনার লুইস এ মলিনা। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাসহ পাঁচ শতাধিক কারেকশন অফিসার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কাজী হাসানের অনন্য কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানান বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটির (বিসিএস) বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব সুমন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর খান, উপদেষ্টা ইকবাল সাইফুদ্দিনসহ বিসিএসএর অন্য সদস্যরা।

বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটির (বিসিএস) উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কারেকশন অফিসার ইকবাল সাইফুদ্দীন জানান, অফিসার কাজী হাসান গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তারাইল গ্রামের কাজী ইদ্রিস হোসেন ও আরজু বেগমের জ্যেষ্ঠ পুত্র। ছয় বছর ধরে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে নিউইয়র্ক কারেকশন অফিসার হিসেবে কাজ করে আসছেন এবং এর আগে নিউইয়র্ক সিটি ডিপামের্ন্ট অব হোমলেস সার্ভিসেসে (ডিএইচএস) পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে কারেকশন বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশি অফিসারদের নিয়ে বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটি (বিসিএস) গড়ে তোলেন।

কাজী হাসানের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন এএএনসির প্রতিষ্ঠাতা ডেপুটি ওয়ারেন মারাজ
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দুই শতাধিক সদস্যের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রচার করা, সদস্যদের বিভাগের নীতি ও নিয়ম সম্পর্কে অবগত করা এবং আরও বাংলাদেশি অফিসার নিয়োগে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে কাজী হাসান বলেন, ‘কোভিডের সময় আমার নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশি অফিসার এবং তাঁদের পরিবার ও কমিউনিটিকে সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য এ বিরল সম্মাননা পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। কমিউনিটির সেবা করা শুধু দায়িত্ব নয়, এটি একটি অনন্য সুযোগ যা সহানুভূতি, ধৈর্যশক্তি এবং সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে আজকের এই অনন্য সম্মান অর্জন করেছি। আমি মেয়র এরিক অ্যাডামসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতি তাঁর অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য।’