গাজায় ইসরাইলি হামলায় ওআইসির বৈঠকে বাংলাদেশের নিন্দা প্রকাশ

ওআইসির সভা
ছবি: দূতাবাসের সৌজন্য

সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ও পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের অব্যাহত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসির নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এ নিন্দা প্রকাশ করেছে ওআইসিতে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মো. আবুল হাসান মৃধা। বৈঠকে পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে শান্তিপ্রিয় মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলের বাহিনীর হামলায় বাংলাদেশ নিন্দা প্রকাশ করে এবং ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাইবোনদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।

মো. আবুল হাসান মৃধা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা মৌলিক নাগরিক নিয়ম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, ধর্মের স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ধরে রাখতে হবে এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।

ওআইসির সভায় বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি
ছবি: দূতাবাসের সৌজন্য

মো. আবুল হাসান মৃধা আরও বলেন, ‘আমরা সহিংসতা শান্ত করার জন্য চলতি বছরের শুরুতে জর্ডানের নেতৃত্বে সংলাপের প্রশংসা করি। তবে ইসরায়েল সেই প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করেছে। বাংলাদেশ ওআইসিকে জাতিসংঘসহ যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানায়। মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে আসুন আমরা একসঙ্গে শক্ত হয়ে দাঁড়াই এবং মানবতার উন্নতির জন্য কাজ করি এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করি।’ ওআইসির উপস্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘রাজধানী হিসেবে ১৯৬৭ সালের পূর্ব জেরুজালেমের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন স্বদেশ এবং একটি সার্বভৌম ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ফিলিস্তিনের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার উপলব্ধি করার জন্য বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন ওআইসিতে সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি সালেহ সুহাইবান। সভায় ওআইসির মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা ও বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি