ফ্রান্সে বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবর দান
ফ্রান্সের বাংলাদেশি বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ নভেম্বর প্যারিসের অদূরে সেন্ট ডেনিশের সাল লে নক্টিস মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে বুদ্ধগয়া প্রজ্ঞাবিহার ধ্যানকেন্দ্র। রাজধানী প্যারিস ও এর আশপাশের শহরে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তাঁদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসব পালন করেন।
দানোত্তম কঠিন চীবর দান উপলক্ষে ভোরে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে শীলগ্রহণ, বুদ্ধপূজা, সংঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, কল্পতরু দান, ধর্মীয় শোভাযাত্রা, সবশেষ বহু আকাঙ্ক্ষিত কঠিন চীবর দানসহ নানা আয়োজনে সমৃদ্ধ ছিল। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী হয়।
সকালে অষ্টপরিষ্কারসহ সংঘদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যাভারতী বরসম্বোধি মহাথেরো। দেশনা করেন ভদন্ত বিজয়ানন্দ মহাথেরো, ভদন্ত শাক্যবংশ থেরো, ইউরোপিয়ান বুড্ডিস্ট সেন্টারের অধ্যক্ষ ভদন্ত চন্দ্রজ্যোতি থেরো প্রমুখ। সত্যজিৎ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন উত্তম বড়ুয়া।
বিকেলে শুভ কঠিন চীবর দান সভা বুদ্ধগয়া প্রজ্ঞাবিহারের পরিচালক ভদন্ত কল্যাণ রত্ন ভিক্ষুর উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া দানসভায় বিদ্যাভারতী বরসম্বোধি মহাথেরো সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন ভদন্ত শাসন রক্ষিত মহাথেরো। প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোগলটুলি শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার ও প্রজ্ঞাজ্যোতি ধ্যানকেন্দ্রের পরিচালক ধর্মদূত ভদন্ত তিলোকাবংশ মহাথেরো। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত মুদিতারত্ন থেরো। অন্যদের মধ্যে ভদন্ত বিজয়ানন্দ থেরো, ভদন্ত চন্দ্রজ্যোতি থেরো, ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় থেরো, ভদন্ত বুদ্ধশ্রী থেরো, ভদন্ত চিত্তধর্ম থেরো, ভদন্ত প্রিয়রত্ন থেরো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলাচরণ করেন ভদন্ত আনন্দ ভিক্ষু।
সুমন বড়ুয়া ও দীপান্বিতা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন চন্দন বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠান উদ্যাপনী পরিষদের সভাপতি দেবদাস বড়ুয়া। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অনুষ্ঠান উদ্যাপনী পরিষদের অর্থ সম্পাদক কানন বড়ুয়া। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন চয়ন বড়ুয়া ও সহশিল্পীরা।
পরে সঞ্জয় বড়ুয়ার সঞ্চালনায় ও চয়ন বড়ুয়ার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে প্যারিসের স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।