ভ্রমণে শার্ম এল শেখ

‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

মিসরের শার্ম এল শেখ দেখতে আসেন নানা বিশ্বের মানুষছবি: লেখকের পাঠানো

নভেম্বরের অন্ধকার নর্ডিক দেশগুলোর মানুষের মনে একধরনের হতাশার ছবি আঁকে। প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস, তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়া কিংবা আবার বাড়ার অস্থিরতার ফলে তুষারপাতের বদলে হয় বৃষ্টি, সব মিলিয়ে সময়টা বিষণ্নতার দিকে ঠেলে দেয়। এমন সময় পৃথিবীতে খুব কম দেশই খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে তাপমাত্রা এখনো ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে থাকে, বিশেষ করে আমাদের মতো যারা সুইডেনে বসবাস করি, তাদের কাছে এটি যেন এক স্বপ্নময় আশ্রয়।

স্বাভাবিকভাবেই ছুটির দিনগুলো কাটাতে চাই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে। তাই বেছে নিতে হয় কোথায় যাব, কীভাবে যাব, আগে সেখানে যাওয়া হয়েছে কি না। যদি প্রথম ভ্রমণ হয়, তবে উচ্ছ্বাস আর জল্পনা কল্পনার ভেতর দিয়েই কেটে যায় প্রস্তুতি। খাবারের স্বাদ কেমন হবে, পরিবেশ আরামদায়ক কি না, ভিসার ঝামেলা আছে কি না, সেই দেশের মানুষের নৈতিক ও রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ কেমন, দুর্নীতি বা নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন, এসবই টু ডু লিস্টের অংশ হয়ে ওঠে। তারপর আসে পারিবারিক সিদ্ধান্ত।

এবারের ছুটিতে আমরা বেছে নিয়েছি রেড সির নীল লবণাক্ত জলের তীরের ‘পিক্যালব্যাটরোস গলফ বিচ অ্যান্ড রিসোর্ট, শার্ম এল শেখ, মিসর’।

মিসরের শার্ম এল শেখ দেখতে এশিয়ার মানচিত্রে হলেও দেশটি আফ্রিকার অন্তর্ভুক্ত। এই ভৌগোলিক বৈপরীত্য যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি আকর্ষণীয় এখানকার আবহাওয়া। সারা বছরই উষ্ণ রোদ আর শান্ত সমুদ্রের জন্য পর্যটকদের ভিড় জমে। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সাধারণ মানুষের জন্য বিশ্বভ্রমণ সীমিত হয়ে পড়ায় তারা তুরস্ক ও মিসরের দিকে ঝুঁকছে। মজার বিষয় হলো ইউক্রেন থেকেও পর্যটকদের উল্লেখযোগ্য ভিড় রয়েছে এখানে। এই দৃশ্য দেখে মনে হলো, পৃথিবীর প্রকৃত দেশপ্রেমীরা সাধারণ মানুষ। দেশের জন্য যুদ্ধ করে জীবন দেয় তারাই। ধনী ও ক্ষমতাবানেরা যুদ্ধের প্রথম ধাক্কায় দেশ ছেড়ে পাশের দেশে আশ্রয় নেয়, পরে শান্তি ফিরলে আবার দেশে ফিরে শাসন ও শোষণের চাকা ঘোরায়।

যাহোক, এই গভীর রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে দূরে আমরা এসেছি বিশ্রাম নিতে। তাই আমাদের ছুটি আলোতেই মন ভরে উঠুক। শার্ম এল শেখের নীল সমুদ্র, উষ্ণ বাতাস আর অনাবিল শান্তি নিয়েই চলুক আমাদের দিনের গল্প।

সমুদ্র আর মরুর মিলন যেখানে চোখে পড়ে, সেখানেই শার্ম এল শেখের আসল সৌন্দর্য। জায়গাটির রূপ শুধু ছবি বা বর্ণনায় ধরা যায় না। যেসব কথা শুনেছিলাম, সেগুলো আমাকে আগেই আকৃষ্ট করেছিল। মনে হয়েছিল এই শহর যেন ভ্রমণকারীদের জন্য সাজানো এক খোলা স্বর্গ। তাই ভাবলাম, দেখি তো সবাই যেসব জায়গার কথা বলে, সেগুলো কেমন।

সমুদ্র আর মরুর মিলন যেখানে চোখে পড়ে, সেখানেই শার্ম এল শেখের আসল সৌন্দর্য
ছবি: লেখকের পাঠানো

রাস মোহাম্মদ ন্যাশনাল পার্ক

প্রথমেই গেলাম রাস মোহাম্মদ ন্যাশনাল পার্কে, যাকে অনেকে শার্ম এল শেখের প্রাণ বলে। নীল স্বচ্ছ পানি আর রঙিন প্রবালদ্বীপ যেন প্রকৃতির হাতে আঁকা চিত্র। পানির নিচে তাকালে মনে হয় যেন অন্য গ্রহ। মাছগুলো রংধনুর মতো ঝলমল করে। কখনো কাছেই কচ্ছপ ভেসে ওঠে, দূরে ডলফিনও দেখা যায়। সকালে হোটেল থেকে নিয়ে গেল। তারপর সারা দিন সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো, কখনো বোটে, কখনো সাঁতারে, কখনো স্নরকেল, আবার কখনো বোটে পিকনিক এবং শেষে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগেই রেখে গেল হোটেলে।

বেশ ক্লান্ত লাগছিল, তবু ডিনার সেরে গেলাম নামা বে। এলাকাটি যেন শহরের হৃৎস্পন্দন। সমুদ্রের ধারে সোনালি আলো, দোকান, ক্যাফে আর মানুষের হাসি মিলেমিশে এমন এক উষ্ণ পরিবেশ তৈরি করল যে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়েছিল আরও অনেকক্ষণ। রাত যেন এখানে ঘুমায় না, কিন্তু আমরা হোটেলে এসে ঘুমিয়ে গেলাম।

মিসরের শার্ম এল শেখ দেখতে এশিয়ার মানচিত্রে হলেও দেশটি আফ্রিকার অন্তর্ভুক্ত
ছবি: লেখকের পাঠানো

সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়লাম তিরান আইল্যান্ডের উদ্দেশে।

তিরান আইল্যান্ডে যাওয়া মানেই আরেক পৃথিবী দেখা। নীল পানির ওপর ভাসমান নৌকা আর নিচে রঙিন সামুদ্রিক জীবন। স্নরকেল করে মনে হলো পানির নিচে একটি নীরব শহর, যেখানে সবকিছু শান্ত, ধীর আর সৌন্দর্যময়। আজ বেশ তাড়াতাড়ি হোটেলে ফিরেছি, সন্ধ্যার ডিনার হবে কিছু ব্রিটিশ বন্ধুদের সঙ্গে।

আজ শুক্রবার ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেলাম ওল্ড মার্কেটে। ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মসলার সুগন্ধি আর পুরোনো মিসরীয় বাজারের অনুভূতি জাগল। দোকানিদের হাসিমুখ আর আতিথেয়তা আমাদের নিয়ে গেল অন্য যুগে। এই ওল্ড মার্কেটের মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছে মহিমান্বিত আল সাহাবা মসজিদ। বিশাল গম্বুজ আর মিনারগুলো সন্ধ্যায় আরও মোহনীয় হয়ে ওঠে। সামনে দাঁড়িয়ে মনে হলো যেন সময় থেমে গেছে। আমরা এখানে কিছু সময় কাটিয়ে পরে বাইরের পরিবেশে ডিনার সেরে হোটেলে ফিরে এলাম। আসার পথে ভাবনার জগতে গিয়েছিলাম, মরুভূমির এক শহর থেকে অন্য শহরে অতীতে মানুষ কিনা পরিশ্রম করে আশা তৈরি করত। ভাবলাম, সুইডেনে ফেরার আগে একদিন বিকেলে মরুর সাফারি ভ্রমণ করব। যে কথা সেই কাজ—ধুলার ঝড়, কোয়াড বাইকের গর্জন, দূরে সোনালি পাহাড় আর আকাশের নরম আলো। সূর্য ঢলে পড়লে বেদুইনদের চা আর গান শুনতে শুনতে মনে হলো পৃথিবীর আর কোথাও এমন শান্তি নেই। রাতের তারাভরা আকাশ দেখে মনে হলো, হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে ফেলব। সময়টি সুন্দর ও অসাধারণ একটি অনুভূতিতে ভরপুর ছিল।

পরিবার নিয়ে যাঁরা আসেন, তাঁদের জন্য ডলফিনা পার্ক বিশেষ আনন্দের। ডলফিন শো, সাবমেরিন ট্যুর, প্যারাসেইলিং, কাচের নৌকা—সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ সমুদ্র বিনোদনের অভিজ্ঞতা।

আমার দেখা মিসর ২৪ বছর আগে ছিল, শুধু ইতিহাস, স্মৃতি, ছবি, মমি আর পিরামিড
ছবি: লেখকের পাঠানো

ছুটির দিনগুলো শেষ হতে চলেছে, দেখার নেই তো শেষ। মনে পড়ে গেল সাইনাই পাহাড়ের কথা। প্রায় তিন ঘণ্টার জার্নি, পরের দিন সকালে ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেলাম সেখানে।

মাউন্ট সাইনাই আধ্যাত্মিক উচ্চতা, ধর্মীয় গুরুত্ব ও ভ্রমণাভিজ্ঞতার কেন্দ্র

মাউন্ট সাইনাই বা জাবাল মুসা শার্ম এল শেখ থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার গাড়ি পথের দূরত্বে। কেবল একটি পাহাড় নয়, এটি আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় আবহের কেন্দ্র। ইসলাম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি ঐতিহ্যে এই পাহাড়কে পবিত্র বলা হয়। মুসলিম বিশ্বাসে নবী মুসা এখানে আল্লাহর নির্দেশ গ্রহণ করেছিলেন। বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী তিনি এখানে স্রষ্টার কাছ থেকে ১০টি আদেশ পেয়েছিলেন। তাই মাউন্ট সাইনাই কেবল ভূগোল নয়, এটি মানব ও স্রষ্টার মিলনের প্রতীক, আধ্যাত্মিক শিক্ষা, ধৈর্য ও বিশ্বাসের প্রতীক।

যখন পর্যটক সূর্যোদয়ের আগে চূড়ায় ওঠে, তখন পাহাড়ের নিস্তব্ধতা ও প্রাকৃতিক রঙিন খোলা আকাশ মনে করিয়ে দেয় ধৈর্য, বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক পথ কখনো সহজ নয়, কিন্তু তা হৃদয়কে আলোকিত করে। প্রথম রোদে পাহাড়ের শীর্ষে পড়া আলো যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় রূপক গল্পে বলা হয় সূর্যের আলো পাহাড়ের শীর্ষে এসে যেন একটি শক্তিশালী আলোর ঝিলিক তৈরি করে, যা বিশ্বাস ও আশীর্বাদের প্রতীক।

রূপক গল্পগুলো ভ্রমণকারীর কল্পনাকে আরও উজ্জ্বল করে। বলা হয়, পাহাড়ের ছায়া কখনো যেন কান্নাকাটি করছে, আর সেই গল্পে আশীর্বাদের প্রতীক হিসেবে স্থানীয় লোকজন ছায়ার কল্পনা মানবিকভাবে মেলিয়েছেন। যদিও এটি প্রামাণ্য ইতিহাসে নেই, তবু এই রূপক কাহিনি ভ্রমণকে মানবিক ও আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করে।

চূড়ায় দাঁড়িয়ে চারপাশের অসীম আকাশ, দূরের মরুভূমি ও সূর্যের প্রথম আলো ভ্রমণকারীর মনকে অন্যভাবে ছুঁয়ে দেয়। মনে হয়, পাহাড় বলছে যে ধৈর্য ও বিশ্বাস ধরে রাখো, দেখবে চোখের সামনে আলোর প্রতিফলন ঘটবে। এমন অনুভূতি শুধু দৃশ্য দেখায় না, বরং মনে করিয়ে দেয় প্রকৃতির আধ্যাত্মিকতা এবং অন্তর্দৃষ্টি একত্র করার ফলে জীবনের অর্থ আরও পরিষ্কার হয়। এভাবে মাউন্ট সাইনাই কেবল একটি দর্শনীয় স্থান নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক ও মানবিক অভিজ্ঞতা, যেখানে ভ্রমণকারীর মন, আত্মা ও কল্পনা একসঙ্গে আলোকিত হয়।

যাহোক, আমরা এবার উঠেছি এক বিশাল হোটেলে। সুইডেন থেকে জানতাম, ফাইভ স্টার প্লাস হোটেল এবং নানা ধরনের রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। তবে আমরা স্ট্যান্ডার্ড সুযোগ–সুবিধার আওতায় এসেছি। মজার ব্যাপার হলো শার্ম এল শেখ এয়ারপোর্টে হঠাৎই বহু বছর পর দেখা মেলে আমার এক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী বন্ধুর সঙ্গে। বন্ধু তার সহধর্মিণীকে নিয়ে এসেছে, থাকবে একেই হোটেলে। যাহোক, একসঙ্গে হোটেলের পথে আসতে আসতে অনেক কথা হলো, যেমন হোটেলের মালিক তার বন্ধু ইত্যাদি। বাকিটা ইতিহাস, তবে এতটুকুই বলি হোটেল ম্যানেজমেন্ট আমাদের যত্নের ত্রুটি করেনি। রিসোর্ট সম্পর্কে কিছু বলি।

‘পিক্যালব্যাটরোস’ এমন একটি রিসোর্ট গ্রুপ, যেখানে অতিথিকে সত্যিকারের যত্ন ও আরামের অনুভূতি দেওয়া হয়। পরিষ্কার রিসোর্ট এলাকা, বড় বড় পুল, নিজের সমুদ্রসৈকত, নরম সংগীত, হাসিখুশি কর্মচারী আর চমৎকার খাবার—সব মিলিয়ে প্রতিটি দিন যেন উৎসব। সকালে নাশতার সময় মানুষের হাসিমুখ, দুপুরে সমুদ্র বা পুলে ডুব দেওয়া আর রাতে রিসোর্টের শান্ত পরিবেশে ফিরে আসা এই ছন্দ এমনভাবে গড়ে ওঠে যে মনে হয় আরও কিছুদিন এখানেই থাকি।

একদিন সাগরের পাড়ে দুপুরের খাবার খেলাম। বিশাল বড় আম বাংলাদেশের রাজশাহীর মালদার চেয়ে সাইজে বড় এবং স্বাদে অসাধারণ মিষ্টি। গাছ থেকে পাড়া পাকা আম, রেড সির ধারে ভ্যানিলা আইসক্রিম দিয়ে খাওয়া ছিল একটি বিশেষ স্মৃতি।

এক রাত গিয়েছিলাম সো সো স্কোয়ারে। আধুনিক আর পরিবারবান্ধব পরিবেশ। সংগীতের ফোয়ারা, আন্তর্জাতিক খাবারের গন্ধ, মানুষের ভিড় আর আলোর খেলা—সব মিলিয়ে স্থানটি ছিল উৎসবের মতো। শিশুদের হাসি আর বড়দের আড্ডা মিলে, জায়গাটি জীবন্ত হয়ে ওঠে।

সমস্ত ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিড়ে একটি দৃশ্যই বারবার মনে ফিরে আসে
ছবি: লেখকের পাঠানো

আমার দেখা মিসর ২৪ বছর আগে ছিল, শুধু ইতিহাস, স্মৃতি, ছবি, মমি আর পিরামিড। ২০২৫ সালের নভেম্বরে মিসরের সমুদ্রসৈকতে প্রযুক্তির ছোঁয়া আর বৈশ্বিক বাস্তবতা দেখে অবাক হলাম। ট্যাক্সি ড্রাইভারের ফোন ইংরেজি শুনে আরবিতে উত্তর দেয়, আর সেই কথাই আবার অনুবাদ হয়ে আমাকে দেখানো হয়। যেন এক নেভার এন্ডিং আলোচনা। এটিই সেই গ্লোবালাইজেশন, যেখানে পরিচিতির শেষ নেই।

ভ্রমণ–অভিজ্ঞতার ভিড়ে একটি দৃশ্যই বারবার মনে ফিরে আসে—রেড সির স্বচ্ছ জলের নিচে রঙিন কোরাল আর হাজারো রঙের মাছের যে নীরব জগৎ দেখেছি, তা যেন হৃদয়ের ভেতরে এক জীবন্ত আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। কোরালের ওপর সূর্যের খেলা, মাছের ঝলমল রং আর তাদের শান্তভাবে ভেসে থাকা মুহূর্ত, যেমন তারা বিশ্রাম নেয়, কিছুটা সতর্ক থাকে কিন্তু নিস্তব্ধ—সব মিলে মনে হয় যেন এক নীরব উৎসব চলছে। পানির নিচে সেই নিস্তব্ধ, কিন্তু প্রাণবন্ত জগৎ দেখলে হৃদয় থমকে যায়, চোখ বন্ধ করলেও মনে হয় সেই জলরঙের নাচ এখনো স্পষ্ট। পৃথিবীর অন্যান্য সমুদ্র যত সুন্দরই হোক, এই রঙের খেলা, মাছের শান্ত ভেসে থাকা এবং স্বচ্ছতার এই বিস্ময় রেড সির কাছে কোনো তুলনা পাবে না। এই অভিজ্ঞতা শুধু স্মৃতি নয়, বরং জীবনের এক অমূল্য সম্পদ, যা হৃদয়ের কোণে চিরকাল বাঁচবে।

*লেখক: রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক