আমার ভ্যালেন্টাইন–২য় পর্ব

অলংকরণ: আরাফাত করিম

দীপান্বিতা বাবা-মাকে সালাম দিতেই মা তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর কপালে একটা চুমু এঁকে দিলেন।
দীপান্বিতা বাবাকে বলল,
-আঙ্কেল আপনি তো মাশাআল্লাহ অনেক ইয়ং।
এ কথা শুনে বাবার মুখে অহংকারযুক্ত একটা তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠল। উনি সলজ্জ ভঙ্গিতে বললেন,
-কী যে বলো মা।
-না না সত্যি বলছি। বিশ্বাস করেন, আপনাকে দেখে কেউ বলবে না যে আপনি কিসমত ভাইয়ের বাবা। আপনাকে দেখলে যে কেউ ভাববে আপনি কিসমত ভাইয়ের বড় ভাই।
-প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ মা। কিন্তু মা, এই কিসমতটা কে!
দীপান্বিতা আমার দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলল,
-কেন আপনার ছেলে।
-ওর নাম কিসমত! ও বলেছে ওর নাম কিসমত!
-জি তাই তো বলল।
-আচ্ছা, ওকি তোমাকে ওর বাবার নাম বলেছে?
-জি বলেছে। শুধু বাবা না, দাদার নামও বলেছে।
-কী বলেছে?
- বলেছে...
এ সময় আমি দীপান্বিতাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম,
-ছি ছি আপনি কী করছেন? আপনি মুরব্বিদের নাম মুখে নিচ্ছেন কেন? মুরব্বিরা সম্মানিত মানুষ, তাদের নাম মুখে নিতে হয় না। এটা চরম বেয়াদবি।
-মা তুমি এই বক ধার্মিকের কথা শুইনো না। তুমি বলো ও তোমাকে আমাদের নাম কী বলেছে?
-বলেছে, আপনার নাম হাসমত মিয়া। আর আপনার বাবার নাম কিসমত মিয়া।
বাবা এ পর্যায়ে কিছুক্ষণ আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। তারপর মাকে লক্ষ্য করে বললেন,
-এই যে হাসমতের বউ, কিসমতের মা। তুমি কি শিওর এটা আমাদের ছেলে? কত বড় বেয়াদব হলে মানুষ নিজের বাপদাদার নাম পরিবর্তন করে মানুষকে বলতে পারে। আরে যদি তোর বাবা-দাদার নাম পরিবর্তন করে বলতে তোর এতই শখ হয়, তো তুই শাহরুখ–সালমান বল। তাই বলে তুই হাসমত-কিসমত বলবি?
দীপান্বিতা অবাক হয়ে বলল,
-এগুলো আপনাদের নাম না!
-অবশ্যই না।
-বলেন কি! জানেন, উনি এসব নাম বলতে গিয়ে আরও কত আবেগমাখা কথা বলল। উনার কথা শুনে তো আমার চোখে পানিই এসে গিয়েছিল। আপনার বাবা নাকি সেই ছোটবেলায় মারা গিয়েছে। আপনি বাবার আদর পাননি। তাই বাবার অভাব ভোলার জন্য বাবার নামে ছেলের নাম রেখেছেন কিসমত মিয়া। যাতে ছেলেকে বাবা ডেকে, আপনি বাবা হারোনোর ব্যথা ভুলতে পারেন।

অলঙ্করণ: মাসুক হেলাল
-আপনি লিটনের ফ্ল্যাটে যাওয়ার মানে বোঝেন?
-না।
-গুগলে যেয়ে লিটনের ফ্ল্যাট লিখে সার্চ দেন। তাহলে বুঝবেন। গাধা একটা। পারে শুধু বাপের নামে মিথ্যা বলতে।
-এখন সার্চ দেব?

বাবা কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। মনে হলো তিনি অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছেন। তিনি মায়ের দিকে করুণভাবে তাকিয়ে নিচু স্বরে বললেন,
-হারামজাদা আমার বাবারেও মেরে ফেলছে।
দীপান্বিতা অবাক হয়ে বাবাকে বললেন,
-তার মানে আপনার বাবা বেঁচে আছেন?
এরপর দীপান্বিতা আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
-মাই গড আপনি তো দেখি চোখে-মুখে মিথ্যে কথা বলেন।
বাবা-দাদাকে নিয়ে এ ধরনের ফাজলামি কেউ করে?
দীপান্বিতার কথা শুনে মা দীপান্বিতাকে বলল,
-মা তুমি ওদের বাবা-ছেলের কাহিনি বুঝবা না। এরা দুজন দুজনের জন্য জান দিয়ে দিতে পারবে। আবার দুজন দুজনের পেছনে এমনভাবে লেগে থাকে, তোমার মনে হবে বউ–শাশুড়ি। হি হি হি...আমি এ দুজনকে নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। সারাক্ষণ আমাকে এদের ঝগড়া মেটাতে হয়। তোমারও বাকি জীবন এদের ঝগড়া মেটাতে মেটাতে চলে যাবে।
আমি মাকে মৃদু ধমক দিয়ে বললাম,
-মা, তুমি উনাকে এসব কী যা তা বলছ? উনি কেন সারা জীবন আমাদের ঝগড়া মেটাবেন?
-এটা কী বললি? ঘরের বউ কি ঘরের সমস্যায় চুপ করে বসে থাকবে?
-মা, তুমি ভুল করছ। তোমরা যা ভাবছ তা না। আরে উনার সঙ্গে আজই আমার মেট্রোরেলে প্রথম দেখা হলো। আর তোমরা কত কী ভেবে বসে আছ। কেন উনাকে তোমরা বিব্রত করছ?
মায়ের মুখটা হঠাৎ করে অন্ধকার হয়ে গেল। উনি দীপান্বিতাকে বললেন,
-মা সরি। তুমি কিছু মনে কোরো না। আসলে ওর সঙ্গে কখনো কোনো মেয়েকে দেখিনি তো। তাই তোমাকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম। প্লিজ কিছু মনে কোরো না।
বাবা দীপান্বিতাকে বললেন,
-মা, আমি কি পাঁচ মিনিট তোমার সঙ্গে কথা বলতে পারি? ও তো বলবে না। আমি তোমাকে আমার, আমার বাবার আর আমার ছেলের সঠিক নামটা বলতে চাই।
-অবশ্যই আঙ্কেল।
-আসো আমরা বাবা-মেয়ে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি আর বইমেলাটা ঘুরে দেখি।
আমি আর মা সামনে হাঁটছি। বাবা দীপান্বিতাকে নিয়ে আমাদের থেকে বেশ কিছুটা পেছনে হাঁটছেন। হাঁটতে হাঁটতে মা আমাকে বললেন,
-মেয়েটা অনেক কিউট না?
-হুঁ।
-মেয়েটাকে তোর খুব পছন্দ হয়েছে তাই না?
-মা, তুমি কিন্তু এখন আমাকে লজ্জায় ফেলছ।
-ইশ, এমন একটা মেয়ে যদি আমাদের ঘরে নিয়ে আসতে পারতাম।
-মা প্লিজ। একজন মানুষকে কেন বারবার বিব্রত করছ? মেয়েটা কী ভাববে বলো তো?
-কী ভাববে মানে? ওকি আমাদের মা–ছেলের কথা শুনছে?
-তা শুনছে না। তারপরও...
-আচ্ছা, মেয়েটাকে বিয়ের কথা বলে দেখি? বলা যায় না, রাজি হয়ে যেতেও তো পারে তাই না?
-মা তুমি থামবা? যদি বলতে হয় আমি বলব।
-সত্যি বলবি তো?
আমি মায়ের দিকে কপট রাগের ভঙ্গিতে তাকালাম। মা আমার অবস্থা দেখে হাসতে লাগলেন।

অলংকরণ: আরাফাত করিম

প্রায় ৪০ মিনিট বাবা দীপান্বিতার সঙ্গে বইমেলা ঘুরলেন আর কথা বললেন। কী কথা বললেন জানি না। তবে দুজনকেই অনেকবার হাসতে হাসতে ভেঙে পড়তে দেখলাম। বাবা দীপান্বিতাকে কয়েকটি বইও কিনে দিলেন। দুজনকে এক ফাঁকে দেখলাম হাওয়াই মিঠাই কিনে খাচ্ছে। আমরা যে সঙ্গে আছি, সে কথা মনে হলো দুজনেই ভুলে গেছেন। বাবাকে এতটা আনন্দিত অনেক দিন দেখিনি।

আমি মা–বাবার একমাত্র সন্তান। মায়ের কাছে শুনেছি, বাবা নাকি সব সময় চাইতেন তাঁর প্রথম সন্তান হবে মেয়ে। তিনি মেয়ের নামও ঠিক করে রেখেছিলেন। কিন্তু হলাম আমি। আমার জন্মে বাবা অখুশি হননি। তবে মেয়ে হলে যতটা খুশি হতেন ততটা হননি, এটা সত্য। মায়ের শারীরিক সমস্যার কারণে পরে আর মায়ের পক্ষে সন্তান ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ঘরের মধ্যে একটি পরি না থাকায় বাবার মনের কষ্টটা বাবা মুখ ফুটে না বললেও আমরা বুঝি। আমি আমার বাবাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। কেউ বিশ্বাস করবে কি না জানি না। আমি আমার মায়ের থেকেও বাবাকে বেশি ভালোবাসি। কিন্তু সেটা তাঁকে বুঝতে দিই না। বরং ইচ্ছে করেই বাবাকে আমি বেশি বেশি জ্বালাই। কেন জানি উনাকে জ্বালাতে আমার খুব ভালো লাগে।

কিছুক্ষণ আগে বাবা-মা বিদায় নিয়ে চলে গেছেন। যাওয়ার আগে বাবা বারবার বলে গেছেন, আমি যেন দীপান্বিতাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি। আর মা আমার কানে কানে বললেন,
-তুই যদি আমার ছেলে হয়ে থাকিস, তবে মেয়েটাকে অবশ্যই তোর ভালো লাগার কথা বলবি।
মায়ের কথা শুনে আমি মনে মনে হাসলাম।
আমি দীপান্বিতার সঙ্গে চুপচাপ হাঁটছি। কিছুক্ষণ পর দীপান্বিতা বলল,
-আপনার বাবাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
-শোনেন, আপনি উনার মিষ্টি মিষ্টি কথায় মজে যাইয়েন না। উনি মানুষ সুবিধার না।
-একেবারে খুন করে ফেলব। আপনার সমস্যা কী? যা মুখে আসে তাই বলবেন? বাবা-মা নিয়ে সব সময় ফান করবেন না? তাঁরা মুরব্বি। মুরব্বিদের সম্মান দিতে শিখুন।
-সরি।
-হি হি হি...আপনার সরি বলাটা তো খুব কিউট। একটা ছেলে এত কিউট করে সরি বলতে পারে, তা এই প্রথম দেখলাম। শুনুন কিসমত সাহেব, আমি আপনার প্রকৃত নাম এখন জানি। রাহুল আঙ্কেল আপনাদের সবার নামই আমাকে বলেছেন। তবে আমি আপনাকে কিসমত নামেই ডাকব। কারণ, নামটা আমার পছন্দ হয়েছে।
আমি অবাক হয়ে বললাম,
-এই রাহুল আঙ্কেলটা কে!
-কেন, আপনার বাবা।
-কী বললেন? উনি বলেছেন, উনার নাম রাহুল!
-হুঁ, তাই তো বললেন।
-চাপা। পুরা চাপা মারছে। আমার বাবা শাহরুখ খানের অন্ধ ভক্ত। ডিডিএলজে দেখার পর থেকেই সবার কাছে নিজেকে রাহুল হিসেবে প্রচার করেন। আসলে উনার নাম হচ্ছে...
দীপান্বিতা আমাকে থামিয়ে দিয়ে তার দুই হাত একত্র করে বলল,
-থাক মাপ চাই। আপনাদের পরিবারের কারও নাম আমার জানার আর ইচ্ছা নাই। এমন বাপ-ছেলে আমি আমার জীবনেও দেখিনি।

দীপান্বিতা বইমেলা থেকে আরও দুটি বই কিনল। একটি বই এর ভেতরে কিছু একটা লিখল। তারপর বইটি আমাকে দিয়ে বলল,
-নিন এটা আপনার জন্য আমার উপহার। অটোগ্রাফ দিয়ে দিয়েছি। বাসায় গিয়ে খুলে দেখবেন। হি হি হি...
আমি অনেক ইতস্তত করে দীপান্বিতাকে বললাম,
-আচ্ছা, একটা প্রশ্ন করব?
-করুন।
-আমি তো তেমন কাউকে পাইনি, তাই রিলেশনও করা হয়ে ওঠেনি। তা ছাড়া বলতে পারেন রিলেশনে যাওয়ার জন্য যে সাহস দরকার সেটাও আমার ছিল না। কিন্তু আপনি মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। যেকোনো ছেলে আপনাকে দেখলেই পটে যাবে। আপনার কোনো রিলেশন ছিল না?
-ছিল। জীবনে একটি রিলেশনই করেছিলাম। কিন্তু অল্প দিন পরেই ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে আমার মন থেকে তাকে বের করে দিয়েছি। হি হি হি...
-কেন?
-আরে সারাক্ষণ আমাকে লিটনের ফ্ল্যাটে নিতে চাইত। একেবারে কান ঝালাপালা করে ফেলছে।
-লিটনের ফ্ল্যাটে গেলে সমস্যা কী? বয়ফ্রেন্ড বেড়াতে নিতে চাইলে ব্রেকআপ করতে হবে নাকি?
দীপান্বিতা আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। আমি ভয় পেয়ে বললাম,
-এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
-আপনি লিটনের ফ্ল্যাটে যাওয়ার মানে বোঝেন?
-না।
-গুগলে যেয়ে লিটনের ফ্ল্যাট লিখে সার্চ দেন। তাহলে বুঝবেন। গাধা একটা। পারে শুধু বাপের নামে মিথ্যা বলতে।
-এখন সার্চ দেব?
-না, বাসায় গিয়ে দিয়েন।
-ঠিক আছে। তা এরপর আর কেউ জীবনে আসেনি?
-এসেছিল। তবে আমি প্রথমটার তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে শপথ নিয়েছি আর প্রেম করব না। করলে ডাইরেক্ট অ্যাকশন করব।
-মানে কী?
-ডাইরেক্ট বিয়ে। হি হি হি...কারও যদি আমার সঙ্গে প্রেম করার শখ থাকে তাহলে আগে আমারে বিয়ে কর, তারপর দেখবি প্রেম কত প্রকার ও কী কী।হি হি হি...

-বিয়ের জন্য আপনার কেমন ছেলে পছন্দ?
আমার প্রশ্ন শুনে দীপান্বিতা একটু থমকে দাঁড়াল। ডান দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তিন সেকেন্ড আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর বলল,
-আপনি নিশ্চিত থাকেন, মিথ্যুক এবং কিসমত নামের কোনো ছেলেকে আমি জীবনেও বিয়ে করব না।
আমি আর এ বিষয়ে কথা বলার সাহস পেলাম না।

দীপান্বিতাকে বাসায় পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কিছুতেই রাজি হলো না। আমাকে একপ্রকার জোর করেই
শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে নামিয়ে দিল। নামার মুহূর্তে বলল,
-আপনি তো আমার ফোন নম্বর চাওয়ার সাহস করলেন না। হি হি হি...। শুনুন আপনাকে যে বইটা গিফট করেছি, তার প্রথম পাতায় আমার ফোন নম্বর লিখে দিয়েছি। মিথ্যা বলা বন্ধ করার শপথ করতে পারলে রাতে ফোন দিয়েন। আমি অপেক্ষায় থাকব।

আমি কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে যাব, ঠিক তখনই ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়ে গেল।
ট্রেন দীপান্বিতাকে নিয়ে দৃষ্টির আড়ালে চলে যেতে রাস্তায় নেমে এলাম। বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশা নিলাম। মনের মধ্যে কেমন যেন একটা ঈদ ঈদ আনন্দ বয়ে যাচ্ছে। আচ্ছা, প্রথম প্রেমে পড়ার আনন্দ কি সবারই এতটা তীব্র হয়? আমার তো আনন্দে মনে হচ্ছে পুরো ঢাকার আকাশ আতশবাজির আলোতে আলোকিত করে ফেলি। আচ্ছা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে যদি অনুরোধ করি, ওরা কি আমার এই খুশিতে দুটো কামানের গোলা আকাশে ছুড়বে? মনে হয় ছুড়বে না, তাই না? আচ্ছা, আমি বোকার মতো এসব কী ভাবছি?
রিকশাভাড়া দিয়ে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে বাসায় ঢুকলাম। বাসার কলিং বেল বাজাতেই মা দরজা খুলে দিল। মা আমাকে বললেন,
-কোনো সুখবর আছে? ওকে কি তোর মনের কথা বলতে পেরেছিলি?
-না মা।
আমার কথা শুনে মায়ের মুখটা কালো হয়ে গেল। আমি মাকে দুহাতে ধরে বললাম,
-হতাশ হয়ো না মা। ও আমাকে একটা বই গিফট করেছে। সিনেমার নায়িকাদের মতো গোপনে বইয়ের পাতায় ফোন নম্বর লিখে দিয়েছে। বলেছে ফোন করতে।
-বলিস কী! তাই? কই বইটা দে দেখি? দেখি কী লিখেছে?
মা বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই খেয়াল করলাম, আমার দুহাত খালি। বুঝলাম, অনেক বড় একটা অঘটন ঘটে গেছে। আমি বোকার মতো ফ্যাল ফ্যাল করে মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে মা আবার বললেন,
-আরে বই কোথায়?
আমি ধরা গলায় বললাম,
-মা বই তো আমি রিকশার সিটে ফেলে রেখে চলে এসেছি। চলবে...

*লেখক: ইমদাদ বাবু, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

আগামীকাল পড়ুন: আমার ভ্যালেন্টাইন: ৩য় পর্ব

**দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল অ্যাড্রেস [email protected]