হাউস অব লর্ডসে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ১৯৭১: ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছিল ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। বইটি পড়ে সারা বিশ্বের ইতিহাসচর্চামুখী জানতে পারবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও একটি কনসার্ট যে কত বড় ভূমিকা রাখতে পারে, সেই সম্পর্কে। বইটি বাংলা ভাষায় প্রকাশের পর গুরুত্ব বিবেচনায় ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হলো। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে এবং গবেষণার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত ২৯ মার্চ বিকেলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ১৯৭১: ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়ে গেল। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সিবিই লর্ড রামি রেঞ্জার বলেন, ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ১৯৭১: ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ বইটি ইতিহাসের একটি অসাধারণ বই। যার মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বে ভারতীয় উপমহাদেশের ভুলে যাওয়া ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।
‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ১৯৭১: ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ বইটির লেখক আবু সাঈদ ও প্রিয়জিৎ দেবসরকার। বইটি প্রকাশিত হয়েছে স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন থেকে।
যুক্তরাজ্যে ও আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনীম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের জনগণের দুর্ভোগ ও গণহত্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কনসার্টটি প্রথমে সারা বিশ্বে তহবিল সংগ্রহ ও বিশ্ব জনমত গঠনের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই আয়োজনের মাধ্যমে কনসার্টের ইতিহাসের গতিপথ চিরতরে বদলে দেয়। লেখক প্রিয়জিৎ দেবসরকার বইটির বিভিন্ন অংশ হাউস অব লর্ডসে উপস্থিত অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন।
মেম্বার অব পার্লামেন্ট (শ্যাডো মিনিস্টার ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অ্যাফেয়ার্স) ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, তরুণ ইতিহাস-গবেষক ও যুক্তরাজ্যে বেড়ে ওঠা ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বইটি একান্ত প্রয়োজনীয়। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বইটি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট লাইব্রেরি ও লন্ডনের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় লাইব্রেরিতে তালিকাভুক্ত করা হবে।
সুইস ইন্টার স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ব্রিটিশ নাগরিক সমাজ, জর্জ হ্যারিসন এবং তাঁর সহযোগীদের সক্রিয় এবং গতিশীল ভূমিকায় সমগ্র উপমহাদেশে একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ মুহূর্ত ছিল।
এ ছাড়া বইটি নিয়ে আলোচনা করেন ওয়েস্ট লন্ডন চেম্বার অব কমার্স সিইও অ্যালান রাইডস, ব্রিজ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক প্রতীক দাতানি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান শরীফ, ভারতীয় সংবাদ প্রতিনিধিদলের সদস্য মনীশ তিওয়ারি, আইটি ব্রিটিশ চার্টেড ইনস্টিটিউটের পরিচালক স্টিফেন টুইড, লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রাথমিক বাজারের প্রধান টম অ্যাটেনবরো, ইউকে এশিয়া বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তাহা কোবার্ন, রিজেন্ট কলেজ থেকে চিফ ইন্টারন্যাশনাল অফিসার স্টিভেন ফিলিপস, প্রখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী নিকোলা রেভেনসকোর্ট, চলচ্চিত্র নির্মাতা নিক কারিম, ব্রিটিশ আরব নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ওয়াকিফ মোস্তফা, ব্রিটিশ বাংলা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ডা. রেজওয়ানা আনোয়ার, লন্ডন বরো অব ইলিং কাউন্সিলর চরণ শর্মা, এনএল২৪ ইউকে টিভি নিউজ চ্যানেলের শাহ বিলালসহ বাংলাদেশ, ভারতীয় সংবাদ প্রতিনিধিরা।