ইতালির গুলিয়েমো মার্কনি গ্রন্থাগারে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ উদ্বোধন
বাংলাদেশ দূতাবাস এবং রোমে অবস্থিত গুলিয়েমো মার্কনি গ্রন্থাগারের যৌথ উদ্যোগে গ্রন্থাগারে গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩) ‘বাংলাদেশ কর্নার’–এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বিদেশি অতিথি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান এবং মার্কনি গ্রন্থাগারের পরিচালক মিজ কিয়ারা পমা।
ইতালির লুমসা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সংস্কৃতির অধ্যাপক ফ্রান্সেস্কো যানিনি, বাংলাদেশি-ইতালিয়ান লেখিকা এবং সাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টাল স্টাডিসের সাবেক অধ্যাপক নিমান সোবহান, ইতালি-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক, এশিয়াবিষয়ক ইতালিয়ান থিংকট্যাংকের মহাসচিব ডমিনিকো পালমিয়েরি এবং ইতালিয়ান ফটোসাংবাদিক স্টিফানো রোমানো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান বিপুল বাংলাদেশিদের কর্মস্থল রোমের একটি স্বনামধন্য গ্রন্থাগার গুলিয়েমো মার্কনিতে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে লাইব্রেরির পরিচালককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে উপহার হিসেবে প্রদত্ত ৭০টি বইয়ের মধ্যে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী (বাংলা ও ইতালিয় ভাষায় অনূদিত), বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের এপর বিভিন্ন প্রকাশনা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বাংলা ভাষায় বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যাবিষয়ক প্রকাশনা এবং ইতালীয় ভাষায় রচিত এবং অনূদিত বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার ওপর প্রকাশনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অভিযাত্রাবিষয়ক কয়েকটি প্রকাশনাও স্থান পায় গ্যালারিতে।
রাষ্ট্রদূত ভাষা শহীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সবাইকে বই পড়া, বাংলা ভাষা চর্চা এবং জ্ঞানার্জন করতে আহ্বান জানান। অন্য বক্তারা দূতাবাসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ কর্নার’ বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ়তর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত এবং গ্রন্থাগারের পরিচালক যৌথভাবে অন্য অতিথিদের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে বাংলাদেশ কর্নারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, প্রবাসী সাংবাদিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য, ইতালিয়ান পাঠক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষারাও উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাসের উদ্যোগটি চলমান জনকূটনীতি কার্যক্রমের একটি অংশ। বিজ্ঞপ্তি