ফুল কুমারী
আমি যেন এক ফুলকুমারী ফুলের রঙ্গমঞ্চে,
পুষ্পাভরণে সেজে আমি গান গেয়ে যাই নেচে।
ফুল সাগরের ঢেউয়ের দোলায় লাগে প্রাণে হিল্লোল,
রঙের নেশায় মাতাল আমি পুলকে বিভোল।
নানা রঙে রঞ্জিত মোর পুষ্প নিকুঞ্জ খানি,
মৃদু সমীরণ মন মাতানো সুগন্ধ দেয় আনি।
মনের মাধুরি মিশিয়ে সাজিয়েছি মোর পুষ্প কানন,
ফুল গুলো যেন নিকুঞ্জের হাসিমাখা দীপ্ত আনন।
দয়িত তৃষিত ভ্রমর উড়ে বেড়ায় ফুলে ফুলে,
মৌমাছিও আসে সেথায় মধু নেবার ছলে।
রেণু তে রেণু তে সেই প্রেমের পরশ লাগে যখন,
অজানা হরষে কেঁপে কেঁপে ওঠে পুষ্প তনু-মন।
সন্ধ্যা নামে ধীর পায়ে মোর গুল বাগিচায়,
ফিরে যায় ভ্রমর মধুকর আপন ঠিকানায়।
রাত্রি এলে চন্দ্রালোকে হাসে মোর ফুলবন,
আঁধারে আলো জ্বালে জোনাকিরা সারাক্ষণ।
ঘুমিয়ে পড়ে ফুল গুলি মোর শান্ত নিঝুম রাতে,
পাখিদের ঘুম ভাঙ্গানিয়া গানে জেগে ওঠে প্রাতে।
ফিরে আসে মৌ পিয়াসী মৌমাছি ও ভ্রমর গুঞ্জনে,
ফুল কুমারী মেয়ে নেচে যাই আমি লীলায়িত ভঙ্গিতে মোর পুষ্পাঙ্গনে।