প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে ফ্রান্সের স্মারকলিপি প্রদান ও সমাবেশ
ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাসহ প্রবাসীদের মৌলিক দাবি বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশি নাগরিক পরিষদ, ফ্রান্স। গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানের আগে দূতাবাসের সামনে নাগরিক সমাবেশ করে সংগঠনটি। এতে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন।
সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়ের লস্বরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি গোলাম ফারুক ভূঁইয়া, আইসা পরিচালক ওবায়দুল্লাহ কয়েছ, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মীর জাহান, সাংবাদিক নেতা ও ইউরো বার্তা সম্পাদক মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, বরিশাল কমিউনিটি সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ফ্রান্স বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মালিক হিমু, কার্যনির্বাহী সদস্য ফারিয়া মাহবুবা আলম, প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনায়েত হুসেন সুহেল, ট্রেজারার আরিফুর রহমান, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, প্রবাসের আলো সম্পাদক ওমর ফারুক, এটিন বাংলা রিপোর্টার রাবেয়া আক্তার সুবর্না, সাংবাদিক নয়ন মামুন, লন্ডন ইউনিভার্সিটি আইন বিভাগের ছাত্রী ও ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর ইডনি মুসলিম উদ্দিন। এ ছাড়া ফরাসি ভাষায় বক্তব্য দেন শুভেচ্ছা শেখ।
‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুধু সত্যিকারের সদিচ্ছার অভাবে গত ৫৪ বছরে রাজনৈতিক সরকারগুলো কখনো প্রবাসীদের অধিকার বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সব সময় আশ্বাস দিয়ে শুধু মুলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারই পারে প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে। এই সরকারে প্রতি প্রবাসীদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করলেও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশনের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এতে প্রবাসীদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া পোস্টাল ব্যালটের সমালোচনা করে প্রবাসী নাগরিকেরা বলেন, পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়ার প্রবাসে প্রায় অবাস্তব। প্রবাসে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ অনলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করে। পোস্টাল ঠিকানা ব্যবহার করে না। তা ছাড়া পোস্টাল ব্যালট অনেক বেশি ব্যয়সাপেক্ষ। তার অর্ধেক খরচে দূতাবাস বা হাইকমিশনের মাধ্যমে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা সম্ভব।
বক্তারা বলেন, আমরা আশা করছি প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশনের দৃশ্যমান তৎপরতা, দ্রুত সময় ভোটার তালিকাসহ সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।