সিডনিতে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদ্যাপন
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ক্যাম্পবেলটাউন সিভিক হলে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদ্যাপিত হয়েছে গতকাল শনিবার। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে আমাদের কথা। সিডনিতে এককভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উদ্যাপনের উদ্যোগ প্রথম সংগঠনটি নেয় গত বছর। আয়োজনে ছিল রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা, গল্প ও জীবন নিয়ে। অনুষ্ঠানের শুরুটা হয় সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত দিয়ে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শিশুদের কোরাস ‘আলো আমার আলো’ গান গেয়ে সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা করা হয়। এরপরই ছিল নতুন প্রজন্মের গান, ছড়া ও নৃত্য পরিবেশনা। মিলি ইসলাম রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে স্বল্প পরিসরে তথ্য পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক পর্ব শুরুর আগে। অনুষ্ঠানটির সাংস্কৃতিক পর্বগুলো পূজা পর্যায়, প্রকৃতি পর্যায় ও প্রেম পর্যায়ে ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়।
পূজা পর্যায়ে পরিবেশনায় ছিলেন পূরবী, ঋদ্ধ, জুঁই, তনিমা ও পৃথিবী। প্রকৃতি পর্যায়ে পরিবেশনায় ছিলেন শাহরিল রলি, ফারিন, প্রেরণা ড্যান্স গ্রুপ। প্রেম পর্যায়ে মঞ্জুশ্রী, মিশা, বাঁধন, সুবর্ণা, পলি ফরহাদ, মারিয়া, শ্রেয়সী ও তাঁর নটরাজ ড্যান্স একাডেমির পরিবেশনা।
এ ছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন আয়েশা কলি ‘বাঁধলো বাঁধলো ঝুলনিয়া’ গানটি গেয়ে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কলামিস্ট ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের জন্ম না হলে শিল্পসাহিত্যের অনেক জায়গায়ই পূরণ হতো না। রবীন্দ্রনাথ দিয়েছেন আমাদের প্রশান্তি। গল্পে, কবিতায়, গানে ও দর্শনে কোথায় রবীন্দ্রনাথ নেই বাংলা সাহিত্যে। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরেছিলেন সেই সময়ে এবং বাংলায় তিনিই নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এই তো বাঙালির বিশাল অহংকার।’
নতুন প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য আমাদের কথা সার্টিফিকেট প্রদান করে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ইব্রাহিম খলিল মাছুদ, কাউন্সিলর মাছুদ চৌধুরী, সিডনির কমিউনিটির নেতা গামা আবদুল কাদের ও সংগঠক শফিকুল আলম। এ ছাড়া ছিলেন নারী সংগঠকদের মধ্যে তিশা, তানিয়া, টুম্পা জাহরা।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দিনে আরও সুন্দর অনুষ্ঠান পরিবেশনা করার আশ্বাস দিয়ে সবাইকে রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকতার পরিসমাপ্তি টানেন সংগঠনের কর্ণধার এবং সঞ্চালক পূরবী পারমিতা বোস। শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন আত্ত্বাবুর রহমান। অনুষ্ঠানের রাবিন্দ্রিক সাজসজ্জায় ছিলেন কানিতাজ। বিজ্ঞপ্তি
দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]